সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়। Sylhet Govt. Pailot High School

0
464

বিঃ দ্রঃ পুরো লেখাটি বিশ্ব মুক্তকোষ উইকিপিডিয়া হতে তুলে ধরা হয়েছে।

সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় হচ্ছে বাংলাদেশ এবং একই সাথে ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীন বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অন্যতম। এটি ১৮৩৬ সালে স্থাপিত হয়। বিদ্যালয়টি সিলেট জেলার সুরমা নদীর তীরে কালীঘাটে অবস্থিত।১৯৯১ সাল থেকে এটি দুই শিফট(দিবা ও প্রভাতি) একজন প্রধান ও দুইজন সহকারী প্রধান শিক্ষক সহ মোট ৫৫ জন শিক্ষক দিয়ে পরিচালিত হয়। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও মেধার সঠিক বিকাশ সাধন এবং নৈতিকতার আত্মবিশ্বাসী সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে বিজ্ঞানভিত্তিক শ্রেণি কার্যক্রম, পপদ্ধতিগত শিক্ষা, নিয়মিত পরীক্ষা, ধারাবাহিক অনুশীলন, আধুনিক শিক্ষা উপকরণ ব্যবহার পূর্বক পাঠদান করা হয়্ রাজনীতি ও ধূমপান মুক্ত, নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল শিক্ষা পরিবেশ।

ইতিহাস
১৮৩০ সালের দিকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনামলে লর্ড বেন্টিক এই অঞ্চলের মানুষ যেন সঠিকভাবে ইংরেজি বলতে পারে সেই লক্ষ্যে এই বিদ্যালয়টি স্থাপনের নির্দেশ দেন।[১] ১৮৪১ সালে এখানে মাত্র ৪১ জন ছাত্র পড়াশোনা করত। এরপর রেভেন্ডার প্রাইজ প্রধান শিক্ষক হিসাবে বিদ্যালয়টির দায়িত্ব নেন এবং বিদ্যালয়টিকে একটি মিশনারি বিদ্যালয়ে রুপান্তর করেন। তখন বিদ্যালয়টি রেভেরেন্ড প্রাইজের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ১৮৬৯ সালে বিদ্যালয়টির নাম পরিবর্তন করে “সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়” নামকরণ করে হয় এবং রায় সাহেব দুর্গা কুমার বসুকে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে বিদ্যালয়টি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় এবং পরবর্তীতে বিদ্যালয়টি সরিয়ে নিয়ে বর্তমানে যে স্থানে রয়েছে (কালীঘাট) সেখানে স্থানান্তর করা হয়।

বিংশ শতাব্দী
১৯০৩ সালে রায় সাহেব দুর্গা কুমার বসু স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করলে বৈকুণ্ঠনাথ ভট্টাচার্য বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯১৮ সালে আরও একটি ভূমিকম্পে বিদ্যালয়টি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় এবং ১৯১৯ সালে বিদ্যালয়টি পুনঃস্থাপিত হয়। এটি ১৯২৬ সালে ভয়াবহ বন্যার ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ১৯২৯ সালে শুধুমাত্র একটি ভবন ছাড়া পুরো বিদ্যালয়টি আগুনে পুড়ে যায়। ১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বিদ্যালয় ভবনকে সৈনিকদের থাকার ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করা হয় এবং সৈনিকরা চলে যাওয়ার পর বিদ্যালয়টির কাজ পুনরায় শুরু হয়। ১৯৬২ সালে আব্দুল ওয়াহিদ চৌধুরী প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং বিজ্ঞানাগারের উন্নতি করান এবং শিক্ষকের সংখ্যা বৃদ্ধি করেন। ১৯৬৭ সালে তিনি চট্টগ্রাম বিভাগের সেরা প্রধান শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত হন । একই সালে বিদ্যালয়টির আমূল পরিবর্তনের কারণে তাকে “তমগা-ই-খেদমাত” পুরস্কার দেয়া হয়। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সৈন্যরা বিদ্যালয়টিতে আগুন লাগিয়ে দেয়, অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি ধ্বংস করে এবং বিভিন্ন বই পুস্তক জ্বালিয়ে দেয়।

ক্লাসের সময়সূচী
সমাবেশঃ সকাল ০৮:১৫ ঘটিকা (শনি, সোম ও বৃহস্পতিবার)

ক্লাস শুরুঃ সকাল ০৮:৩০ ঘটিকা

প্রধান শিক্ষকের বাণী

উন্নত শিক্ষা পদ্ধতি, সুশৃঙ্খল পরিবেশ ও নিয়মানুবর্তিতার জন্য এ প্রতিষ্ঠান এক স্বতন্ত্র মর্যাদায় অভিষিক্ত। শিক্ষা দীক্ষা, শিল্প সংস্কৃতি ও খেলাধুলা সকল ক্ষেত্রেই প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে গৌরব উজ্জ্বল সাফল্য। শিক্ষা ও সংস্কৃতি চর্চার ক্ষেত্রে সাপ্তাহিক ও বাৎসরিক কার্যক্রমের ভিত্তিতে এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা স্বীয় মেধা ও প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলেছে। বিভিন্ন শিক্ষামূলক প্রতিযোগিতা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা এবং ক্রীড়াঙ্গনেও রয়েছে ঈর্ষণীয় সাফল্য।

পড়ালেখা, ফলাফল, খেলাধুলা ও অন্যান্য সহ-পাঠ্যক্রমিক কার্যাবলীর ভিত্তিতে আমাদের স্কুল সিলেট বিভাগ তথা দেশের শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে স্থান করে নিয়েছে।

এ প্রতিষ্ঠানের অর্জিত ফলাফলের ধারাবাহিকতা ও সুনাম অক্ষুন্ন রেখে আরো ভাল ফলাফল অর্জন করতে আমরা বদ্ধপরিকর। প্রতিষ্ঠান পরিচালনা এবং শিক্ষার মান উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক সহযোগিতা- আমাদের প্রত্যাশা।

smart

উল্যেখযোগ্য ব্যাক্তিবর্গঃ

সৈয়দ মুজতবা আলী – সাহিত্যিক;
মহম্মদ আতাউল গণি ওসমানী – প্রাক্তন সেনাপ্রধান;
ডঃ আব্দুল মালিক – হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ;
শাহ এ এম এস কিবরিয়া – সাবেক অর্থমন্ত্রী
হুমায়ূন রশীদ চৌধুরী – রাজনীতিবিদ;
সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম – সাহিত্যিক;
শুভ্র দেব – গায়ক;
আবুল মাল আব্দুল মুহিত – রাজনীতিবিদ;
আবুল কালাম আব্দুল মোমেন – অর্থনীতিবিদ,কূটনীতিবিদ
বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান – রাজনীতিবিদ
শরদিন্দু ভট্টাচার্য – অধ্যাপক

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে