মাস্টার দা সূর্যসেন।।সূর্যসেন।।শুভ জন্মদিন মাস্টার দা

0
292

সশস্ত্র বিপ্লবী, বাঘা যতীনের আত্মদানে উদ্বুদ্ধ হয়ে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের এক মহান সৈনিক এবং চট্টগ্রাম বিদ্রোহের অস্ত্রাগার লুন্ঠনের মহা নায়ক মাষ্টার দা’ সূর্য সেন ১৮৯৩ সালে ১৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম জেলার, রাউজান থানার অন্তর্গত নোয়াপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। পিতা এবং মাতা যথাক্রমে রাজমনি সেন ও শশী বালা।
সূর্য সেন চট্টগ্রাম, মুর্শিদাবাদের বহরমপুর জেলার বহরমপুর কলেজে পড়া শোনা করেন। পরবর্তীতে ১৯১৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি, এ পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ হন। বহরমপুর কলেজে অধ্যয়ন কালে তাঁর শিক্ষক অধ্যাপক সতীশ চন্দ্র চক্রবর্তীর মাধ্যমে তিনি গোপন বিপ্লবী সংগঠনের সঙ্গে পরিচিত হন এবং অবিভক্ত ভারতের মুক্তির জন্য বিপ্লবী সংগ্রামের যোগদানের প্রেরণা লাভ করেন।
শিক্ষা জীবন সমাপ্ত করে সূর্য সেন চট্টগ্রাম শহরের দেওয়ান বাজার এলাকার “উমাতারা” উচ্চ ইংরেজী বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ছিলেন নিরহঙ্কার, অনাড়ম্বর, বিনয়ী, স্বল্পভাষী ও নিরীহ প্রকৃতির মানুষ। দৃঢ় চরিত্রের জন্য তিনি সকলের শ্রদ্ধা অর্জন করেন এবং সাধারণ ভাবে ‘মাষ্টার দা’ নামে অধিক পরিচিত ছিলেন। ১৯১৯ সালের গোড়ার দিকে কানুনগো পাড়ার নগেন্দ্রনাথ দত্তের কন্যা পুষ্প কুন্তলার সঙ্গে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। শিক্ষকতার পাশাপাশি সূর্যসেন চট্টগ্রামের বিপ্লবী কর্মী অনুরূপ সেন, চারু বিকাশ দত্ত, অম্বিকা চক্রবর্তী, নগেন্দ্রনাথ সেন প্রমূখের সঙ্গে গোপন বিপ্লবী দল গঠনের কাজ শুরু করেন। দুরদর্শিতা ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞাবলে তিনি কিছুদিনের মধ্যেই দলের নেতা হিসাবে স্বীকৃত হন। দেশের স্বাধীনতার জন্য বিপ্লবী সূর্যসেন প্রত্যক্ষ সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন। বাঙালির মুক্তির সংগ্রামে তিনি ছেড়ে দিলেন শিক্ষকতা। ছেড়ে দিলেন সংসার, হলেন সর্ব ত্যাগী, মুক্তির সাধক। বিপ্লবী তরুণ সমাজের সর্বাধিনায়ক।

১৯২১ সালে মহাত্মা গান্ধীর অসহযোগ আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে সূর্য সেন যুবক দের বিপ্লবী চেতনায় উদ্বুদ্ধ করার কাজে আতœনিয়োগ করেন। কিছু দিন পর গান্ধিজী অহিংস আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিলে সূর্য সেন অস্ত্র ক্রয়ের উদ্দেশ্যে বিপ্লবীদের অর্থ সংগ্রহের নির্দ্দেশ দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর তারই নির্দেশে অনন্ত সিংহ দেবেন দে ও নির্মল সেন চট্টগ্রাম শহরের উপকন্ঠে পাহাড় তলীতে অবস্থিত “আসাম বেঙ্গল” রেলওয়ে কোম্পানীর কারখানার কর্মচারীদের বেতন ভাতার সতেরো হাজার টাকা ছিনতাই করেন।
এর কিছুদিন পর পুলিশ গোপন সুত্রে খবর পেয়ে সূর্য সেনের আস্তানায় হানা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে একখন্ড যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধ “নগর খানা পাহাড় খন্ড যুদ্ধ” নামে ইতিহাসে পরিচিত। যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে শারীরিক সার্মথ্য হারিয়ে সূর্য সেন ও অম্বিকা চক্রবর্তী বিষ পানে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। কিন্তু বিষ ক্রীয়া তীব্র না হওয়ায় তারা উভয়েই সে যাত্রায় বেচে যান এবং গ্রেপ্তার হন। তবে বিচারে তাঁদের কোন অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁরা অচীরেই মুক্তি লাভ করেন। ১৯২৬ সালে সূর্য সেন টের্গাট হত্যা প্রচেষ্ঠার দায়ে গ্রেপ্তার হয়ে কারা ভোগ করেন এবং ১৯২৮ সালে বোম্বাইয়ের “রত্মগিরি জেল” থেকে মুক্তি পান। ১৯২৯ সালের গোড়ার দিকে সূর্যসেন চট্টগ্রাম জেলা কংগ্রেসের সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন এবং ঐ বছরই তারই নেতৃত্বে চট্টগ্রামে চারটি বড় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তন্মন্ধে জেলা যুব সম্মেলনটি উদ্ভোধন করেন নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু।

১৯৩০ সালের শুরুতে সূর্য সেন চট্টগ্রামে একটি সুসংঘটিত বিপ্লব সংঘটিত করার কাজে আতœনিয়োগ করেন। এ বছর ১৮ এপ্রিল তাঁর নেতৃত্বে মোট ৬০ জন বিপ্লবী ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দলে বিভক্ত হয়ে পাহাড়তলীর ফৌজি আস্ত্রাগার দখল করেন এবং চট্টগ্রামকে স্বাধীন ঘোষণা করেন। সেইসঙ্গে চট্টগ্রামে সামরিক বিপ্লবী সরকার ও গঠন করা হয়। সশস্ত্র বিদ্রোহের চারদিন পর অর্থ্যৎ ২২ এপ্রিল চট্টগ্রাম শহরের উপকন্ঠে জালালাবাদ পাহাড়ে বিপ্লবীদের সঙ্গে সুসজ্জিত ইংরেজ বাহিনীর সম্মূখ য্দ্ধু সংঘটিত হয়। সূর্যসেন আর লোকনাথ বলের চাতুর্যপূর্ণ আক্রমনে ইংরেজ বাহিনী পর্যুদস্ত ও পরাভূত হয়। পরবর্তীতে ইংরেজদের সঙ্গে বিপ্লবীদের আরো কয়েকবার খন্ড যুদ্ধ সংঘটিত হয়। তখন সূর্যসেন আত্মগোপন করে বিপ্লবী তৎপরতা অব্যাহত রাখেন। তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য সরকার সে’সময় দশহাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন।
১৯৩৩ সালের ২রা’ ফেব্রুয়ারী সূর্যসেন তার এক নিকট আত্মীয়ের বিশ্বাস ঘাতকতায় চট্টগ্রামের পটিয়ার গৈরালা গ্রামের ক্ষীরোদপ্রভা বিশ্বাস নাম্নী এক পৌঢ়া মহিলার বাড়িতে অবস্থান কালে গুর্খা সৈন্যের হাতে ধরা পড়েন। বিপ্লবী নেতা সূর্যসেন ১৯৩৪ সালের ১২ জানুয়ারী চট্টগ্রাম জেলে ফাঁসিতে আত্মাহুতি দেন।

জাতির ইতিহাসে শহীদ সূর্যসেন অমর অক্ষয়। অবিভক্ত বাংলার মুক্তির বিপ্লবের ইতিহাসে আজও তিনি মৃত্যুঞ্জয়ী বীর। মাষ্টারদা সূর্যসেন কে ফাঁসি কাষ্টে ঝোলানোর আগে তাঁকে নির্মমভাবে প্রহার করা হয়েছিল। আঘাতে আঘাতে মাষ্টার দা’র সব দাঁত সেদিন উপড়ে তুলে নেয়া হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ওরা ফাঁসি দিয়েছিল মাষ্টার দা’কে নয়, তাঁর রক্তাক্ত ক্ষত-বিক্ষত অচৈতন্য দেহটাকে।
সাম্রাজ্য বাদী ব্রিটিশ সরকার তার মৃত দেহ ১৫ মন পাথর বেঁধে বঙ্গোপসাগরে ফেলে দিয়েছিল। সভ্য দেশের ফাঁসির আসামির লাশ আতত্মীয় স্বজনদের কাছে ফেরত দেয়া হয়। আমি সে সময়ের ব্রিটিশ গর্ভনমেন্টকে সভ্য জাতি হিসেবে না অন্য কিছু হিসেবে অভিহিত করবো? মাষ্টার দা’ সূর্যসেন যিনি সম্মুখ যুদ্ধে বীরত্বের সঙ্গে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদকে পরাজিত করেছেন।
তথ্যসূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক
নিচের লেখাটি ফেসবুক থেকে সংগৃহিত

