দক্ষিণ সুরমা কলেজ-Dakshin Surma College

0
329

অধ্যক্ষ’র বাণী হতে

দক্ষিণ সুরমা কলেজে পাঠদান কার্যক্রম অত্যান্ত নিয়মতান্ত্রিক ও সুশৃঙ্খল। সেমিষ্টার পদ্ধতি ও ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার ফলে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতি অংশগ্রহণমূলক শ্রেণি পাঠক্রম, শিক্ষকদের দক্ষতা ও আন্তরিকতা ভাল ফলাফলে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রনয়ন, পরীক্ষায় উপ¯ি’তি নিশ্চিতকরণ, শ্রেণি পরীক্ষা ও সেমিষ্টার পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র মডারেশন, মূল্যায়ন প্রক্রিয়াকে কঠোর তত্ত্বাবধানে রেখেই দ্রুত সময়ের মধ্যে পরীক্ষা ও ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এজন্য শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ভীতি যেমন দূর হয় তেমনি পরীক্ষায় অংশগহনের আগ্রহও তৈরি হয়, যা তাদের পাবলিক পরীক্ষায় ভাল ফলাফলের সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। শ্রেণিতে অনুপ¯ি’ত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিমুখী করণের চেষ্টাও অব্যাহত থাকে। অধুনা ডিজিটাল পদ্ধতি ‘অঙ্গুলিছাপ’ এর মাধ্যমে শ্রেণিকক্ষে ও পরীক্ষায় উপ¯ি’ত নিশ্চিত করনের কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। প্রতিষ্ঠানটি ছাত্র রাজনীতি মুক্ত হওয়ায় শিক্ষার সুষ্টু পরিবেশ সবসময়ই বিরাজমান। নিয়মিত শেণি কার্যক্রম পরিচালনা, ইনকোর্স পরীক্ষা ও টিউটোরিয়াল ক্লাস নিয়মিত চালু থাকায় শিক্ষার্থীদের বাড়তি কোন চাপ বহন করতে হয় না। তাছাড়া সাংস্কৃতিক কার্যক্রম, রোভার স্কাউট সহ রক্তদান কর্মসূচী, সামাজিক ও পরিবেশগত বিষয়াবলী নিয়ে প্রতিনিয়ত সভা-সেমিনার ইত্যাদি হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীদের বৈশ্বিক সচেতনতা বৃদ্ধি করে যুগপোযোগী বিশ্ব নাগরিক গড়ে তোলার প্রয়াস অব্যাহত আছে।

বর্তমান সরকারের শিক্ষা বান্ধব নীতি বিশে^ রোল মডেল হতে পারে বলে আমার বিশ^াস। প্রান্তিক জনগোষ্ঠিকে উ”চ শিক্ষার আলোকে আলোকিত করার লক্ষ্যে বর্তমান শিক্ষা বান্ধব সরকারের জেলা সদর সহ উপজেলা পর্যায়ে কলেজগুলোতে অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স চালুর যে ধারা চালু রয়েছে, তা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। তাছাড়া সময়মতো পরীক্ষা, ফলাফল প্রকাশ শিক্ষার্থীদের মূল্যবান সময় বাঁচিয়ে কর্মজীবনে উপযুক্ত সময়ের মধ্যেই প্রবেশ করতে পারে বিধায় শিক্ষার্র্থী নিজ পরিবার, জাতি তথা দেশের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করতে পারে।

প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষা অবশ্যই গুরুত্ব বহন করে। শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষার মাধ্যমে মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করা আমাদের সবারই কর্তব্য। যদিও ধর্মীয় শিক্ষার জন্য আলাদা কোন ব্যব¯’া নেই। তবে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়। তাছাড়া জাতীয় ভাবে উদযাপিত বিশেষ দিবসগুলো পালন করা সহ নিয়মিত রক্তদান কর্মসূচী, রোভার আন্দোলনের মাধ্যমে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি কার্যক্রম এবং শরীর চর্চার মাধ্যমে নিয়মিত ক্রীড়ানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যা শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

এ প্রতিষ্ঠানে উ”চ মাধ্যমিক পর্যায় থেকে স্নাতকোত্তর পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা অধ্যয়নরত। আমাদের সুদক্ষ শিক্ষকমন্ডলী তাদের সৃজনশীলতা ও আন্তরিকতা দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা, সংস্কৃতি, প্রগতি ও মূল্যবোধে অগ্রণী শেখ হাসিনার ‘রুপকল্প’ বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশকে বিশে^র দরবারে প্রতিষ্ঠিত করার শুভ প্রয়াস অব্যাহত রাখছি।

মেধাবী, দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য বৃত্তি প্রদানে ব্যবস্থা আছে। বছরে ১০ জন মেধাবী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীকে সেলাই মেশিন ও বাই সাইকেল প্রদান করা হয়েছে। তাছাড়া মুক্তিযুদ্ধার সন্তানদের জন্য বিনাবেতনে অধ্যয়নের ব্যবস্থা চালু আছে।

স্নাতকোত্তর শেষ পর্ব চালু করার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। আর স্নাতকোত্তর শেষ পর্ব চালু হলে ‘একই ছাদের নীচে’ (উচ্চ মাধ্যমিক থেকে স্নাতকোত্তর) থেকে শিক্ষার্থীদের কৈশোর থেকে যৌবন পর্যন্ত সময়কালের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মাধ্যমে এই প্রতিষ্টান থেকেই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তৈরি হবে বলে আমি আশাবাদ ব্যক্ত করি।

অবস্থানঃ সিলেট কাজির বাজার ব্রিজ পার হয়ে চন্ডীপুল পয়েন্ট সংলগ্ন।যাতায়াতের ক্ষেত্রে ক্বীন ব্রীজ পার হয়ে সিএনজি দিয়ে সরাসরি ১০ টাকা ভাড়ায় চন্ডিপুল পয়েন্ট নামলেই হবে।

তথ্য সূত্রঃ কলেজের ওয়েবসাইট।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে