দিরাই উপজেলার টাইলা গ্রামের সুনামধন্য মরমি সাধক, কবি, ধামাইলের বিশিষ্টজন প্রতাপ রঞ্জনের বাড়ির অবস্থা একেবারেই খারাপ হয়ে পড়েছে। সামান্য লেখাপড়া আর দারিদ্রতার সাথে জীবনযাপন করেও এই ক্লান্তির সাথেই রাতের বেলায় লিখেছেন শতশত গান। বিশেষ করে ধামাইলের বিশিষ্টজন হয়ে উঠেন তিনি। উনার লিখা গান সবাই গাইলেও উনাকে চিনেন না অনেকেই। বিশেষ করে নিজ গ্রামের মানুষের মাঝেই নেই কোনে চেতনা। গ্রামের অধিকাংশ মানুষ উনার এই মাহাত্ম্য জানে না। উনার ছেলেরাই ছিলেন অজ্ঞাত। প্রতাপ রঞ্জন তালুকদারের মৃত্যুর তিন বছর পর তার ছেলে প্রসেন তালুকদার, অন্যদের মাধ্যমে কিছুকিছু জানতে পারেন তার বাবার রেখে যাওয়া মাহাত্ম্যর কথা। আজ ১২ বছর পূর্ণ হল উনার মৃত্যুর। অথচ ২০১৮ সালে প্রথম দিবস পালিত হয়। উনার লিখা সকল গান সংরক্ষণের জন্য প্রথম আলোর একজন সাংবাদিকের কাছে হস্তান্তর করেন উনার ছেলে প্রসেন তালুকদার। যদিও এখনো তার কাজ সম্পন্ন হয়নি, তবে প্রসেন তালুকদার আশাবাদী একদিন নিশ্চয়ই উনার বাবা সবার মাঝে পরিচিতি লাভ করবেন।
তথ্যসূত্রঃ কলম শক্তি ডটকম,গানপার ডটকম।