পুরোহিত এবং ব্রাহ্মণের পার্থক্য
পুরোহিত শব্দটি পুরস এবং হিত শব্দের সমন্বয়ে গঠিত । পুরস শব্দের অর্থ সম্মূখে এবং হিত শব্দের অর্থ অবস্থান ।
অর্থাৎ যিনি পূজা অর্চনার সময় সকলের অগ্রভাগে অবস্থান করেন তিনি পুরোহিত ।
আমাদের মধ্যে বেশিরভাগেরই ধারনা যে ব্রাহ্মণ এবং পুরোহিত একই কথা । এদের মধ্যে আবার পার্থক্য থাকে নাকি ।
কিন্তু এ সকল ধারনা সম্পূর্ণরূপে ভুল ।
ব্রাহ্মণ বলতে যাদের ব্রহ্মবিদ্যা সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান বা ধারনা আছে এবং যিনি ব্রহ্মবিদ তাকে বোঝানো হয় ।
পুরোহিত্য করার সময় সংস্কৃত ভাষাজ্ঞান থাকা অতি আবশ্যক । পৌরোহিত্য কেবল ব্রাহ্মণ বর্ণেরই পেশা নয়। যেকোন বর্ণের লোকেরাই যোগ্যতা বলে পৌরোহিত্য করার অধিকার লাভ করতে পারে ।
একজন পুরোহিতের নিম্নলিখিত গুণাবলির অধিকারী হতে হয় :
১.সংস্কৃত ভাষা লেখা ও পড়ার মতো জ্ঞান ও দক্ষতা থাকা ।
২.নিত্যকর্ম ও পূজাবিধি সম্পর্কে ধারনা থাকা ।
৩.শুদ্ধভাবে মন্ত্র উচ্চারণের দক্ষতা অর্জন ।
৪.ধর্মশাস্ত্রে এবং শাস্ত্রীয় রীতি-নীতির ওপর অভিজ্ঞতা থাকা ।
৫.শিষ্টাচার এবং আদর্শ ব্যক্তিত্বের অধিকারী হওয়া ।
৬.হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে তাত্বিক ও ব্যবহারিক জ্ঞান থাকা ।
উপরে উল্লিখিত গুণগুলী অর্জন করতে পারলেই যে কোন বর্ণের লোকেরাই পৌরোহিত্য করতে পারবে ।
সৌজন্যেঃ হিন্দু ডাটা ডটকম।