হাওর বাংলা-মেহেদী হাসান শিরোমণি

0
182

হাওর বাংলা
——–মেহেদী হাসান শিরোমণি

বন্ধু আমি থাকি যেথায়–
হাওর বাংলার মাটি,
জীবনযাত্রার যুদ্ধ চলে
মানুষ সেথায় খাঁটি।
আমি গর্বিত ভাঁটির ছেলে,
হাওর বাংলার প্রাণ।
বেঁচে থাকার যুদ্ধ করি,
গাহি সাম্যের গান।

দাওয়াত রইলো সুনামগঞ্জে–
হাসন রাজার বাড়ি,
যদিও আমি বেজায় আলসে —
জার্নি নাহি করি।
কিম্বা, আপনি হাকালুকি চলে আসেন ভাই,
বলতে পারেন সেথায় আসার অর্থকড়ি নাই।
প্রশ্ন রইলো তবে কি আর বিকল্প টা নেই?
বুকের মধ্যে ইচ্ছেটুকু লুপ্ত রেখে দেই।

টাংগুয়ার হাওর রূপের ঝলক, দেখতে যদি চাও।
সেথায় এসে ঘুরতে গেলে
সাথে নিও না’ও।

হাওর বাংলার মূল ঐতিহ্য
টাংগুয়াতেই আছে,
স্বাদু পানির ঢেউয়ের উপর
জীবন প্রদীপ ভাসে।
টাংগুয়ায় এলে দেখতে পাবে–
হিজল গাছের সারি,
জলের উপর ভাসছে সেথায় —
হাজার হাজার বাড়ি।

বিদেশি সব অতিথি পাখি
শীত কালে আসে–
পর্যটকের আনাগোনা
জলজোছস্নাতে মিশে।
সেথায় এলে দেখতে পাবে,
বন্য পাখির ঝাঁক,
লেখা লেখি ছন্নছাড়া,
জাগরণের হাঁক।
কচ্ছপেরা দলবেঁধে সব,
শিকার ধরে তাই —
প্রকৃতির ঐ রূপের ঝলক
দেখবি যদি আয়।

হাওর বাংলার ব্রতচারী,
হাসুসিয়ান যারা,
হাওরিয়ান এই সূচকে
স্বেচ্ছাসেবী তারা।
হাওর বাংলার সাহিত্য কে
হাসুস নামে চিনি,
হাসুস হবে যুদ্ধতরী,
স্বপ্নের দিন গুনি।
হাসুস সংঘের প্রতিষ্ঠাতা
জীবন কৃষ্ণ সরকার,
হাওরকবি,হাওর বাংলার ঘরে ঘরে দরকার।

ভাঁটি বাংলার সাহিত্যাগার,
গণসাহিত্য পাঠাগার।
“হাওরবিলাপ”,” মাটির পুতুল” হাওরকবির লেখা,
সেথায় আপনি চোখ রাখিলে–
জীবন ফিরে দেখা।
ছোট্ট বড় সাহিত্যিকগণ
আড্ডায় করেন ভোর,
কথ্যশিল্পী শাহেদ আলীর বাড়ী মাহমুদপুর।
রাজনীতির মাইলফলক সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত,
কত শত প্রতিভাবান —
ঘুমের ঘোরে লিপ্ত।
আমি অধম শিরোমণি,
অল্প স্বল্প জানি।
আপনার হাতেই
হাওর বাংলার
বিপ্লব হবে জানি।

জাগো বন্ধু হাওরিয়ান,
জীবন যুদ্ধে হও আগুয়ান।
ঐক্যতানের সুরে পড়ো মন্ত্রধ্বনি—
হাওর বাংলার গর্ত খুঁড়ে
তুলে আনব খনি।
ঐতিহ্যের ঐ বিজয় নিশান
উড়বে হাওর দেশে,
হাওর বাংলার অগ্নিশিখা —
জ্বলবে দেশে দেশে।

বিঃদ্রঃ ভুলত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন। আপনার মূল্যবান পরামর্শ ও প্রেরণা পেলে বহুদূর এগিয়ে যাবার শক্তি পেতাম।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে