জনগণের উপজেলা স্থাপিত হোক জনগণের সুবিধাজনক স্থানে
মধ্যনগর উপজেলা ঘোষণার পর পরই ফেসবুকে একটি দাবি জোড়ালোভাবেই উঠে এসেছে আর তা হলো উপজেলার স্থান নির্বাচন।সংগত কারণেই আমিও মনে করি এই বিষয়টি নিয়ে বিশদ আলোচনা-পর্যালোচনার প্রয়োজন রয়েছে।যে জনগণের সুবিধার জন্য দীর্ঘ ২০ টি বছর আন্দোলন,সংগ্রাম,সেই জনগণের উপকারেই যদি উপজেলা কাজে না আসলো তাহলে এই দীর্ঘ প্রচেষ্টার কি দাম থাকলো? বিষয়টা আরেকটু ক্লিয়ার করে আলোচনা করা যাক।ধরুণ ধর্মপাশা উপজেলা থাকতে আমরা মধ্যনগরবাসী দীর্ঘশ্বাস ছেড়েছি উপজেলা সদর শেষ প্রান্তে বলে।অথচ একটু চোখ আঁটিয়ে খেয়াল করুন এখন যদি মধ্যনগর সদরে উপজেলার সকল ভবন হয় তাহলে মহিষখলাবাসীর জন্য কি সেই একই দুর্দশা নয়? উপজেলা কি মামার বাড়ির আম-কলা যে মহিষখলাবাসী অন্য সময় আরেকটা নিয়ে নিবে? নিজের স্বার্থ যখন বড় হয়ে যায় তখন মানুষ অন্ধ হয়ে যায়।তাই অনেকেই বলে বেড়াচ্ছেন জায়গা আগেই ঠিক করা আছে।একটা লোক ১৫/২০ কিলোমিটার দূর থেকে উপজেলা সদরে আসতে পারবে আর আপনি ১ কিলোমিটার দূরত্ব ক্রস করতে গায় লাগে,বলছেন জায়গা ঠিক করা আছে।ঠিক করা থাকলে সরকার করুক অন্তত আপনি বলুন যে যৌক্তিকভাবে ভবনগুলো নদীর উত্তরপারে হোক! বিবেককে আবেগে ঘিরে ফেলেছে! আপনাদের বলি, শুধু উজেলা নয় সরকারি যেকোন স্থাপনা আদায় করতে হলেও আপাত একটা লোকেশন ম্যাপ সরকারকে দেখাতে হয়,উপজেলার জায়গা ঠিক করে রাখাটাও এর চেয়ে বেশি কিছু নয়।এর মানে এটা ব্রহ্মার লেখা হয়ে যায়নি।আজকে যদি উপজেলার ভবনগুলো নদীর উত্তরপারে স্থাপিত হয় তাহলে একদিকে যেমন ভবনগুলো পর্যাপ্ত জায়গা পাবে,এতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যতা বৃদ্ধি পাবে,অপর দিকে চার ইউনিয়নের জনগণেরই সমান যাতায়াত সুবিধা পাবে।তাছাড়া একটি বার চিন্তা করুন উপজেলা সদরে থাকবে পশু হাসপাতাল,পশু চিকিৎসার ট্রেনিং সেন্টার,থাকতে পারে মডেল খামার।এগুলোর জন্য কি হিউজ জায়গা প্রয়োজন হবেনা? তাহলে কেন আমরা হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য কেবল একটুকরো জায়গায় সব বন্দী করতে চাচ্ছি? আমি তো মনে করি নদীর উত্তর পাড়ে ভবনগুলো হলে মধ্যনগর বাজারের সম্মান কমবেনা বরং আরো বাড়বে।কারণ এতে মধ্যনগর বাজারটা প্রসারিত হতে বাধ্য হবে যেকারণে বাহির থেকে কেউ আসলে সহজে অনুমান করতে পারবে মধ্যনগর আসলেই একটা বিশাল জনপদ। মনে রাখবেন মধ্যনগর নামটা ভালোবাসি বলেই সিলেট সহ সারা দেশেই আমরা মধ্যনগরিয়ান বলে পরিচয় দিয়ে বুকফুলিয়ে বেড়াই।অতএব মধ্যনগর উপজেলা হোক সেটা আমাদেরও বহু দিনের লালিত স্বপ্নেরই ফসল।তাই এটি নিয়ে রাজনীতির, পন্ডিতির কোন সুযোগ নেই।মাননীয় সাংসদ জনাব মোয়াজ্জেম হোসেন রতন সাহেবকে বলবো প্লিজ আপনি জনগণের সেন্টিমেন্ট সময় থাকতে বুঝার চেষ্টা করুন।জনগণের বন্ধু, জনপ্রতিনিধি হিসেবে আপনার উচিত দ্রুত এই বিষয়ে আপনার অবস্থান পরিস্কার করা।আশা করি এই ব্যাপারেও আপনি বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর চাওয়া পাওয়ার পাশেই থাকবেন।পরিশেষে, মধ্যনগর কে সবাই মনে প্রাণে ভালোবাসুক,মধ্যনগরের মানুষের উত্তরোত্তর সাফল্য হোক,সেই সাথে মধ্যনগর উপজেলা হোক সারা বাংলাদেশের মধ্যে একটি মডেল উপজেলা সেই কামনা সবসময় অন্তরে।শুভকামনা সকল মধ্যনগরিয়ানের জন্য।
লেখক
জীবন কৃষ্ণ সরকার
কবি,প্রাবন্ধিক
সম্পাদক,হাওরপিডিয়া।
বিঃদ্রঃ মার্জিত ভাষায় দ্বিমত প্রকাশের সুযোগ রয়েছে।সবাই আপনাদের নিজেদের মত প্রকাশ করতে পারেন।
পারলে কেউ লেখাটা শেয়ার ও করতে পারেন।