পার্বতী কে?।।পার্বতীর পরিচয়।।

0
2280

“পার্বতী” শব্দের অর্থ “পর্বতের কন্যা”। পার্বতী পর্বতের রাজা হিমালয়ের কন্যা বলে তাঁকে পার্বতী বলা হয়। হিমালয়ের কন্যা বলে তাঁর অন্য নাম “শৈলজা”, “অদ্রিজা”, “নগজা”, “শৈলপুত্রী”, “হৈমবতী”, “গিরিজা” বা “গিরিজাপুত্রী”। কখনও কখনও পার্বতীকে “পবিত্রা”ও বলা হয়; কারণ, তাঁকে অপাপবিদ্ধা ও পবিত্র মনে করা হয়। শিব ও তাঁকে একত্রে শাক্ত সর্বোচ্চ ঈশ্বর আদি পরাশক্তির “সগুণ স্বরূপ” মনে করা হয়।

শ্রীশ্রীচণ্ডী-তে তাঁর অনেকগুলি নামের উল্লেখ আছে। এগুলির মধ্যে দুর্গা, মহাশক্তি, অম্বিকা, গৌরী, ভৈরবী, কালী, উমা, ললিতা, মাতৃ, মাহেশ্বরী, ভবানী ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। ললিতা সহস্রনাম স্তবে পার্বতীর ১০০০টি নামের উল্লেখ আছে।

পার্বতীর সবচেয়ে বেশি পরিচিত দুটি নাম হল উমা ও অপর্ণা। কয়েকটি প্রাচীন ধর্মগ্রন্থে দাক্ষায়ণীকে উমা বলা হলেও, রামায়ণে পার্বতীকেই উমা বলা হয়েছে। হরিবংশ-এ পার্বতীকে প্রথমে “অপর্ণা” বলে, পরে “উমা” বলা হয়েছে। অপর্ণা শব্দের অর্থ, যিনি ঘোর তপস্যা করেছেন। পার্বতীর মা মেনকা তাঁর তপস্যা দেখে বলেছিলেন, “উ মা” (আর না)। সেই থেকে পার্বতীর অপর নাম উমা।

অন্যদিকে পার্বতী একসঙ্গে “গৌরী” (গৌরবর্ণা দেবী) এবং “কালী” বা “শ্যামা” (কৃষ্ণবর্ণা দেবী) নামে অভিহিত হন। কারণ, তিনি শান্ত স্ত্রী উমা। কিন্তু বিপদের সময় ভয়ংকরী কালী দেবীতে রূপান্তরিত হন। এই দুই পরস্পর বিপরীত রূপ পার্বতীর দুই রকম প্রকৃতির কথা নির্দেশ করে। আবার “কামাক্ষ্মী” রূপে তিনি ভক্তির দেবী।

পার্বতী (সংস্কৃত: पार्वती) হলেন একজন হিন্দু দেবী। তিনি শিবের স্ত্রী এবং আদি পরাশক্তি ,অন্যান্য দেবীরা তাঁর অংশ থেকে জাত, বা তাঁর অবতার,তাকে বিভিন্ন রূপ পুজো করা হয় তাই তাকে হিন্দু ধর্মে সর্বচ্চ দেবী বলা হয় । পার্বতী আদি পরাশক্তি সর্বোচ্চ দেবী মহামায়া। তিনি গৌরী নামেও পরিচিত। পার্বতী শিবের দ্বিতীয়া স্ত্রী। তবে তিনি শিবের প্রথমা স্ত্রী দাক্ষায়ণীরই অবতার। তিনি গণেশ ও কার্তিকের মা। কোনো কোনো সম্প্রদায়ে তাঁকে বিষ্ণুর ভগিনী মনে করা হয়। পার্বতী গিরিরাজ, পর্বতের দেবতা হিমালয় (হিমাবন) ও তার স্ত্রী দেবী মেনকার কন্যা। দেবীগঙ্গা হলেন পার্বতীর জ্যেষ্ঠ ভগিনী । এবং মৈনাক হলেন পার্বতীর জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা।শিবের পাশে তাঁর যে মূর্তি দেখা যায়, সেগুলি দ্বিভুজা। তবে তাঁর একক মূর্তি চতুর্ভুজা, অষ্টভুজা বা দশভুজা, মহিষমর্দিনী সহস্রভুজা হয়; এবং এই মূর্তিগুলিতে তাঁকে সিংহবাহিনী রূপে দেখানো হয়। সাধারণত তাঁকে দয়াময়ী ও উগ্র দুই রূপেই দেখা হয়। তাঁর দয়াময়ী মূর্তিগুলি হল কাত্যায়নী, অন্নপূর্ণা, মহাগৌরী, কমলা, ভুবনেশ্বরী ও ললিতা প্রভৃতি। অন্যদিকে তাঁর ভয়ংকরী রূপগুলি হল দুর্গা, কালী, তারা, চণ্ডী ইত্যাদি।

তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে