মোহাম্মদ কাসেমের কবিতা

0
218

কবির পরিচিতি ঃ
মোহাম্মদ কাসেম ১৯৯৭ সালে জানুয়ারিতে পনারকুড়ি গ্রামে এক মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন।
তার পিতার নাম মোঃচাঁন্দু মিয়া মাতার নাম মোছাঃ আয়শা খাতুন।তিনি গড়াকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২০০৮ সালে প্রাথমিক শিক্ষা করেন।

২০১৪ সালে বিশরপাশা হরিশ্চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করেন।

২০১৬ সালে কলমাকান্দা সরকারি কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট শেষ করেন।মোহনগঞ্জ সরকারি কলেজে ব্যবস্থাপনা বিভাগে অধ্যায়নত।

ছোট বেলা থেকেই কবির বই পড়া ও সাহিত্যের প্রতি প্রবল আগ্রহ জাগে।বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় তার অনেক ছড়া ও কবিতা প্রকাশ পেয়েছে।তার লেখা প্রথম কবিতা,,, বই পড়া,আমাদের গ্রাম, পনারকুড়ির তীর ইত্যাদি।

যোগাযোগ – ০১৭৮৮৪৬৯০৮৩

মোহাম্মদ কাসেমের কবিতা

১। বলতো পারো

ফুটপাতে ঘুমিয়ে থাকে
যে ছেলেটি আজ,
চুরি করা নেশা করা
যে ছেলেটি আজ।

যে ছেলেটি জানে না তো
কে রেখেছে নাম,
কেন যে তার দুঃখের জীবন
বিধি কেন বাম।

কই গ্যাছে পিতামাতা
কেন আসে না,
এই পৃথিবীর কেউ তাকে
কেন ভালবাসে না।

বলতে পারো ঐ ছেলেটা
করবে শেষে কি?
কই গিয়ে দাড়াবে সে
বলবে তোমায় কি?

২। ট্রেনের বাড়ি

ট্রেন চলেছে ট্রেন চলেছে
ট্রেনের বাড়ি কই?
ট্রেন গাড়ি টা যাচ্ছে খেতে
বগুড়ার দই।

ট্রেনের চালক হেলু মামা
টিটু মামা টিটি,
কখনো যায় গ্রামে
কখনো ঢাকা সিটি।

কোন মামা নেত্রকোনা যায়
গাজীপুরে কেউ
কলমাপুরে কোন মামা
রংপুরে যায় কেউ।

সুনামগঞ্জে খালুর বাড়ি
পাহাড় দিয়ে ঘেরা,
সিলেটে তে ফুফার বাড়ি
চা বাগানে সেরা।

সারা দেশেই চলতে পারে
অনেক চেনা তার,
তবু আজো কেউ জানে না
শেষ ঠিকানা তার।

৩। লজ্জা

এই সমাজে মাঝে মাঝে
চলে কত যুদ্ধ!
এই দেশে কত ভাবে
দেয় অবরুদ্ধ!

কোনো দেশে শন শন
বাজে বোমা অস্ত্র!
কেউ থাকে অনাহারে
পড়ে ছেঁড়া বস্ত্র!

অনেক লোক যেনো
সেজে যায় বন্য,
লাল রক্তের হোলি খেলা
খেলে কি জঘন্য।

এই সমাজের কত রূপ
কত সাজ সজ্জা,
এজন্যই মানব সমাজ
পায় শুধু লজ্জা।

৪। গাঁয়ের বধূ

ওই চলেছে গাঁয়ের বধূ
কাঁচা রাস্তা দিয়ে,
হেলে দুলে যাচ্ছে বধূ
ঘাসের বোজা নিয়ে।

বাড়ি তার পনারকুড়ি
মাইল খানেক দূরে,
যদিও রাস্তা দূরে নয়
যেতে হবে ঘুরে।

গরু ছাগল ভেড়া মুরগি
মুখের দিকে তার,
তাকিয়ে আছে ছোট ছেলে
মুখটি করে ভার!

একটু পরেই বাড়ি ফিরে
ছেলেপুলের বাপ,
খাওন দে বলে গোসল করতে
খানায় দিবে ঝাঁপ।

বাড়ি গিয়ে তাইতো আগে
রাঁধতে হবে ভাত,
আর রাধতে হবে আলু ভর্তা
পুড়িয়ে নিজের হাত।

গরু ছাগল ভেড়া মুরগি
ছেলেপুলে নিয়ে,
গায়ের বধূ ভালই আছে
খবর নেও গিয়ে।

৬। আমি চাষা

আমি এক চাষা
বুঝি ভালবাসা,
আমার বুকে বসত করে
নিত্য নতুন আশা।

আমি শুধু আশা নিয়ে
অনন্ত কাল আছি,
আশা যদি শেষ হয়ে যায়
কেমনে বলো বাঁচি।

আমার স্বপ্ন কোথায় কেমন
কেবা খবর রাখে,
আমি স্বপ্নটাকে বুকে নিয়ে
জানি জগৎ টাকে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে