চাষী
সোনার ক্ষেতে সোনা ফলায় চাষী তাদের নাম
ক্ষেত খামারে সময় কাটায় ঝড়ায়ে মাথার ঘাম।
তিলে তিলে শস্যালয়ে জমিয়ে শ্রমের পাহাড়
বিধির কিঞ্চিত কৃপা হলে লভে কিছু আহার।
স্বপ্ন তাদের বাঁচার সম্বল স্বপ্ন নিয়েই চলে
স্বপ্ন নিয়ে কাজ করে যায় ক্ষেত খামারে বিলে।
রাত্রী পোষায় গভীর রাতে তাদের ঘড়ির কাঁটায়
তাদের ভাষায় হাতের পিঠখান দেখা নাহি যায়।
মেঠো পথখান যায়না দেখা ঠাহর করে চলে
হাড়কাঁপুনি শীতের মাঝেই তাঁরা নামে জলে।
কেহ করে হালচাষ আর কেহ ধরে মাছ
শত কষ্টেও কাজ সারিলেও আনন্দে করে নাচ।
ইরি, বোরো শালি নামে কতো ধান চাষ করে
মোটা, চিকন হরেক রকম ধান তুলে ভাই ঘরে
হরেক রকম ধান চাষিলেও সত্য বড়ো কঠিন
স্বর্ণখচিত মিহি ধান বেঁচে চাষী শোধে ঋণ।
চাষী সে যে অন্ন ফলক! খায় সে মোটা ভাত
কেহ কেহ ঋণের জ্বালায় মাথায় রাখে হাত
এসব দৃশ্য, নয় অদৃশ্য ঘটছে অহ অহ
রোগ যাতনায় চাষীরা কতো হচ্ছে দুর্বিষহ।
তাই বলি ভাই চাষীদের কেহ করোনাকো হেলা
চাষীহীনে বড় ছোট কারো চলবেনা সুখের ভেলা
চাষী তোমার মহৎ পেশা,তুমি চির অম্লান
যুগযুগ ধরে নারী,নরে করিবেই তোমায় সম্মান।
২৭/১২/২০১৭,কেন্দ্রীয় হাওরসাহিত্য গণপাঠাগার,বংশীকুন্ডা।
কবিতাটি হাওরমোদের জীবন মরণ কাব্যগ্রন্থ থেকে নেয়া