মুক্তিযুদ্ধে মধ্যনগর।।মুক্তিযুদ্ধে কমরেড লালমোহন রায়

0
148

কমরেড লালমোহন রায়

২০১৩ সালে ১৩ সেপ্টেম্বর।এক সাক্ষাতকারে বিপ্লবী লালমোহন রায় বলেন”আমি হেনা দাসের সাথেও কাজ করেছি। আবার ‘বাছিত ভাই’ ছদ্মনামেও আন্ডারগ্রাউন্ডে কাজ করেছি। শিলং পার্লামেন্ট ঘেরাও করতে ৭০/৮০ কি.মি. পথ হেটেছিলাম। আমাকে ধরার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিলো।
আমি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ওয়ারেঙ্কা ক্যাম্পে শরনার্থী শিবিরে বাসস্থান,শিক্ষা ও স্বাস্থবিভাগের সেক্রেটারীর দায়িত্ব পালন করি। এসময় যুদ্ধাহতদেরকে সেবা করার জন্য আমার ভাইবউ বাসন্তীরায়কে ক্যাম্পে পাঠাই। আমি যুবকদেরকে উৎসাহ দিয়েছি মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার জন্য।”

কমরেড লালমোহন রায় দেখেছেন ব্রিটিশ শাসন,দেখেছেন পাকিস্তান শাসন,দেখেছেন বাংলাদেশ।
লড়েছেন ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংগঠক হিসেবেও কাজ করছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় বাসন্তী রায়,কল্যানী ও শিবানীকে বড়ছড়া ক্যাম্পে পাঠিয়েছিলেন যুদ্ধাহতদের সেবা করার জন্য। তিনি সানেশ্বর-দাসের বাজার কৃষক আন্দোলন,লাউতা- বাহাদুরপুর নানকার আন্দোলন,শিলং পার্লামেন্ট ঘেরাও ইত্যাদি আন্দোলনের সাথেও ওতোপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন
২০১০ সালে ৩ ডিসেম্বর মধ্যনগর ছাত্রকল্যাণ পরিষদ সিলেট ও মেঠোসুর সিলেটে তাঁকে সম্মাননা প্রদান করে। জানা যায়, হাওরপারের ধামাইল বাংলাদেশ, আনোয়ার বাছিত ফাউন্ডেশন ও এসপি রায় ফাউন্ডেশন সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন তাঁকে সম্মাননা প্রদান করে।

ছবিঋণ: বিবেশ রায়,বিমান তালুকদার,সুমন তালুকদার আকাশ,অভিজিৎ রায়।
তথ্যসূত্রঃ অসীম সরকার

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে