সরস্বতী পূজার স্ট্যাটাস।।বিদ্যা দেবীর পূজা।।বীণাপাণি দেবীর পূজা।।

0
428

বিদ্যার দেবী সরস্বতী পূজা উপলক্ষে সবাইকে পূজার শুভেচ্ছা।দেবীর আগমনে পৃথিবী হোক মঙ্গলময়।

দেবীর সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ

সরস্বতী হলেন জ্ঞান, সঙ্গীত, শিল্পকলা, বুদ্ধি ও বিদ্যার হিন্দু দেবী। তিনি সরস্বতী-লক্ষ্মী-পার্বতী এই ত্রিদেবীর অন্যতম। এই ত্রিদেবীর কাজ হল ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিবকে যথাক্রমে জগৎ সৃষ্টি পালন করতে সাহায্য করা। সরস্বতীর গায়ের রং শুভ্র(সাদা)। শ্বেতপদ্ম তার আসন। তার এক হাতে পুস্তক ও এক হাতে বীণা। তার হাতে বীণা থাকায় তাকে বীণাপাণি বলা হয়। এছাড়াও তিনি শ্রুতদেবী নামেও কথিত হন।(উইকিপিডিয়া)
পুরাণ অনুসারে দেবী
দেবীভাগবত পুরাণ অনুযায়ী, দেবী নারায়ণ পত্নী। কৃষ্ণের জ্বিহাগ্র থেকেই তাঁর আবির্ভাব। আদ্যা প্রকৃতির তৃতীয় অংশে দেবীর জন্ম। শম্ভু- নিশুম্ভ বধ করতে দেবী চণ্ডিকার দেহ থেকে আবির্ভাব হয় ‘কৌষিকী’ রূপী সরস্বতীর। মার্কণ্ডেয় পুরাণেও এই কথা বলা হয়েছে।

কথিত আছে, নারায়ণ জায়া তিন দেবী। লক্ষী, গঙ্গা ও সরস্বতী। গঙ্গা ও নারায়ণ পরস্পরের মধ্যে হাসাহাসি করলে তিন সতীনের মধ্যে বিবাদ দেখা যায়। এরপরেই গঙ্গার অভিশাপে সরস্বতী মর্ত্যে নদী হিসেবে প্রবাহিত হতে থাকেন। দেবী সরস্বতী যেন ত্রিরূপী। একদিকে তিনি নারায়ণ সঙ্গিনী, একদিকে নদী ও অন্যদিকে প্রজাপতি জায়া।
শুক্ল যজুর্বেদে বর্ণিত হয়েছে, দেবরাজ ইন্দ্র অসুস্থ থাকার সময় দেবী সরস্বতী গান, বাজনা ও শুশ্রূষার মধ্য দিয়ে তাঁকে সুস্থ করে তোলেন।
বায়ুপুরাণ অনুযায়ী, দেবাদিদেবের তাণ্ডবে জগৎ সংসার ধ্বংস হলে পুনরায় ব্রম্ভাণ্ডকে শিক্ষা, শিল্প আর রূপ-লাবণ্যে সুন্দর করে সাজিয়ে তুলতে প্রজাপিতার মানসকন্যা হিসেবেই দেবীর জন্ম।

পদ্মপুরাণ অনুযায়ী, ঋষি কাশ্যপের স্ত্রী সরস্বতী। তিনি দক্ষরাজের কন্যা এবং ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে দেবী নারায়ণ ঘরণী।
গরুড় পুরাণে সরস্বতী হলেন তুষ্টি, পুষ্টি, শ্রদ্ধা, ঋদ্ধি, প্রভা, কলা, মেধা ও স্মৃতি শক্তি।

দেবীর পূজা তিথীঃ

সরস্বতী পূজা হিন্দু বিদ্যা ও সঙ্গীতের দেবী সরস্বতীর আরাধনাকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠেয় একটি অন্যতম প্রধান হিন্দু উৎসব। শাস্ত্রীয় বিধান অনুসারে মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে সরস্বতী পূজা আয়োজিত হয়। তিথিটি শ্রীপঞ্চমী বা বসন্ত পঞ্চমী নামেও পরিচিত। পূজার পরের দিনটি শীতলষষ্ঠী নামে পরিচিত। পশ্চিমবঙ্গে কোনো কোনো হিন্দু পরিবারে সরস্বতী পূজার পরদিন অরন্ধন পালনের প্রথা রয়েছে।

দেবীর প্রণাম মন্ত্রঃ

নমো সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমললোচনে।
বিশ্বরূপে বিশালাক্ষ্মী বিদ্যাংদেহি নমোহস্তুতে।।

জয় জয় দেবী চরাচর সারে,কুচযুগশোভিত মুক্তাহারে।
বীনারঞ্জিত পুস্তক হস্তে,ভগবতী ভারতী দেবী নমহস্তুতে।।

মন্ত্রের অর্থ:

দেবী সরস্বতী দেবী মহাভাগ, লোচনা দেবী পদ্ম-সদৃশ, বিশালালক্ষী বিদ্যা দয়িনী দেবীকে শুভেচ্ছা। ভদ্রকালী (মঙ্গলময়ী ভগবতী) থেকে নিত্য নমস্কার, দেবী সরস্বতীর কাছে বারবার নমস্কার এবং বেদঙ্গ বিদ্যা স্থানের কাছে বেদ। বিনা বইটি ধারণকারী ভগবতী ভারতীকে প্রণাম।

জীবন কৃষ্ণ সরকার
কবি ও প্রাবন্ধিক

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে