ব্রহ্মার স্ত্রী স্বরস্বতী কিভাবে হলো

0
1289

ব্রহ্মার স্ত্রী স্বরস্বতী কিভাবে হলো

ব্রহ্মা যেমন জ্ঞানের (wisdom) প্রতীকী। কিন্তু জ্ঞান একটি আধার, তার থেকে নদীর মতন বাক্যের মাধ্যমে যে নির্যাস বেরিয়ে আসে তাই হল বিদ্যা (knowledge)। তাই জন্যেই সরস্বতী দেবী বিদ্যার দেবী, নদী স্বরূপিনী, বাগদেবী। যেহেতু বিদ্যা জন্ম নিয়েছে জ্ঞানের ক্রোরে, তাই বলা হয় সরস্বতী দেবী ব্রহ্মাজাত। আমি যেমন আমার বাবার ছেলে সেইরকম ভাবে সরস্বতী দেবী ব্রহ্মার মেয়ে ভাবলে খুবই ভুল তথ্য।

এবার আসা যাক বিয়ের গল্পে:

ব্রহ্ম (ব্রহ্মা না) হল আদি অনন্ত অবিনশ্বর অজ্ঞাত। কিন্তু তার এই অজ্ঞাত রূপ কে দুটি ভাগ করা যায় – পুং এবং স্ত্রী। যাই স্থির, অবিচল তাই পুং। যেমন হিমালয়। যা বয়ে যায় সেই স্ত্রী। যেমন গঙ্গা। আরো বেশি আধুনিক করে বললে, থিয়োরি এবং অ্যাপ্লিকেশন।

এই পুং কে তিনটি ভাবে প্রকাশিত হতে দেখা যায় – ব্রহ্মা ( যার থেকে সবার উৎপত্তি), বিষ্ণু (যে অস্তিত্বের পালক) এবং মহেশ্বর (যে ধ্বংসের মধ্যে দিয়ে সৃষ্টির চক্রবূহ কে আবার চালিত করে)। কিন্তু যাই পুং থাকবে তারই স্ত্রী রূপ চাই। কারণ পুং এবং স্ত্রী এই দুটি রূপের সামঞ্জস্য না থাকলে। ব্রহ্মার স্ত্রী রূপ সরস্বতী, বিষ্ণুর স্ত্রী রূপ লক্ষী (ধন/খাদ্যশস্য), এবং মহেশ্বরের স্ত্রী চণ্ডী (যার দুটি রূপ কালি এবং দুর্গা – অসংযত ও সংযত ধ্বংস)। এবার আপনি যদি ভাবেন স্ত্রী রূপ মানে যার সাথে প্রেম করে বিয়ে করলেন, হানিমুন যাবেন সেই স্ত্রী তাতে আপনার শিক্ষার সম্পূর্ণ মানহানি হবার পূর্ণ সুযোগ।

যাই হোক, এবার নিশ্চই বুঝলেন যে সরস্বতী কী করে ব্রহ্মার স্ত্রী এবং কন্যা দুই হল।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে