হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র কি?

0
1400

হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র

“হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।”

এই মন্ত্রটি সর্বপ্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় ১৫০০ খ্রিষ্টাব্দে রঘুনন্দন ভট্টাচার্য রচিত কলি-সন্তরণ উপনিষদ্-এ ।

(kalisaṇṭāraṇopaniṣad) উল্লিখিত মূল উপনিষদ ১১টি উপনিষদ রয়েছে, তার মধ্যে কলিসন্তরন উপনিষদ অন্তর্গত নয়। এই গ্রন্থের মতে, এই মন্ত্রটি জোরে জোরে উচ্চারণ করলে কলিযুগের সকল কুপ্রভাব দূরীভূত হয়।এছাড়া বিভিন্ন পুরাণে( ব্রহ্মান্ড পুরাণ,পদ্মপুরাণ) ও রাধাতন্ত্রে হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্রটি পাওয়া যায়।
হিন্দুধর্মের গৌড়ীয় বৈষ্ণব সম্প্রদায়ে এই মন্ত্রটি বিশেষ জনপ্রিয়। খ্রিস্টীয় ১৬শ শতাব্দীতে ভক্তি আন্দোলনের নেতা চৈতন্য মহাপ্রভু সারা ভারতে বিশেষত বাংলা ও উড়িষ্যায় “প্রতি নগরে ও গ্রামে” ভ্রমণ করে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের কাছে এই “মহামন্ত্র”টি জনপ্রিয় করে তোলেন।গৌড়ীয় বৈষ্ণব প্রথা অনুসারে, মন্ত্রটি উচ্চৈঃস্বরে বারংবার সংগীতবাদ্য সহযোগে ভজন, দলবদ্ধভাবে কীর্তন বা একান্তভাবে মনে মনে জপ করা হয়। কারণ, এই সম্প্রদায়ের অনুগামীরা মনে করেন, মন্ত্রের শব্দ উচ্চারণকারী ও শ্রোতাকে মুক্তি দান করবে।

১৯৬০-এর দশক থেকে, মন্ত্রটিকে শ্রীকৃষ্ণ ও চৈতন্য মহাপ্রভুর ঐকান্তিক ভক্ত অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ তার গুরুর (শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুর) নির্দেশে আমেরিকার নিউ ইয়র্ক শহর (১৯৬৫ খ্রিষ্টাব্দে) থেকে শুরু করে জীবনের শেষ এগারো বছর ধরে মোট চৌদ্দবার বিশ্ব পরিক্রমা করে গোটা পশ্চিমী বিশ্বে একটি সুপরিচিত শব্দসমাহারে পরিণত করেন।

তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে