ব্রাহ্মণ কে?।।পুরোহিত কে?।।।।পুরোহিত ও ব্রাহ্মণের পার্থক্য।।ব্রাহ্মণ ও পুরোহিতের মধ্যে পার্থক্য।।

0
495

পুরোহিত এবং ব্রাহ্মণের পার্থক্য
পুরোহিত শব্দটি পুরস এবং হিত শব্দের সমন্বয়ে গঠিত । পুরস শব্দের অর্থ সম্মূখে এবং হিত শব্দের অর্থ অবস্থান ।

অর্থাৎ যিনি পূজা অর্চনার সময় সকলের অগ্রভাগে অবস্থান করেন তিনি পুরোহিত ।

আমাদের মধ্যে বেশিরভাগেরই ধারনা যে ব্রাহ্মণ এবং পুরোহিত একই কথা । এদের মধ্যে আবার পার্থক্য থাকে নাকি ।
কিন্তু এ সকল ধারনা সম্পূর্ণরূপে ভুল ।

ব্রাহ্মণ বলতে যাদের ব্রহ্মবিদ্যা সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান বা ধারনা আছে এবং যিনি ব্রহ্মবিদ তাকে বোঝানো হয় ।

পুরোহিত্য করার সময় সংস্কৃত ভাষাজ্ঞান থাকা অতি আবশ্যক । পৌরোহিত্য কেবল ব্রাহ্মণ বর্ণেরই পেশা নয়। যেকোন বর্ণের লোকেরাই যোগ্যতা বলে পৌরোহিত্য করার অধিকার লাভ কর‍তে পারে ।

একজন পুরোহিতের নিম্নলিখিত গুণাবলির অধিকারী হতে হয় :
১.সংস্কৃত ভাষা লেখা ও পড়ার মতো জ্ঞান ও দক্ষতা থাকা ।

২.নিত্যকর্ম ও পূজাবিধি সম্পর্কে ধারনা থাকা ।

৩.শুদ্ধভাবে মন্ত্র উচ্চারণের দক্ষতা অর্জন ।

৪.ধর্মশাস্ত্রে এবং শাস্ত্রীয় রীতি-নীতির ওপর অভিজ্ঞতা থাকা ।

৫.শিষ্টাচার এবং আদর্শ ব্যক্তিত্বের অধিকারী হওয়া ।

৬.হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে তাত্বিক ও ব্যবহারিক জ্ঞান থাকা ।

উপরে উল্লিখিত গুণগুলী অর্জন করতে পারলেই যে কোন বর্ণের লোকেরাই পৌরোহিত্য করতে পারবে ।

সৌজন্যেঃ হিন্দু ডাটা ডটকম।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে