মণিরুপার কবিতা।।মনিরুপার কবিতা

0
194

কবি পরিচিতি

মনি রূপা (ডাকনাম -মনি) ২০০৩ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর কাকরহাটি গ্রামে জন্ম।পিতা মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, মাতা রাজিয়া খাতুন। ২০১৪ সালে কাকরহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে।

২০২০ সালে লায়েছ ভুইঁয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে মাধ্যমিক পাস করে।

বর্তমানে নেত্রকোনা সরকারি মহিলা কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক এ অধ্যয়নরত।

লেখালেখির হাতে খড়ি শ্রদ্ধেয় স্যার ও হাওরকবি জীবন কৃষ্ণ সরকারের কাছে। প্রথম কবিতা, রক্তে গড়া একুশ (সপ্তম শ্রেণি)।

বর্তমানে পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে একটু আধটু লেখে।
ছোট্ট মেয়ে মনি তার অল্প লিখাতেই জায়গা করে নিয়েছে অনেকের মনে ।

শুভকামনা মনি রূপার জন্য ,,।
১। বাবা

জীবনের পথ চলা শুরু তেমার হাত ধরে,
প্রতিক্ষণে মমতায় আগলে রেখেছো।
কত রাত তুমি জেগেছো শিয়রে,
দেখেছি তোমার উদ্বিগ্ন আঁখি।

তুমি যখন মাতায় বুলিয়ে দিতে হাত,
সকল কষ্ট ভুলে,হাসি ফুটতো আমার মুখে।

বাবার শক্ত আঙুল আঁকড়ে ধরে,
পথ হাটঁতো পৃথিবীর পথে,
খুব ইচ্ছে করে ফিরে যেতে শৈশবে।

২। আমি তোমাকে দেখেছি, বাবা

আমি মহাসাগর দেখিনি,
শুনেছি এর গভীরতা অনেক।
আমি হিমালয় দেখিনি,
শুনেছি এর উচ্চতা অনেক ।
কিন্তু আমি আমার বাবাকে দেখেছি,
দেখেছি বাবার ভালোবাসার গভীরতা,
দেখেছি বাবার মনের উদারতা।

আমি কখনো এসি বাসে চড়িনি,
শুনেছি এতে আরাম অনেক ,
কিন্তু আমি আমার বাবার বাইকে অনেক চড়েছি,
আর পেয়েছি স্বর্গসুখ।

আমি কখনো বাবার কাছ থেকে আইফোন উপহার পাইনি,
কিন্তু জন্মদিনে লাল রঙের ঘড়ি পেয়েছি,
মনে আছে বাবা বলেছিলো,সময়ের মুল্য দিতে শিখো।

আমার পৃথিবী, আমার বাবা,
খুব ভালোবাসি তোমাকে।

৩। মা

এই শাড়িটা আর পড়বো না,
যত্নে রেখে দিব আলমারিতে,
তুই যখন বড় হবি,তর বিয়ে হবে,
তখন না হয় তুই পরিস।

আমার সব কিছু আছেই তো,
কি দরকার ছিলো টাকা খরচ করার!
টাকাটা রেখে দিলে তোর কাজে লাগতো।

আমি খেয়েছি এটা তোর জন্য ,
তুই মন ভরে চুপচাপ খেয়ে নে।

মায়েদের ভালোবাসা এমনি হয়,
নিজের ভালোটা কিছুতেই বুঝে না ,
সব ভালোবাসা আমাদের জন্যই।

৪। আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু

যেখানেই থাকি না কেন,
ভালোবাসা এক বিন্দুও কমবে না।
বন্ধুত্বের হাত কখনো পিছিয়ে যায়না ,
খুজ নিতে কভু ভুলে না।

যাদের মন থেকে কখনো
হারিয়ে যাওয়ার কোনো ভয় নেই,
যাদের সবটুকু আদর, স্নেহ শুধুই আমার,
প্রিয় মা -বাবা
খুব ভালোবাসি তোমাদের।

৫। নববর্ষ

নববর্ষ আমাদের হৃদয়ে,
প্রতিবছর নিয়ে আসে আনন্দের বন্যা।
নববর্ষ আমাদের জীবনে,
নিয়ে আসে নতুন বছরের সূচনা।
নববর্ষ আমাদের মনে,
জাগিয়ে তোলে আনন্দ আর উল্লাস।
নববর্ষ আমাদের জীবনে,
সুখের লঘন বয়ে আনে।
নববর্ষ কথাটি আমাদের মুখে,
হাসির রেখা ফুটিয়ে তোলে।
নববর্ষের কথা শুনে ছুটে আসে,
পাহাড়ের অপুর্ব ধারায় ঝর্ণা।
নববর্ষই তো আমাদের জীবনকে নতুন করে সাজায়।

৬। রক্তে গড়া একুশ

রক্তে গড়া একুশ তুমিই বাঙালির মান
তাইতো তোমার জন্য দিল কতো প্রাণ।
তোমারি জন্য বাঙালি ভাইয়েরা দিয়েছে প্রাণ,
তোমারি জন্য বাঙালি বোনেরা দিয়েছে তাদের মান।
তোমারি জন্য বাঙালি মায়েরা,
দিয়েছে তাদের সন্তান কে উৎসর্গ করে,,
শুধু একটি আশায়
হে রক্তে গড়া একুশ
তোমাকে ফিরে পাব বলে।

৭। স্বাধীনতা

২৬ শে মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস।
২৬ শে মার্চ আমাদের জাতীয় দিবস।
এই দিনে ঢাকার বুকে গর্জিল কামান,
শত শত বীর বাঙালি দিয়েছিল প্রাণ।
ত্রিশ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে ফিরে পেয়েছি এই স্বাধীনতা,
কোনো দিন মোরা ভুলবো নাকো বীর বাঙালির কথা।
২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা যাদের রক্তে গড়া,
বিশ্ব তাদের স্বরণ করে দিয়ে ফুলের তোরা।
আমাদের এই স্বাধীনতা যাদের রক্তে কেনা,
কি দিয়ে শোধাবো মোরা সেই শহিদের দেনা।
এই দিনটি যাদের জন্য স্বরন করি,বলে স্বাধীনতা,
তারাই হলেন বীর বাঙালি, বাংলাদেশের নেতা।
আমাদের মনে তারা বেচে থাকবে চিরদিন,
তাদের কথা স্বরন করি আমরা প্রতিদিন।

৮। ক্ষণিকের ভালোবাসা

আমি সেই ঊষালগ্নে এসেছিলাম তোমাদের মাঝে,
তোমাদের মায়া ,মমতা ,আদর ভরা শাসন আমায় বুঝালো জীবনের মানে।
আমি জানি
কবি বলেছিলেন জীবন মানে বুঝি যন্ত্রণা ,
কিন্তু না, আমি বুঝতে পারলাম জীবনে ক্ষণিকের জন্য আনন্দও আসে।
তবে আমরা কেন আমাদের সেই আনন্দে বেধে রাখতে পারিনা।
তাহলে কি জীবন এমনই ?
জীবনের নিয়মই কি আসা যাওয়া ক্ষণিকের ভালোবাসা
হয়তো তাই।

৯। শেখ মুজিব

আমি দেখেনি কভু তোমায়
তবে চিনি চিনি যেন।

তুমি তো সেই মহান পুরুষ, অমোঘ যার বাণী।
তুমি নিশাবসান অন্ধকারের,আলোর প্রদীপ খানি।

তুমি তো সেই নিজেকে যেবা দিয়েছিলেন জলোঞ্জলি,
সালাম তোমায় জাতির জনক,গ্রহন কর মোর শ্রদ্ধাঞ্জলি।

তুমি হেম তুল্য,তুমি ছিলে রক্ষোরথী বাংলার
তুমি যে মরুৎ নিবারণ করেছো শাসন অত্যাচারীর।

তুমি ছিলে বাংলার খাম,এখনো আছো হৃদয় জুড়ে
তুমি আজ আছ দিবাক্ষনে রবি হয়ে,বিভাবরীতে চন্দ্র সুধা।

তোমায় পেয়ে পেয়েছি ঠাঁই জন্মভুমির মাটিতে
বলেছি কথা প্রাণের ভাষায়, গেয়েছি গান মেতে।

তুমি প্রেমপূর্ণ,তুমি মহান ,তোমায় পেয়ে পুরিল কত আশা
তুমি সেই রেল লাইনের ধারে অপেক্ষারত মায়ের ভালোবাসা ।

তুমি যে ছিলে খরতর তাপ গ্রীষ্মের
তোমায় নেহারিয়ে নোয়াতো শির শোষক শাসকদের।

তুমি অনাহারির মুখেও এনে ছিলে কমল ফুটা হাসি,
তুমি ছেলে হারা মায়ের বুকের মরুনির্ঝর রাশি।

তুমি ভাই হারা শত বোনের আর্তনাদের অবসান
তোমার অনুরাগে প্রেরণায় ঘটেছিল বাংলার নব উত্থান।

তুমি যে ত্যাগের মহীয়ান সাক্ষী
হাজারো সালাম তোমায় অবিসংবাদিত নেতা।
হবে না কো কভু শেষ জানি
তোমায় নিয়ে লিখলেও হাজার পাতা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে