মোটর সাইকেল দুর্ঘটনা রোধে করণীয়।।মোটর সাইকেল দুর্ঘটনা এড়াতে যা করণীয়।। মোটর সাইকেল চালানোর নির্দেশিকা।।

0
755

যে লেখাটি একবার পড়লে বাঁচতে পারেন আপনি অথবা বাঁচাতে পারেন হাজারো প্রাণ।বন্ধুরা আজকে সেই লেখাটিই আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি।“সেই লেখাটি হলো মোটর সাইকেল দুর্ঘটনা রোধে যা যা করণীয়”।তাহলে চলুন বন্ধুরা পড়ে নেয়া যাক লেখাটি।

বাইক চালানোর প্রাথমিক জ্ঞান

১।পিঠের অবস্থানঃ কোমরে বেল্ট ব্যবহার করুন এবং পিঠের ওপরের অংশ পেছনের দিকে একটু বাঁকা রাখুন।

২। বিশ্রাম

মোটরসাইকেল চালানোর সময় চিন্তামুক্ত ও প্রফুল্ল মন থাকতে হবে। ২০/৩০ কিলোমিটার পর পর বিশ্রাম নিন।এতে গাড়ির ইঞ্জিনের উত্তপ্ততা একটু হৃাস পাবে।

৩। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগে রাখা

সবারই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা উচিত। গাড়ি চালানোর সময় বাইকের নিবন্ধন সনদ, ট্যাক্স টোকেন, ফিটনেস সনদ, বীমা সনদ ও ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি সঙ্গে রাখুন।

৪। সেফটি গিয়ার ব্যবহার

যেমন হেলমেট, গ্লাভস, জুতা, হাটু-কনুই গার্ড, চেস্ট প্রটেক্টর ইত্যাদি ব্যবহার করা।প্রতিটি যাত্রা শুরুর পূর্বে তেল,মবিল রাতে রিফ্লেক্টরযুক্ত পোশাক ব্যবহার করা। আবহাওয়ার সাথে মিলিয়ে প্রয়োজনীয় পোশাক পরা যেমন শীতে গরম পোশাক, বর্ষায় রেইনকোট, গরমে সুতির কাপড় এবং রাতে উজ্বল রং এর পোশাক পরিধান করতে পারলে ভালো।

৫। হেলমেট পড়তে একেবারেই ভুলবেননা

হেলমেট সাথে না রাখলে একদিকে পুলিশি ঝামেলায় পড়তে হবে অন্যদিকে সাধারন দুর্ঘটনার কবলে পড়লে মাথা সুরক্ষিত থাকবে,এতে বড় দুর্ঘটনা এড়ানো,যাবে।তাছাড়া হেলমেট ছাড়া ইদানিং পেট্রোল কিনতে দেয়া হয় না।সবমিলিয়ে হেলমেট ছাড়া কোনক্রমেই যাত্রাপথে বের হবেননা।

৬। প্রতি মাসে বা ১০০০ কিলোমিটার দৌড়ালে মবিল পাল্টাতে ভুলবেননা

প্রতি মাসে অথবা ১০০০ কিলোমিটার দৌড়ানোর পর মবিল পাল্টাতে ভুলবেননা।মবিল হলো গাড়ির রক্ত স্বরুপ।কোন আলসেমির জন্য বা ৫০০ টাকার জন্য মবিল পাল্টালেননা।মনে রাখবেন এমন সময় গাড়ির স্টার্ট বন্ধ হবে,নজেল,প্লাঞ্জার ভাঙবে যেখান থেকে আপনি ভোগান্তি তো ভোগবেনই,গাড়িটি পুনরায় রিকভার করতে হাজার পাঁচেক টাকা ছাড়া রক্ষাও পাবেননা।তাই এই ব্যাপারে খুবই সাবধান।

অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা এড়াতে যা অবশ্যই করবেন

১। স্পীড ব্রেকার লক্ষ্য করুন

রাস্তার মাঝে অনেক সময় অনেকেই স্পিড ব্রেকারের প্রতি একদমই নজর দিতে ভুলে যান অথবা নতুন কোন রাস্তা দিয়ে গেলে কোথায় কোথায় স্পীডব্রেকার আছে তা জানা থাকেনা। অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা এড়াতে অবশ্যই তা খেয়াল রাখবেন।

২। আপনার চারপাশের যানবাহনের গতি মাত্রা লক্ষ্য করুন

আপনার সামনে পিছনে কি ধরণের যানবাহন চলছে তাঁদের গতি কেমন কিংবা কিভাবে চালাচ্ছে তা সবসময় ফলো করতে হবে।না হলে আপনার সামনের গাড়ি হঠাৎ ব্রেক করলে আপনি ঐ গাড়ির উপর উঠে যেতে পারেন অথবা আপনি হঠাৎ ব্রেক করলে আপনার পেছনের গাড়ি আপনার উপর উঠে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে।অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা রোধে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

৩। গাড়ি ওভারটেক অথবা মোড় ঘুরাতে হলে ডানে বামে অন্য গাড়ি খেয়াল করুন

সাধারনত গাড়ি ওভারটেক করা ঠিক নয়।তার পরো চলতি পথে অনেক সময় সিএনজি বা কম গতি সম্পন্ন গাড়িকে ওভারটেক করতে হয়।সেক্ষেত্রে আগে আপনার পেছনের গাড়িকে অবশ্য অবশ্যই খেয়াল করে আগাবেন এবং আপনার ডানে বামের সিগনাল লাইটগুলো অন করবেন। না হলে আপনি যেইনা ওভারটেক জনিত কারণে আপনার গাড়ির গতি কমাবেন,সামনের গাড়িকে অতিক্রমের জন্য ডানে বা বামে যাবেন ঠিক তখনি পেছনের উচ্চ গতি সম্পন্ন গাড়ি আপনাকে ধাক্কা দেবে।বলে রাখা ভালো গাড়ি দুর্ঘটনার ৯০ ভাগই রোধ করা সম্ভব কেবল এই বিষয়টি খেয়াল করার মাধ্যমে।গাড়ি মোড় ঘুরানোর ক্ষেত্রেও একই অবস্থা।তাই এই বিষয়টি শতভাগ ফলো করে চলবেন।

৪। সিএনজি,অটো,লেগুনাকে ভুলেও ফলো করবেন না।

দুর্ঘটনার প্রায় ২০ ভাগ সংঘটিত হয় এই সিএনজি,অটো,লেগুনা বা এই জাতীয় পাবলিক যানবাহনকে ফলো করার মাধ্যমে। কারন এই যানবাহন গুলো হঠাৎ থামিয়ে দেয় লোক উঠানো বা নামানোর জন্য। এমতাবস্থায় আপনি একটু বেখেয়াল হলেই দুর্ঘটনা নিশ্চিত।কাজেই এদের ফলো করা এড়িয়ে চলুন।

৫। গাড়ি ওভারটেক করতে হলে ২০/৩০ হাত পেছন থেকে ট্রাই করুন

আপনার চেয়ে বড় যানবাহন ওভারটেক করতে হলে কমপক্ষে ২০/৩০ হাত পেছন থেকে ট্রাই করুন।কারণ আপনি যে গাড়ির পেছনে আছেন তা আপনার বিপরীতগামী গাড়ির ড্রাইভার অনেক সময়ই দেখতে পায় না।যেকারনে আপনি যদি আপনার নিকট সামনের গাড়িকে ক্রস করতে হঠাৎ ডানে মাঝ রাস্তায় চালিত করেন তখন আপনার বিপরীতগামী গাড়ি আপনার উপর উঠে যেতে পারি যার দায়ভার আপনাকেই নিতে হবে,এমনকি পেছনের কোন গাড়িও আপনাকে ধাক্কা দিতে পারে।তাই এই ব্যাপারটা অবশ্যই অবশ্যই মাথায় রেখে ওভারটেকের উদ্যোগ নেবেন।

৬। বড় গাড়ির পেছনে থাকলে হর্ণ বাজতে ভুলবেননা

আপনার চাইতে বড় গাড়ির পেছনে থাকলে বার বার হর্ণ বাজাবেন।এতে করে আপনার বিপরীতগামী গাড়ির ড্রাইভার আপনার উপস্থিতি সহজে বুঝতে পারবে।তখন ঐ ড্রাইভার সতর্কভাবে গাড়ির গতি এবং পথ কন্ট্রোলিং করবে।

৭। নিয়ন্ত্রিত গতিতে গাড়ি চালানো

নিয়ন্ত্রণের মধ্যে চললে যে কোন সমস্যা আগেই বুঝা যায়। ফলে বড় রকমের কোন দূর্ঘটনা থেকে বাঁচা যায়। ৪ গিয়ারে ৪০-৫০কিমি স্পীডে বাইক চালালে বাইকের জন্য, নিজের জন্য যেমন ভালো, তেমনি তেল সাশ্রয়ীও বটে।তাই নিয়ন্ত্রিত গতিতে গাড়ি চালালে অনেক অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা সহজে রোধ করা সম্ভব।

৮। ভেজা রাস্তা বা বৃষ্টির দিনে গাড়ি চালানোতে সতর্কতা জরুরী

রাস্তায় বৃষ্টি হলে বা ভেজা থাকলে গাড়ির গতি কমিয়ে সতর্কভাবে চালানো উচিত।নতুবা কোন কারণে গাড়ি ব্রেক করতে চাইলে তা পেছনের চাকা পিছলাবে এবং নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।তাই এই বিষয়ে খেয়াল রাখলে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা হৃাস পাবে।

৯। রাস্তার মোড় বা বাঁকা রাস্তায় সতর্কতা মাস্ট

রাস্তার মাঝে থাকা টার্নিং পয়েন্ট মানে বাঁক গুলো দেখে চালান এবং বুঝে নিন কিভাবে সেই জায়গাটুকু আপনি রাইড করে পার হবেন। আপনার বাইকের সুবিধা এবং কার্যক্ষমতা বুঝে এসব টার্নিং পয়েন্টগুলোর মাঝে টার্নিং কিংবা কর্ণারিং করে জায়গাটুকু পার হয়ে যান।

১০। ‘ব’ দিয়ে যে শব্দগুলো গঠিত হয় তা এড়িয়ে চলবেন

‘ব’ দিয়ে যে শব্দগুলো গঠিত হয় যেমন- বালক,বালিকা,বাচ্চা,বুড়ো,বাছুর,বান্দর,বল যাই হোক এদের এড়িয়ে চলবেন।এদের উপর কখনই বিশ্বাস রাখবেননা।রাস্তায় এদের দেখলেই ধরে নিবেন এড়া যেকোন সময় পল্টি মেরে ডান থেকে বামে,বাম থেকে ডানে চলে যেতে পারে।তাই এ ব্যাপারে অবশ্যই সতর্ক থাকবেন।

১১। বাইকে দুইজনের বেশি নয়

দুজনের বেশি বাইকে বসা যেমন বেআইনী তেমনি অনিরাপদও, সাথে বাইকের জন্য ক্ষতি, তেল খরচ বেশি।তাই দুজনের বেশি বাইকে নিবেন না। দুজন থাকলে, দুজনেই হেলমেট ব্যবহার করবেন।আবার তিনজন রওয়ানা দিলে পুলিশি ঝামেলায় ও পড়তে পারেন তাই সাবধান।

১২। চলন্ত অবস্থায় মোবাইলে কথা বলা সম্পূর্ণ নিষেধ

বাইক চালানো অবস্থায় মোবাইলে কথাবলা মোটেও উচিত নয়। আপনার জীবনের থেকে মোবাইলে কথা বলা বেশি গুরুত্বপূর্ন নয়। প্রয়োজনে বাইক রাস্তার একপাশে নিরাপদে পার্ক করে এরপর কথা বলুন।

১৩। অপ্রয়োজনীয় ওভারটেক করতে যাবেননা

অপ্রয়োজনীয় ওভারটেক বিপদ ডেকে আনে। দেশে ওভারটেক করতে গিয়ে এক্সিডেন্টের ঘটনা অনেক।ওভারটেক করতে হলে নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে হর্ণ দিয়ে ওভারটেক করুন।সাথে ডানে বামে এবং বিপরীতগামী গাড়ির পজিশন অবশ্য লক্ষ করে ওবারটেকের উদ্যোগ নেবেন।

১৪। রাস্তায় গাড়ির রেস না করা

যাত্রাপথে কোনক্রমেই রেসে অংশগ্রহণ করা যাবেনা।অন্য বাইকার আপনাকে ওভারটেক করে চলে গেলো আর সাথে সাথে আপনিও তাকে ওভারটেক করার জন্য রেস শুরু করলেন এটি মোটেও নিরাপদ নয়।মনে রাখবেন আপনি আপনার ব্যাপারে কেয়াররেস হলেও আপনার পরিবার আপনার জন্য কেয়ারফুল, পরিবারের স্বার্থেই রেস খেলা থেকে বিরত থাকুন।

১৫। আবহাওয়া পরীক্ষা করে বের হওয়া। বৃষ্টি, বরফ এবং তুষার আপনার যাত্রায় বেঘাত ঘটাতে পারে। বাইরের চালকদের পক্ষে এই উপাদানগুলিতে ড্রাইভিং বিপজ্জনক কারণ আপনার গাড়ির চেয়ে কম ট্র্যাকশন রয়েছে এবং দৃশ্যমানতা কম। যদি আবহাওয়া পূর্বাভাসে থাকে তবে একটি ভালো দিন সিলেক্ট করুন

১৬। রাস্তায় বালু,তেল,নুড়ি তেল, গর্ত দেখলে সাবধান হোন

বালু, তেল এবং নুড়ি পাথর আপনার গাড়ির ট্র্যাকশন হারাতে পারে। বাধা এবং গর্ত সমান বিপদজনক এবং এড়ানোও উচিত। উপযুক্ত কোণে রেলপথ ট্র্যাকগুলি ক্রস করুন।সর্বাস্থায় এগুলো সাধানে হ্যান্ডল করুন।

১৭। চলন্ত অবস্থায় হার্ড ব্রেক না ধরা

চলন্ত অবস্থায় অর্থাৎ গাড়ির গতিবেগ ৫০/৬০ কিলোমিটার থাকা অবস্থায় কখনো হার্ড ব্রেক ধরবেন না এতে গাড়ি উল্টে যাবার সম্ভাবনাই বেশি।তার পরো যদি অনাকাঙ্খিত কোন বিষয় চলে আসলে যদি হার্ড ব্রেক ধরতে হয় তখন নিজের আন্দাজ বুঝে এক সাথে হার্ডেব্রেক, পায়ের নিচের ব্রেক এবং গাড়ি গিয়ার কন্ট্রোলিং ব্রেক এক সাথে ধরবেন,এতে করে গাড়িটি সহজে উল্টিবেনা,তারপরো ঝুঁকিপূর্ণ মনে হলে আবার ছাড়বেন,আবার ধরবেন এইভাবে অন্তত তিনবার করলে শতভাগ গাড়ি কন্ট্রোলে চলে
আসবে।এই পদ্ধতিতে আপনিও বাঁচবেন,পথচারিও বাঁচবে সহজে।

১৮। সম্ভব হলে একটি ড্রাইভিং কোর্স করুন

সম্ভব হলে একটি ড্রাইভিং কোর্স করে নিতে পারেন।একটি মোটর সাইকেল কোর্স আপনাকে কিভাবে মোটর সাইকেল নিরাপদে চালাতে হয় তার নিয়ম শিখাবে।কিভাবে অপ্রত্যাশিত রাইডিং পরিস্থিতিতে দেখা দিতে পারে তখন আপনার পদক্ষেপ কি হতে পারে এমন উপযুক্ত পদক্ষেপগুলিও শিখতে পারবেন। মোটর সাইকেল চালানোর জন্য দক্ষতা এবং সুবিচারের প্রয়োজন এবং একটি কোর্স আপনাকে এগুলি অনুশীলন করতে সহায়তা করতে পারে।

১৯। বাইরোড ও ভেতরের রোড থেকে মেইনরোডে নামতে গতি কমানো

আপনি কোন বাইরোড বা পাড়ার কিংবা ভেতরে রোড থেকে যখন মেইন রোড অর্থাৎ প্রচুর গাড়ি চলে এমন রোডে নামবেন বা উঠবেন তখন অবশ্যই আপনার গাড়ির গতি কমাবেন এবং ধীরে ধীরে ডান বাম দেখে উঠবেন।প্রয়োজনে গাড়ি থামিয়ে সুযোগ বুঝে মেইন রোডে উঠবেন।এসময় কখনই ধৈর্য হারালে চলবেনা।আশা করি এভাবে অনেক দুর্ঘটনা থেকে সহজে রক্ষা পেতে পারবেন।

২০। ক্লাস কন্ট্রোল না করে গিয়ার উঠাবেন নামাবেন না

চলতি পথে অনেক সময় গাড়ির গিয়ার চেঞ্জ করতে হয়।সেক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই ক্লাস কন্ট্রোল করে অর্থাৎ গাড়ি নিউট্রাল করে গিয়ার উঠাবেন বা নামাবেন নতুবা গাড়ির গিয়ারে চাপ দিলে গাড়ির অপ্রত্যাশিত ঝাঁকুনি বা গতির পরিবর্তন জনিত কারণে আপনি কন্ট্রোল হারিয়ে অনাকাঙ্খিত পরিস্তিতির মুখোমুখি হতে পারেন।আর একটি গাড়ির গিয়ার কখনই একসাথে চর নম্বরে নিবেননা বা চার নম্বর থেকে ১ নম্বরে নামাবেন না, এতে করে গাড়ির তো ক্ষতি হবেই, উপরন্তু হঠাৎ চার নম্বরে নিলে গাড়ি বন্ধ হতে পারে আর এক নম্বরে নিলে গাড়ি সাউন্ড করে থমকে যাবে,ফলে চলন্ত রোডে অনাকাঙ্খিত সমস্যার মুখোমুখি হওয়া খুবই স্বাভাবিক।তাই ব্যাপারে অবশ্য অবশ্যই সজাগ থাকতে হবে।

২১। উঁচু ব্রীজ অতিক্রম করতে খুবই সতর্ক থাকুন

উঁচু ব্রীজ অতিক্রম করতে সতর্কতার বিকল্প নেই।ব্রীজে উঠতে বার বার হুঁইসেল দিন কারন বিপরীতগামী গাড়ি আপনিও দেখবেননা, ওরাও আপনিও দেখবেননা।সেক্ষেত্রে হর্ণ বাজানো অব্যাহত রাখলে উভয়েই উভয়ের উপস্থিতি সহজে অনিধাবন করতে পারবেন।ঠিক তেমনি ব্রীজ থেকে নিচে নামার ক্ষেত্রে গতি নিয়ন্ত্রণে রাখুন নতুবা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অন্য কোন গাড়ী,পথচারী বা বড় গাছে আঘাত অথবা খাঁদে পরে যেতে পারেন।তাই এ ব্যাপারে খুবই সতর্ক থাকলে লাইফে অনেক দুর্ঘটনাই
এড়াতে পারবেন।

২২। মনে রাখবেন কেবল আপনিই মোটর সাইকেল চালানোর নির্দেকাহুলো,জানেন

মোটর বাইক চালানোর সময় ধরে নিবেন কেবল আপনিই মোটর সাইকেল চালনোর নির্দেশিকাগুলো জানেন।এতে আপনি আপনার ড্রাইভিং এর প্রতি সর্বাক্ষিণক যত্নশীল থাকবেন।আপনি যদি ভুল করেও মনে করেন অন্যরাও আপনার মতো সবকিছু জানেন, বুঝেন তাহলে ভুল করছেন,এবং যেকোন সময় দুর্ঘটনায় পতিত হতে পারেন।মনে রাখবেন হাতে পাঁচ আঙ্গুল সমান নয়।তাই আপনার যাত্রা শুভ রাখতে অবশ্যই আপনাকেই সচেতন থাকতে হবে।

সবশেষে বলায় যায় বাঁচতে হলে সময়ের মূল্য অনেক।কিন্তু মনে রাখবেন সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য আরো অনেক বেশি।কারণ আপনার জীবন আপনার কাছে যতটা না মূল্যবান তার চেয়ে অধিক মূল্যবান আপনার বাবা,মা, স্ত্রী – পুত্র,ভাই,বোন,পড়শীর কাছে।আপনার উপর ওদের রিজিক নির্ভর করতে পারে,পড়া- লেখা,বেড়ে উঠা সবকিছু নির্ভর করতে পারে।অতএব আপনি এই পৃথিবীর গুরুত্বহীন কেউ নন।অতএব চলার পথে এই বিষয়গুলো মাথায় নিয়ে পথ চলবেন।আশাকরি উপরের নিয়মগুলো ফলো করলে অন্তত ৯৮/৯৯ ভাগ দুর্ঘটনা এড়াতে পারবেন।বাকিটুকু সৃষ্টি কর্তার উপর ভরসা।আমি নিজেও একটি মারাত্মক এক্সিডেন্ট থেকে স্ত্রী- পুত্র নিয়ে বেঁচেছি।সেই থেকেই এই লেখাটার তাগিদ অনুভব করেছিলাম যাতে করে আমার মতো আপনারা কেউ এমন দুর্ঘটনার মুখোমুখি না হোন।সব শেষে আমার জন্যও দোয়া/ আশীর্বাদ রাখবেন আমি এবং আমার আত্মীয় পরিচিতজন জীবদ্দশায় যেনো কোন দুর্ঘটনার মুখোমুখি না হই।এইবারের মতো এ পর্যন্তই।ভালো থাকুন সবসময়,অনাবিল শুভকামনা সকলের জন্য।

লেখক

জীবন কৃষ্ণ সরকার
কবি ও প্রাবন্ধিক
সভাপতি,হাওর সাহিত্য উন্নয়ন সংস্থা(হাসুস) বাংলাদেশ।

বিঃদ্রঃ লেখাটি প্রায় দুই বছরের মোটর সাইকেল চালানোর অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে লিখলাম।অনেক সাধনা আমার এই মৌলিক লেখাটি দয়া করে কেউ কপি করবেননা। তবে শেয়ার করে লেখাটিকে মানুষের উপকারের জন্য ভাইরাল করতে পারেন।তবে যদি কপি করেনই তবে অন্তত আমার নাম সহ কপি করে পোষ্ট করার অনুরোধ রাখা হলো।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে