গীতা কি ?
সনাতন বা হিন্দু শাস্ত্র গীতা হলো ভগবানের নিঃশ্বাস প্রশ্বাস, হৃদয় ও বাগ্মিয় মূর্তরূপ।সনাতন ধর্মাবলম্ভীদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ হলো শ্রীগীতা।। সনাতন ধর্মাবলম্ভীদের মতে এই সংসারে গীতার সমতুল্য কিছুই নেই। ভক্তিভরে গীতা অনুশীলন করলে একইসঙ্গে সমস্ত যজ্ঞ, তীর্থভ্রমন, জপ, তপ, দান, ব্রত, সংযম ও সেবার ফল পাওয়া যায়। এই কথাটির তাৎপর্য আমারা কিভাবে বুঝতে পারব? গীতাতত্ব মানব রূপ দেহ দেবালয়ের মধ্যে শ্রী কৃষ্ণ কে খুঁজে পাওয়ায় সাহায্য করে। গীতা হলো উপনিষদ বা বেদান্তের সারগ্রন্থ। প্রায় সমস্ত উপনিষদেই বলা হয়েছে যে –
“অংঙ্গুষ্টমাত্রঃ পুরুষোহন্তরাত্মা সদা জনানাং হৃদয়ে সন্নিবিষ্টঃ” ।অর্থাৎ অতি সূক্ষ্মতম অঙ্গুষ্ঠ পরিমিত পুরুষ অন্তরাত্মা রূপে সর্বজনের হৃদয়ে অবস্থিত আছেন। এই পুরুষই পরমাত্মা বা শ্রীকৃষ্ণ। ইনিই ত্রিকালের নিয়ন্তা। ইনি সমস্তকিছুর মধ্যেই সুপ্তভাবে বিরাজমান ।
গীতা অধ্যয়ন ও মননের গভীরতায় গেলে মানুষের মন পাঁচটি মূল্যবান তত্ত্বে স্থির বিশ্বাসী হয়ে উঠে। এই পাঁচটি তত্ত্ব হলো–
(1) আত্মার অমরত্ব বা অখন্ডতা, (2)দেহের নশ্বরত্ব বা ক্ষুদ্রতা, (3) অনন্ত ঈশ্বরের অবতার রূপ পরিগ্রহন, (4) পরলোক তত্ব এবং (5) মানুষের স্বধর্ম অনুসারে জীবন পরিচালনা করার আবশ্যকতা।
ভগবান স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ এবং গীতবানী এক ও অভিন্ন।
“গীতা সুগীতা কর্তব্য কিমনৌঃ শাস্ত্র বিস্তরৈঃ।
যা স্বয়ং পদ্মনাভস্য মুখ পদ্মবিনিঃসৃতা।। ”