কবি পরিচিতি-
মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম(ডাকনাম-সিরাজ) ১৯৯৭ সালের ১১ এপ্রিল পনারকুড়ি গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আব্দুল সামাদ,মাতার নাম আমেলা খাতুন।তিনি গড়াকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২০০৮ সালে কৃতিত্বের সাথে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেন।
২০১৪ সালে বিশরপাশা হরিশ্চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করেন।
২০১৬ সালে আবু আব্বাস ডিগ্রি কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট এর গন্ডি পার হয়ে সদ্য নেত্রকোণা সরকারি কলেজ থেকে বাংলা বিভাগে অনার্সের ফাইনাল পরীক্ষা সমাপ্ত করেন। ২০১৬ সাল থেকেই কবির সাহিত্যে প্রতি প্রবল আগ্রহ জাগে। বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় তার অনেক ছড়া কবিতা প্রকাশ পেয়েছে। তার লেখা প্রথম কবিতা হচ্ছে ‘ডানামেলা পাখি’ ও ‘শৈশব-স্মৃতি ‘। কবির কাব্যিক জীবন সুন্দর ও সার্থক হোক,শুভ কামনা নিরন্তর।
যোগাযোগ- ০১৭৮৬-৪২৪৬৩৭
১। মাকড়সা
আরবি ভাষায় মাকড়সাকে
আনকাবুত বলে,
হাজার হাজার জাল বুনে
তাদের জীবন চলে।
প্রভু বলেন কাফির যারা
মাকড়সাদের দলে,
মাকড়সার মতো কাফিররা
অন্ধ আস্থায় চলে।
প্রভুর কাছে কাফিরদের
নেই কোনো মূল্য,
মাকড়সার সাথে তাদের
তাই হয়েছে তুল্য।
মাকড়সার বাসা যেমন
বাতাসেই উড়ে যায়,
ঠিক তেমনি প্রভুর কাছে
কাফির অসহায়।
মিথ্যে জাল বুনে তারা
নিজের ঘর বানায়,
প্রভুর কাছে মিথ্যে জাল
সহজেই হার মানায়।
২। তোমায় ছোঁয়ার আশায়
হে মায়াবতী!
অনেক ভালোবাসি তোমায়।
কিন্তু সামনা সামনি দাঁড়িয়ে আজও বলা হয়নি।
তবে অনুভূতির আকাশে ইচ্ছে নদীর মোহনায় প্রতিনিয়ত তোমায় খুঁজে বেড়াই।
হে মায়াবতী!
তোমায় ভালোবাসি বলে আজও কোনো সুরভিত
ফুলের সাথে কথা বলি নি। তাছাড়া স্পর্শ করতেও বিবেকে বাধা দিয়েছে।
হে মায়াবতী!
আমার মনে বড় সাধ জাগে কোনো এক ফাগুনের গোধূলি বেলায় তোমায় আলতো করে একটু ছোঁব। জানিনা তোমায় ছোঁয়ে দেখার জন্য আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে।
হে মায়াবতী!
তবে আমার পূর্ণ আস্থা আছে,
হঠাৎ সে শুভক্ষণ এসে আমায় ধরা দিবে,আর সেই শুভক্ষণে তোমার পাশাপাশি বসে না বলা ভালোবাসার কথাগুলো বলবো নিমগ্নচিত্তে।
৩। বন্ধু মানে
বন্ধু মানে অটুট বন্ধন
বন্ধু ভালোবাসা,
বন্ধু মানে সুখে দুঃখে
পাশে থাকার আশা।
বন্ধু মানে ভালোবাসার
কিছু অনুভূতি,
বন্ধু মানে জীবন পথের
নানারকম স্মৃতি।
বন্ধু মানে ঝগড়া ঝাটি
অভিমানী মন,
বন্ধু মানে মন শহরে
লুকিয়ে সর্বক্ষণ।
বন্ধু মানে মিলেমিশে
একসাথে চলা,
বন্ধু মানে সকল কথা
বন্ধুর সাথে বলা।
বন্ধু মানে দূরে গেলে
বাড়তে থাকে মায়া,
বন্ধু মানে সব সময়ে
বটবৃক্ষের ছায়া।
৪।পবিত্র সেই রোজা
বছর ঘুরে আবার এলো
পবিত্র সেই রোজা,
সবাই মিলে করি যেন
চলার পথটি সোজা।
শক্ত করবো ঈমান মোরা
পাপ করিতে মুক্ত,
ভালো কাজের জন্য সবে
হয়ে যাবো যুক্ত।
দাও খোদা বাড়িয়ে দাও
ঈমানের সু-দৃষ্টি,
সবার মনে জাগিয়ে দাও
চেতনার ভাব সৃষ্টি।
পণ করিবো সবে মিলে
রাখতে সকল রোজা,
মিথ্যা কথা ছেড়ে দিয়ে
কমাবো পাপের বোঝা।
জীবন ভরে করছি শুধু
গোনাহ্ যত জমা,
রোজার মাসে চাইবো সবে
খোদার কাছে ক্ষমা।
৫। সন্ধ্যাকাব্য
দিন শেষে আলোর পরে
আঁধার চারিপাশে,
পাখিরা সব আপন আপন
নীড়ে ফিরে আসে।
সাঁঝের বেলা ভালো লাগে
থাকলে চাঁদের আলো,
ঝিকিমিকি করে তারা
দূরতা করে কালো।
চারিদিকে ঝিরি হাওয়া
যখন বয়ে চলে,
মনের সাথে মন তখন
অনেক কথা বলে।
কর্মশেষে মানুষ যখন
ঘরে ফিরে যায়,
আয়েশ করে তারা তখন
ক্লান্তি ভুলতে চায়।
সন্ধ্যা যেমন যৌবন পায়
চাঁদের আলো নিয়ে,
মনের আঁধার দূর করিবো
ভালোবাসা দিয়ে।