বিয়ের রাত, মাস্টারদা এসেছেন বিয়ে করতে। বিয়ের মন্ত্র পড়া হবে, এমন সময় হঠাৎ পাশ থেকে একজন মাস্টারদার হাতে গুঁজে দিল একটু চিরকুট। চিরকুট পড়ে খুবই চিন্তিত ও গম্ভীর হয়ে গেলেন মাস্টারদা। গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ এসেছে কলকাতার দলের উচ্চমহল থেকে। ফুলশয্যার রাতে নির্জন কক্ষে সহধর্মিণী পুষ্পকে বললেন “তোমার কাছে আমার অপরাধের সীমা নেই। তুমি আমার অগ্নি সাক্ষী করা স্ত্রী। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তুমিই আমার স্ত্রী থাকবে। দলের গুরুত্বপূর্ণ কাজে আমার ডাক এসেছে। আজ ই তোমার কাছ থেকে আমাকে বিদায় নিতে হবে।” অশ্রুসিক্ত নয়নে মাস্টারদাকে বিদায় দিয়েছিলেন নব বিবাহিতা স্ত্রী পুষ্প। শুধু জিজ্ঞেস করেছিলেন মাস্টারদার চিঠি পাবে কিনা।
কথা রেখেছিলেন মাস্টারদা। চিঠি আসতো পুষ্পর কাছে, খুব গোপনে। সে চিঠি শুরু হতো “স্নেহের পুষ্প” দিয়ে আর শেষ হতো “তোমারই সূর্য” দিয়ে। আর দেখা হয়নি স্বামী-স্ত্রীর? হয়েছিল, পুষ্প যখন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত, মৃত্যু পথযাত্রী; সূর্য তখন জেলে। প্যারোলে কয়েক ঘণ্টার জন্য ছাড়া পেয়ে স্নেহের পুষ্পকে দেখতে এসেছিলেন মাস্টারদা। কিন্তু তার আগেই জীবন-প্রদীপ নিভে গেছে পুষ্পর।

২রা ফেব্রুয়ারী ১৯৩৩ সাল….
পলাতক সূর্য সেনকে গৈরালা গ্রামে নিয়ে এসেছেন বিপ্লবী ব্রজেন সেন । মাষ্টারদার সাথে রয়েছেন তার একান্ত অনুগত শান্তি, কল্পনা দত্ত, সুশীল ও মণি দত্ত । তাঁরা ছিলেন গ্রামের বিশ্বাস বাড়িতে, পরম যত্নে আগলে রেখেছিলেন সে বাড়ির বড়বধূ ক্ষিরোদপ্রভা ।

বেশ ছিলেন কিন্ত বিপদ এলো অন্য দিক দিয়ে । প্রতিবেশী নেত্র সেনের সন্দেহ হলো কারা আছে বিশ্বাস বাড়িতে? কিসের এত ফিসফাস, গুঞ্জন। খবর লাগাতে বললেন নিজের গিন্নিকে ।
গ্রাম্য বধূটি সরল মনে এসে বললো, “ও বাড়িতে সূর্য সেন লুকিয়ে আছে গো!! অমন লোককে খাওয়ালেও যে পূণ্যি লাভ!!”
শুনে লাফ দিয়ে উঠলো নেত্র। খবর দিলেই যে কড়কড়ে দশ হাজার টাকা!! বউকে আশ্বস্ত করে ব্যাগ হাতে তখনই বেরিয়ে পড়লো, সোজা উঠলো গিয়ে থানায় ।

সেদিন রাতে ঘুম ভাঙতে চমকে উঠলো ব্রজেন, জানলা দিয়ে লণ্ঠন দেখিয়ে কি করছে দাদা নেত্র সেন? এক মিনিটও লাগলো না বুঝতে, ছুট লাগালেন বিশ্বাস বাড়ির দিকে। দেরী হয়ে গেছে ততক্ষনে, ক্যাপ্টেন ওয়ামসলের নেতৃত্বে গোটা বাড়ি ঘিরে ফেলেছে গোর্খা সেনার দল। রকেট বোমার আলোতে সবকিছু দিনের মতো স্পষ্ট।

পরদিন সমস্ত সংবাদপত্রের হেডলাইন….. ‘গৈরালা নামক গ্রামে সূর্য সেন গ্রেফতার। এনাকে ধরবার জন্য সরকার দশহাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করিয়াছিলেন।’ (অমৃতবাজার পত্রিকা ১৭.০২.১৯৩৩)

তিনদিন পর………
সন্ধে বেলায় জলখাবার খেতে বসেছে নেত্র সেন, পাশে স্ত্রী। দরজায় শব্দ হতে উঠে গিয়ে খুলে দিলেন। পাড়ারই চেনা ছেলে দেখা করতে এসেছে স্বামীর সঙ্গে। সবে উনি ভাবছেন সেখান থেকে সরে যাবেন কিনা, আচমকা পাড়ার সেই ছেলের হাতের ভোজালির কোপে স্বামীর মুণ্ডু ছিটকে পড়লো!!

থরথর কাঁপছেন গ্রাম্য বধূ। ঘাতক যাওয়ার আগে বলে গেলেন, মাস্টার দার সঙ্গে বেইমানি করার উপযুক্ত শাস্তি।

বৃটিশ পুলিশ কতবার কতভাবে জেরা করেছে সাধারণ আটপৌরে ঐ বধূটিকে। একবার তিনি বলুন স্বামীর ঘাতকের নাম। মুখ খোলেননি নেত্র সেনের বিধবা স্ত্রী|
শুধু বলেছিলেন চোখের সামনে তিনি স্বামীকে লুটিয়ে পড়তে দেখে মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত। স্বামী হারানোর যন্ত্রণায় এখন কষ্ট পাচ্ছেন, আর কিছুই বলার নেই। কিন্তু যে মানসিক যন্ত্রণায় তিনি সবথেকে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন তা হল এই জেনে যে তাঁর স্বামী নেত্র সেন একজন বিশ্বাসঘাতক, যিনি পুলিশের পুরস্কারের লোভে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন মাস্টারদার মতো ব্যক্তির সঙ্গে। তাই তাঁকে হত্যা করে ঠিকই করেছেন মাস্টার দার সহযোগী ঐ তরুণ। মেরে ফেললেও তিনি ওই বিপ্লবীর নাম ফাঁস করবেন না।

হয়রানির বেশি আর কিছু নেত্র সেনের স্ত্রীকে করেনি ব্রিটিশ পুলিশ। ততদিনে তাদের উদ্দেশ্য সিদ্ধ হয়ে গেছে। কারাগারে নির্মম অত্যাচার করা হচ্ছে মাস্টারদার উপরে।

অনেকদিন পর জানা গিয়েছিল হত্যাকারী আর কেউ নয় – সেন বংশের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করার দায়িত্ব স্বেচ্ছায় নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিল ঐ বাড়িরই ছোট ছেলে কিরন সেন। মাষ্টারদা মরার আগে জেনে গেছিলেন দেশদ্রোহীকে চরম দন্ড দিতে তাঁর মন্ত্রশিষ্যরা এতটুকু দয়া দেখায়নি।
মুক্তির মন্দিরের সোপান তলে এরকম কত কিরণ নিঃশব্দে দিয়েছে বলিদান ……আমরা মনে রাখিনি।

বাঙালির সর্বকালের শ্রেষ্ঠ সেনাপতি মাস্টারদার জন্মদিনে আজ স্মরণ করি স্বাধীনতার সেই অনামী সেনানীকে, আর প্রণাম জানাই সেই গ্রাম্য বধুকে; শত প্রলোভনেও যিনি উচ্চারণ করেননি তার বিশ্বাসঘাতক স্বামীর হত্যাকারীর নাম।

“তোমাকে ভুলে গেলে নিজেকে ভুলে যাওয়া।
তোমার বিপ্লব আজও উদীয়মান সূর্যের আলোর মতো।
যতোদিন এই পৃথিবীতে সূর্য উঠবে, ততোদিন তুমিও থাকবে মাস্টারদা সমগ্ৰ ভারতবাসীর অন্তরের অন্তঃস্থলে।”

শুভ জন্মদিন
মাস্টারদা সূর্যসেন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে