বিদ্যালয়ে শিশুদের ভর্তিযুদ্ধ নয় বরং লটারীই হোক ভর্তির একমাত্র মাধ্যম

0
177

বিদ্যালয়ে শিশুদের ভর্তিযুদ্ধ নয় বরং লটারীই হোক ভর্তির একমাত্র মাধ্যম(একটি মৌলিক পর্যালোচনা)

প্রথমেই বলে নিচ্ছি লেখাটি একান্তই আমার ব্যক্তিগত চিন্তাধারা থেকে লেখা।মার্জিত ভাষায় দ্বিমত পোষণের সুযোগ রয়েছে।এবার আসি মূল আলোচনায়।

করোনাকালে সরকার ভর্তি পরীক্ষা নিতে না পারায় লাটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির উদ্যোগ নিয়েছেন।এতেই চটেছেন আমাদের স্বদেশীয় কিছু সুশীল ব্যক্তিত্ব,সম্মানিত কিছু অভিভাবক,শিক্ষক,বুদ্ধিজীবী, সাথে কিছু মিডিয়া।কয়েকটা পত্রিকায় দেখলাম ইতোমধ্যে তারা নিউজ করে ফেলেছে যে নামকরা বিদ্যালয়গুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে লটারীর মাধ্যমে ভর্তির ফলে।নিউজে প্রকাশ গতবার লটারীর মাধ্যমে ভর্তির কারণে অনেক সরকারি নামকরা স্কুলে শিক্ষার্থীরা বার্ষিক পরীক্ষায় শূন্য পেয়েছে।কিছু সুশীল নামের কুশীলরাও গলা মিলাচ্ছে এসব ভুঁইফোর সাংবাদিকদের সাথে।এখান থেকেই আমার লেখাটা।আসুন দেখে নেয়া যাক ভর্তিযুদ্ধে নাকি লটারীতে শিক্ষার্থী ভর্তি কোনটি দেশের জন্য প্রয়োজন।

প্রথমত,তথাকথিত সুশীলদের নিকট প্রশ্ন, ৬-৮ বছরের বাচ্চাগুলো “প্রতিযোগিতা” শব্দটি কি তা শতকরা কতটি বাচ্চায় বুঝতে পারে? তাহলে যে বাচ্চাটা প্রতিযোগিতা কি তা বুঝলই না তাকে নামিয়ে দিলেন ভর্তিযুদ্ধে,লাগিয়ে দিলেন তিন/চারজন শিক্ষক তার পিছনে,এতে তার শৈশবটা হলো তামা তামা,মুখস্তের চাপে বাচ্চা হলো দিসে হারা এর দায়ভার কার?

দ্বিতীয়ত,একটা কোমল মতি শিশু যে অল্পেতেই হতাশ হয়ে যায়,যে নিজেকে বুঝ দেবার বিন্দুমাত্র জ্ঞান রাখেনা,তাকে নামালেন ভর্তি যুদ্ধে।এখন ধরুন একটা স্কুলে ভর্তি হবে ৩০০ জন,পরীক্ষা দিলো ৩০০০ জন।ব্যর্থ হলো ২৭০০ জন।তাহলে এই অল্প বয়সে যে ২৭০০ জনকে ব্যর্থতার সাথে পরিচয় করালেন,ওরা কি এই বয়সেই জানে ব্যার্থতা যে জীবনেরই অংশ? ব্যর্থতাকে মেনে নিতে হয়, এটাকি ঐ ৬-৮ বছরের বাচ্চাকে বুঝানো সম্ভব? আর অনেক বাচ্চা একটু জেদি হওয়ার কারণে অনেকেই জেদ করে পড়ালেখা ছাড়ে, কোন কোন বাচ্চা আত্ম হত্যা করে ফেলে।তার মানে অতি অল্প বয়সে শিক্ষার্থী পথভ্রষ্ট হওয়ার মূল কি অবুঝ বয়সের ভর্তিযুদ্ধ নয়?

