ভারতীয় সনাতন শাস্ত্র অনুযায়ী গ্রহণের সময় বিভিন্ন বিকিরণ হয়৷ যার কুপ্রভাব থেকে মহিলা ও তাঁর শিশুকে বাঁচাতে বেশ কিছু করা উচিত আর বেশ কিছু কাজ না করা উচিত ৷ জেনে নিন এই সময়ে সর্বসাধারনের কি করা উচিত নয়-
১। এই সময় ছুরি , কাঁচি, ছুঁচ,ব্লেড বা ধারালো কিছু ধরবেন না ৷ তাহলে সম্ভ্যবা সন্তানের ক্ষতি হতে পারে ৷ কথিত আছ এই সময় এই জিনিস গুলি ধরলে ঠোঁট কাটা জাতীয় শারীরিক খুঁত নিয়ে সন্তান জন্মাতে পারে ৷
২।চন্দ্র বা সূর্য, যেকোন গ্রহণই যেকোন ব্যক্তির সরাসরি দেখা যাবেনা।আর গর্ভবতী মহিলার তো কথাই নেই।জানালা খোলা রেখেও উঁকি দেয়া যাবেনা।
৩।কোন প্রকার সেলাই কার্য করা যাবেনা।এতে যেকোন সময় রক্তপাত হতে পারে।নক কাটা,চুলকাটা সহ সকল প্রকার ক্ষৌর কর্ম থেকে সবাই বিরত থাকতে হবে।
৪। এই সময় গর্ভবতী মহিলাদের বাড়ির বাইরে বেরোনো উচিত নয় ৷ কারণ বিভিন্ন ধরণের রেডিয়েশনে ক্ষতি হতে পারে দু‘জনেরই ৷ এই সময়ে বাতাসে দূষিত কণার পরিমাণ বেড়ে যায় ৷
৫।গর্ভবতী মহিলাদের পা ধুমড়ে মোচড়ে বসা যাবে না বা শয়ন করা যাবেনা।শয়ন করলে বা ঘুমালে সোজা চিত হয়ে শয়ন বা ঘুমাতে হবে।
৬। চন্দ্রগ্রহণের সময় যদি কোনও খাবার বেঁচে যায় তাহলে সেটা বাইরে ফেলে দিন ৷কারণ খাবারে খারাপ রেডিয়েশন অর্থাৎ চন্দ্র বা সূর্যের বিকরণের বিভিন্ন প্রভাব খাবারে থাকতে পারে।
৭।যদি চন্দ্রগ্রহণের সময় কোনও খাবার খান তাহলে তাতে খানিকটা তুলসী পাতা দিয়ে নেবেন ৷এই সময়ে সবচেয়ে ভালো হয় যদি সন্তানসম্ভবা মহিলারা কোনওরকম খাবার না খান ৷ কারণ এই সময়ে মহিলাদের নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে খাবার খেতে হয় ৷ কিন্তু গ্রহণের সময়টুকু খাবার না খাওয়াই ভালো ৷ শাস্ত্রের বিধান বলে এতে কোনোও ক্ষতি থেকে বাঁচানো যায় মা ও শিশুকে ৷
৮। এসময় যথা সম্ভব ঘরে থেকে ধর্মীয় আচার তথা নিজ নিজ ইষ্ট দেবতার নাম স্মরণ করা কর্তব্য।তবে গ্রহণ শুরু হওয়া থেকে শেষ হওয়া অবধি ভগবানের মূর্তি( সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য) স্পর্শ করবেন না, গ্রহণে ঘরের মন্দিরের দরজা বন্ধ করে দেওয়া উচিত৷ যাতে ভগবানের মুর্তির ওপর গ্রহণের কোন প্রভাব না পরতে পারে৷
৯।কোন ক্রমেই সহবাস করা যাবেনা।সহবাসে বাচ্চা জন্ম নিলে বাচ্চা বিকলাঙ্গ বা ত্রুটিপূর্ণ হতে পারে।
গর্ভবতীদের জন্য সতর্কতাঃ এটা খুব সম্ভব যে আপনাকে গ্রহণের সময় খাওয়া বা পান করা এড়াতে বলা হবে।অর্থাৎ বিধি নিষেধ মানতে পারিবারিক চাপ থাকতে পারে।এতে বিধি মানা না মানা নিয়ে মানসিক চাপ নেয়া যাবেনা।কারন ঐ সময়ের যেকোন মানসিক চাপ আপনার এবং আপনার শিশুর উপর প্রতিকূল প্রভাব ফেলতে পারে। এটা ডিহাইড্রেশনের কারণ হতে পারে। এতে রক্তচাপ বৃদ্ধি হতে পারে যা আপনার শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ হতে পারে।
তথ্যসূত্রঃ bengali.news18.com, bangaliparenting.firstcry.com