তৃতীয়ত,এই ভর্তি যুদ্ধকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে অবৈধ কোচিং,যার ফায়দা লুটছে এক শ্রেণীর অসাধু শিক্ষক চক্র।অপরদিকে একশ্রেণীর অভিভাবক কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা ঢালছে অল্প বয়স্ক বাচ্চাদের পিছনে, রঙিন স্বপ্নে বিভোর হয়ে।আর এসব দেখে হতাশ হয়ে ফিরছে অনেক মেধাবী সন্তানের গরীব মাতা পিতা।দেশটা গরীব হওয়ায় অধিকাংশ মাতা পিতাই ভোগছে হায় হতাশায়,এর দায়ভার কি সমাজের নেই?

চতুর্থত,আমার নিজের চোখে দেখা, গ্রামের অনেক পরিবার যারা একটু সামর্থবান তারাও ভালো স্কুলে পড়ানোর জন্য নিজের সহায়-সম্বল বিক্রি করে শহরে পড়ানোর স্বপ্নে বিভোর হয়ে অনেক টাকা খরচ করে ঐসব তথাকথিত ভালো স্কুলে পরীক্ষা দেয়ায়।অনেক বাচ্চা চান্স পায় ফলে ঐসব বাচ্চাদের শহরে রেখে পড়াতে গিয়ে একসময় অর্থ সম্পদ সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়,অপরদিকে শৈশবে মা-বাবা ছাড়া সন্তান বেড়ে উঠতে গিয়ে অনেক সন্তান বাজে পথে চালিত হয় কারণ মা-বাবার শিক্ষা ছাড়া সন্তান বেশির ভাগই অভদ্র হয়।যার কুফল পাচ্ছে সমাজ।একদিকে অভিভাবক নিঃস্ব অপরদিকে পুত্র হয় কুপুত্র এর দায়ভার কে নেবে?

পঞ্চমত,এই ভালো স্কুলের সুধা পেতে অনেকেই জড়িয়ে পড়েন দুর্ণীতিতে,কেউ পড়েন অনেকের রোষাণলে।যেমন অনেক অভিভাবক উৎকোচ দিয়ে তার বাচ্চা ভর্তি করাতে চান,ফলে মোটা অংকের লেনদেন সংঘটিত হয় অনেক ক্ষেত্রে,আবার ঐসব প্রতিষ্ঠাণের শিক্ষকরা যারা লেনদেনে যেতে চাননা তারা অনেকে পান হুমকি ধমকি।কোনটাই কি জাতির জন্য সুফল বয়ে আনছে?

এবার আসি ভালো স্কুল বলতে কি বুঝি?

ভালো স্কুলের তথাকথিত যে সংজ্ঞাটি আমরা জানি সেটা হলো “ভালো ফলাফল করা স্কুল গুলোই ভালো স্কুল” অথচ এখানেই মূল ভুলটি আমরা করছি।কারণ ধরুণ পুরু বিশ্ব থেকে দশটি ফুটবল টিম গঠণ করলেন।ঐ দশটি টিম থেকে শীর্ষ ১২ জন নিয়ে একটি টিম গঠন করলেন।আর কোচ দিলেন আমাকে অর্থাৎ জীবন কৃষ্ণকে যে নাকি জীবনে কোনটিমে খেলে জিততে পারেনি।আর বাকি নয়টি টিমে দিলেন মেসি,নেইমার,জিদান,রোনালদোর মতো কোচ।টুর্ণামেন্টে আমার টিমের সাথে পাত্তাই পেলো না বাকি নয় টিম।পত্রিকায় ছাপা হলো আমার টিমের নাম সাথে কোচ হিসেবে আমার গুণগান।প্রিয় পাঠক এবার আপনারাই বলুন কোচ হিসেবে আমি কি বিশ্বসেরা নই? যদি তাই না হই তাহলে কেন নির্লজ্জের মতো ভালো স্কুলের তকমা দিচ্ছেন ঐসব তথাকথিত বিদ্যালয় গুলোর? ওরাও তো ঐই একই কাজটা করছে।একটা সিস্টেমে শুধু মেধাবীদের দখলে নিয়ে ‘সেরা ‘ তকমা নিয়ে পকেটে হাত গুটিয়ে ঘুরছে।একটা সহজ পরিসংখ্যান দেই,পারলে আপনারাও খোঁজ নিয়েন তথ্যটি সত্য কিনা।ভালো স্কুল গুলোতে অষ্টম শ্রেণীতে ২০০ জন এপ্লাস প্রাপ্ত শিক্ষার্থী নবম শ্রেণীতে ভর্তি হয়ে এসএসসিতে ৮০ বা ১০০ জন এপ্লাস পেলো।অপর দিকে একটা বাজে স্কুলে অষ্টম শ্রেণীতে ২০০ জন বি,সি,ডি গ্রেড প্রাপ্ত স্টুডেন্ট ভর্তি হয়ে এসএসসিতে ৫ জন এপ্লাস ২০ জন ‘এ’গ্রেড, ৫ জন ফেল সহ বিভিন্ন গ্রেড পেলো।পত্রিকায় ছাপা হলো অমুক স্কুলে ১০০ জন এপ্লাস পেয়ে শীর্ষে! এবার চিন্তা করুন আমরা কতো বুর্ভক? তথাকথিত ভালো স্কুলটিতে ১০০ জন এপ্লাস মিস করলো আর বাজে স্কুলটিতে ৫ জন নতুন এপ্লাস পেলো।পড়ালেখার গুণগত মানে তো দ্বিতীয় স্কুলটি ভালো করলো।আর আমরা বলছি ঐ ১০০ এপ্লাস মিস করা স্কুলটিকে ভালো স্কুল কারণ ওখানে ১০০ জন এপ্লাস পেয়েছে বলে।কথায় আছে “বাঙালী সামনে দিয়ে পিঁপড়া গেলে ছাড় দেয়না, পেছনদিকে হাতি গেলেও দেখেনা ” কথাটা হারে হারে সত্য।কারণ ১০০ জন এপ্লাস মিস করলো সেটা আমাদের চোখে পড়েনা।তাই আমাদের এই মান বিচারের
মহাভুলটিকে পুঁজি করেই আজকের ভালো স্কুলের মহান শিক্ষকবৃন্দ পকেটে হাত গুটিয়ে ফার্স্ট ক্লাস গেজেটেড অফিসারের মতো তকমা নিয়ে ঘুরেন(গুটি কয়েক স্কুল বাদে),বাসায় প্রাইভেটের তীর্থ বসান।একটু অপ্রিয় হলেও না বলে পারলামনা,ভালো স্কুলের তকমার কারণে, মিনিটে মিনিটে শিক্ষার্থী বহিষ্কারের হুমকির কারণে আমাদের অতি লোভী অভিভাবকদের অবস্থা একেবারেই নাজেহাল।সেই অভিভাবকের মানসিকতা এমন যে তার সন্তানকে স্কুল থেকে বের করে দিলেই শেষ! কারণ রেজাল্ট তো তার বাচ্চা করবেনা, রেজাল্ট করবে মূলত স্কুল! আমি ও একজন ক্ষুদ্র শিক্ষক।তাই টিউশনির সুবাদে ভালো স্কুলের দু একটা অভিভাবকদের কাছে থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে।বাচ্চাকে ৪ জন শিক্ষক পড়ায় তার পড়ো ঐ ভালো স্কুলের শিক্ষকের বাসায় যেতে হবে যদিও ঐ মহান শিক্ষক ১০০ জন নিয়ে ৩০/৪০ মিনিট পড়ানোর নামে আড্ডা দিবেন(অভিভাবকের ভাষ্য)।তারপরেও ওখানে বাচ্চাকে নিয়ে যেতে হবে কেন, একজন অভিভাবককে তার কারণ জিজ্ঞেস করার পর বলতেছেন ওখানে না গেলে মার্কস কম দিবে,প্রশ্ন কমন পড়বেনা(কারণ স্কুলের প্রশ্ন করবে ঐ শিক্ষক)ইত্যাদি,ইত্যাদি।অর্থাৎ সেই বাচ্চা স্কুল থেকে বাদ পড়ার আতংক! এই হলো ভালো স্কুলের ভালো শিক্ষকের কারিশমা(সবাই নয়)।এই সুযোগেই হাতিয়ে নিচ্ছেন গলাকাটা ভর্তি ফি সহ মাসিক বেতন। আবার ঐসব তথাকথিত ভালো শিক্ষকদের দৃষ্টিতে অন্য স্কুলের শিক্ষকরা কোন শিক্ষকই না।অথচ ঐসব শিক্ষকরা নিজেদের সন্তানদের তাদের তথাকথিত ভালো স্কুলে না পড়িয়ে,পড়াচ্ছেন ইংল্যান্ড, আমেরিকার বাজে স্কুল স্কুল গুলোতে!এবার বুঝুন তাদের দৃষ্টিতে ভালো স্কুল কোনগুলো?আবার ঐসব স্কুলে বছরে প্রায় ৩ মাসের অধিক কোন ক্লাস হয় না আজ এসএসসি পরীক্ষা,কাল এইচএসসি পরীক্ষা,পরশু অমুক চাকরির পরীক্ষা,তরশু অমুক ট্রেনিং ইত্যাদি ইত্যাদি।এর মধ্যে অমুক স্যার বিদেশে ট্রেনিংএ, তমুক স্যার বিদেশে শিক্ষা সফরে,হমুক স্যার সরকারের বিশেষ প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটে ছুটিতে, এসব তো হারহমেশাই।তাহলে সস্মানিত অভিভাবকদের বলবো একবার ভাবুন এমন কোন জাদুরকাটিতে নিমিষেই আপনার বাচ্চার সকল মুশকিল আহসান করছেন ঐ সব নামধারী প্রতিষ্ঠাণের কর্তাব্যক্তিরা?বিষয়টা পুরোটাই দৃষ্টি ভঙ্গির ব্যাপার।দৃষ্টি ভঙ্গি বদলান, সব পরিস্কার হয়ে যাবে। আজকের বুয়েট মেডিকেল সহ দেশের শীর্ষ স্থানীয় উচ্চ শিক্ষার প্রতিষ্ঠানে চান্স পাচ্ছে অজো পাড়াগায়ের প্রতিষ্ঠাণ থেকেই,অজো পাড়াগায়ের শিক্ষকদের হাত ধরেই! তারমানে ভালো স্কুলের সংজ্ঞাটি হওয়া উচিত ছিল “যে সব প্রতিষ্ঠাণে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মানোন্নয়ন ঘটে সেসব স্কুলগুলোকে ভালো স্কুল বলে”
তাহলেই কিন্তু আজকের তকমাধারীদের থলের বেড়াল বেড়িয়ে আসতো! এর প্রমাণ একবছর লটারীতে ভর্তি নিয়ে মাত্র একটি বার্ষিক পরীক্ষার ফল হাতে পেতেই তথাকথিত শিক্ষকদের মাথা চড়ক গাছ! হা হুতাশে আকাশ ভারী!অথচ যুগ যুগ ধরে আমাদের বাজে স্কুলের শিক্ষকরা অচেতন অভিভাবক সম্বলিত এই সব বাজে শিক্ষার্থীদের খেঁটে খুঁটে মানুষ করছে বিনিময়ে তারা সম্মান তো থাক দূরের কথা জুটেছে কেবল অবমাননা আর বঞ্চনা।

এবার বিখ্যাত ব্যক্তিদের শিশু সম্পর্কে ভাবনাটা দেখে আসি? ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরু শিশুদের সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেছেন “শিশুরা হচ্ছে বাগানের কাদা মাটির মত। তাদেরকে খুব সতর্ক ও আদর-সোহাগ দিয়ে যত্ন করতে হবে”।অথচ দেখুন আমরা কাদামাটি বয়সের অবুঝ বাচ্চাদের ভর্তিযুদ্ধের নামে যে অমানসিক নির্যাতনটি করছি তা কতটুকু যুক্তিযুক্ত? অপর দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার নোবেল বিজয়ী সফল প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলা বলেন-“সমাজ কীভাবে শিশুদের প্রতি আচরণ করে তার মধ্য দিয়ে সমাজের চেহারা ফুটে ওঠে”।ঠিক তাই।আমরা এই অবুঝ শিশুদেরকে ভর্তিযুদ্ধে নামিয়ে দিয়ে আমাদের যে আচরণিক বৈশিষ্ট জানান দিচ্ছি সমাজের চেহারাও বাস্তবিকই প্রমাণ দিচ্ছে।আজকের বাচ্চারা বড় বড় ডিগ্রী নিচ্ছে, বড় বড় চাকরি নিচ্ছে,খবরে প্রকাশ ঐসব বড় ডিগ্রীধারী,বড় চাকরীধারীদের মা বাবারা বৃদ্ধাশ্রমে কাঁতরাচ্ছে।এর চেয়ে সমাজের বাস্তব চেহারা আর কি ফুটে উঠবার বাকি আছে হে মহামান্য?তাই সময় থাকতেই ভাবতে হবে আমাদের সন্তানদের কিভাবে গড়ে তুলা উচিত?

পরিশেষে আমি বলবো মাননীয় সরকার প্রধান সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন।এভাবে যদি লটারীর মাধ্যমে প্রতিবছর ভর্তি নেয়া হয় তাহলে একদিকে যেমন বিদ্যালয় ভিত্তিক বৈষম্য কমবে,অবৈধ তদবিরও বন্ধ হবে অন্য দিকে ভালো স্কুল বিচার করতেও সহজ হবে।একটা জিনিস ভাবুন গুটিয়কয়েক স্কুল ভালো তকমা নিয়ে সরকারি করে বাকি সবগুলোকে বেদরকারি করে সকল সরকারি সুবিধা তারা নিচ্ছে অন্যদের ভাগ্যে জুটছে অবহেলা,অন্য শিক্ষকদের প্রতি নজর না দিচ্ছে সরকার,না দিচ্ছে জনগন।এমতাবস্থা চলতে থাকলে দেশটা অন্ধকারে যেতে ক-দিন লাগবে?অথচ দেশ উন্নয়নে সকলের অংশগ্রহণ জরুরী।একটি সহজ পরিসংখ্যান, আমাদের দেশে সবকটি বিভাগ জেলা মিলিয়ে ১০০ টি স্কুলকে ভালো তকমা দিলাম।এইটাকে পুঁজি করে শুরু হলো দৌড় ঝাঁপ,বানিজ্য। তাহলে অন্য ২০ হাজার স্কুলকে করলাম অবহেলিত।তাহলে সহজ প্রশ্ন, ভালো ১০০ স্কুলের অবদানে দেশগঠন কি যথেষ্ট? যদি তাই না হয় তাহলে সকল স্কুলকে মূল্যায়নের একমাত্র পন্থা লটারী পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী ভর্তি।কারণ ভালো স্কুল বলতে কিছু নেই,ভালো শিক্ষার্থী যেখানে ভর্তি হয়,সেই স্কুলই ভালো হয়।সেই সাথে মুষ্ঠিমেয়কে মেধাবী তকমা দিয়ে অন্য সবাইকে হতাশ করার চাইতে সবাইকে একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ব্যর্থতার মুখ না দেখালে একটা সময় ঘরে ঘরে মেধাবী তৈরী হবে যা জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণে অনবদ্য ভূমিকা রাখবে বহুগুণে।সেই সাথে সোনা ফলবে ঘরে ঘরে,সত্যিকারের মেধাবীদের আঁচরে।

লেখক
জীবন কৃষ্ণ সরকার
সম্পাদক,হাওরপিডিয়া

বিঃদ্রঃ লেখাটি কপি না করে শেয়ার করবেন সবাই।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে