গীতা বৈশ্বিক শান্তির গ্রন্থ হলে তা যুদ্ধের পটভূমিতে সৃষ্টি হলো কেন?।।গীতা-ধর্মযুদ্ধের স্বরুপ।।

0
205

গীতা বৈশ্বিক শান্তবর গ্রন্থ হলে তা যুদ্ধের পটভূমিতে সৃষ্টি হলো কেন?

“উত্তিষ্ঠ কৌন্তেয় যুদ্ধায় কৃতনিশ্চয়ঃ”;
শ্রীমদ্ভগবদগীতায় বর্ণিত ধর্মযুদ্ধের স্বরূপ

শ্রীমদ্ভগবদগীতায় বর্ণিত ধর্মযুদ্ধের প্রসঙ্গে অনেকেই না বুঝে বিভিন্ন নেতিবাচক মন্তব্য করে থাকেন। তারা বলেন, শ্রীমদ্ভগবদগীতা যদি বৈশ্বিক শান্তির গ্রন্থ হয়, তবে সেই গ্রন্থটি যুদ্ধের পটভূমিতে রচিত কেন? শ্রীমদ্ভগবদগীতায় ধর্মযুদ্ধ করতে বলা হয়েছে কেন? এ কথাটি সত্য, প্রাথমিক পর্যায়ে অর্জুন যুদ্ধ করতে অনিচ্ছুক ছিলেন। অর্জুন বারবার যুদ্ধ করতে অপারগতা জানানোর পরেও, অর্জুনের রথের সারথি শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে বিভিন্নভাবে যুদ্ধে প্রবৃত্ত হতে বলেছেন। শ্রীমদ্ভগবদগীতার এ ধর্মযুদ্ধ শব্দটি আলোচনার আগে আমাদের প্রথমে জানা প্রয়োজন, ধর্ম কাকে বলে। শাস্ত্রে বিভিন্ন স্থানে ধর্মের সংজ্ঞা দেয়া আছে। মহাভারতেই অর্জুন জগতে ধর্ম কি? -এ বিষয়টি শ্রীকৃষ্ণের কাছে জানতে চেয়েছিলেন।উত্তরে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে বলেন:

ধারণাদ্ধর্মমিত্যাহু ধর্মো ধারয়তে প্রজাঃ।
যৎস্যাদ্ধারণ সংযুক্তং স ধর্ম ইতি নিশ্চয়ঃ।।
(মহাভারত : কর্ণপর্ব, ৬৯. ৫৮)

“সমাজকে, জনসাধারণকে যা ধারণ করে রাখে, তাই ধর্ম। তাই কিসে জনসাধারণের, সমাজের সমৃদ্ধি এবং কল্যাণ হয়, তার সাথে যুক্ত হওয়াই ধর্ম ; এ কথা নিশ্চিতরূপে যেন।”

ধর্ম হল সর্বজনীন কল্যাণের একটি সত্ত্বা।যা সমাজ এবং সমাজের সকল মানবকে কল্যাণের পথে ঋদ্ধির পথে ধারণ করে রাখে, তাই ধর্ম।তাই ঋদ্ধি কল্যাণের পথে যুক্ত হওয়াকেই ধর্ম বলে। সনাতন ধর্ম চেতনায় কোন জাতিবাচকতা নেই। এ ধর্মে শুধুই স্রষ্টা এবং সৃষ্টির সম্পর্কই মুখ্য। সর্বজনীন কল্যাণের জন্যে স্রষ্টা তাঁর বাণী প্রকাশ করেছেন। এ বাণীতে নেই কোন জাতিগোষ্ঠীর প্রতি বিদ্বেষ ; কোন ভাষাভাষির প্রতি বিদ্বেষ। শুধুই দুটি পথ ধর্ম এবং অধর্মের। এ অধর্ম যদি রক্তের সম্পর্কে নিজ পরিবারেও উৎপন্ন হয়, তবে তাকেও বিনাশ করতে হবে। দুর্যোধনাদি শতভাই এবং পঞ্চপাণ্ডব সকলেই রক্তের সম্পর্কের ভাই। এরপরেও তাদের মাঝে যুদ্ধ হয়েছে, শুধুই ধর্মের কারণে।

শ্রীমদ্ভগবদগীতায় ধর্মযুদ্ধ রয়েছে। কিন্তু সে ধর্মযুদ্ধ কখনো ভাল-মন্দ নির্বিশেষে জগতের অন্যান্য অবৈদিক জাতিগোষ্ঠীর প্রতি অমানবিক, বিবেকবর্জিত যুদ্ধ ঘোষণা করে নি। শ্রীমদ্ভগবদগীতা কখনো বলেনি, বৈদিক সনাতন ধর্মের অনুসারী ছাড়া জগতের অন্য মনুষ্যগোষ্ঠী বিধর্মী। সত্য-মিথ্যা বা পাপ-পুণ্য নয়; শুধুই মতাদর্শের কারণে জগতের অবৈদিক জাতিগোষ্ঠীকে হত্যা করতে হবে। শ্রীমদ্ভগবদগীতা যদি অকারণে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে তাকে ধর্মযুক্ত নামে নামকরণ করত; তবে বিষয়টি মানবতার নিরিখে প্রশ্নবিদ্ধ হত। শ্রীমদ্ভগবদগীতায় উক্ত যুদ্ধ শুধুই ধর্ম অধর্মের যুদ্ধ। এখানে কোন বিশেষ জাতিগোষ্ঠীর প্রতি বিদ্বেষ নেই। ঈশ্বরের কেউ আপন পর বলে নেই। সকলেই ঈশ্বরের কাছে সমান। শ্রীমদ্ভগবদগীতায় বর্ণিত ধর্মযুদ্ধ হল, সাধুজনদের রক্ষা এবং অসাধু দুর্জনদের বিনাশের যুদ্ধ। শ্রীমদ্ভগবদগীতার শুরুতেই এ কারণে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে একজন ক্ষত্রিয় যোদ্ধা হিসেবে স্বীয়কীর্তি থেকে ভ্রষ্ট হতে নিষেধ করেছেন। তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, তিনি যদি তাঁর কর্তব্যকর্ম থেকে ভ্রষ্ট হয়ে যান, তবে তাঁকে পাপ গ্রাস করবে। তখন জগতের মানুষ বীর অর্জুনের অকীর্তি গাইবে এবং তাঁকে ভীতু বলে অবিহিত করে তুচ্ছজ্ঞান করবে। এ দারুণ অকীর্তি একজন মর্যাদাবান মহারথীর কাছে মৃত্যু থেকেও অধিক শ্রেয়স্কর। তাই ধর্ম এবং অধর্মের যুদ্ধে ভয় পেয়ে অথবা মোহ-মায়ার দ্বারা আচ্ছন্ন হয়ে যুদ্ধক্ষেত্র পরিত্যাগ করা যাবে না।

অথ চেত্ত্বমিমং ধর্ম্যং সংগ্রামং ন করিষ্যসি৷
ততঃ স্বধর্মং কীর্তিং চ হিত্বা পাপমবাপ্স্যসি৷৷
অকীর্তিঞ্চাপি ভূতানি কথয়িষ্যন্তি তেঽব্যয়াম্৷
সংভাবিতস্য চাকীর্তির্মরণাদতিরিচ্যতে৷৷
ভয়াদ্রণাদুপরতং মংস্যন্তে ত্বাং মহারথাঃ৷
যেষাঞ্চ ত্বং বহুমতো ভূত্বা যাস্যসি লাঘবম্৷৷
অবাচ্যবাদাংশ্চ বহূন্ বদিষ্যন্তি তবাহিতাঃ৷
নিন্দন্তস্তব সামর্থ্যং ততো দুঃখতরং নু কিম্৷৷
(শ্রীমদ্ভগবদগীতা:২.৩৩-৩৬)

“আর তুমি যদি এই ধর্মযুদ্ধ না কর তা হলে তোমার স্বীয়কীর্তি থেকে ভ্রষ্ট হয়ে পাপ ভোগ করবে।

আরও দেখ, সমস্ত লোক তোমার কীর্তিহীনতার কথা বলবে। যে কোন মর্যাদাবান লোকের পক্ষে অকীর্তি অপেক্ষা মৃত্যুও অধিক শ্রেয়স্কর।

সমস্ত মহারথীরা মনে করবেন, যে তুমি দয়াবশত নয়, ভয় পেয়ে যুদ্ধক্ষেত্র পরিত্যাগ করেছ। তখন তুমি যাদের কাছে সম্মানীত ছিলে তারা তোমাকে ভীতু বলে তুচ্ছজ্ঞান করবে।

তোমার শত্রুরা তোমার সামর্থ্যের নিন্দা করে বহু অকথ্য কথা বলবে। এর চেয়ে অধিক দুঃখজনক তোমার পক্ষে আর কি হতে পারে?”

এ সর্বজনীন কল্যাণের ধর্মযুদ্ধ করতে যুদ্ধক্ষেত্রে অর্জুনকে উত্থিত হতে বলেছেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। তিনি অর্জুনকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, যে এ যুদ্ধক্ষেত্রে নিহত হলে সে অক্ষয় স্বর্গলাভ করে মহিমান্বিত হবে। পক্ষান্তরে যদি জয়লাভ করতে পারে, তবে সে পৃথিবীর বিবিধ ঐশ্বর্য ভোগ করবে। এ পৃথিবী, বীরভোগ্যা। বীরেরাই পৃথিবীকে অধর্ম থেকে রক্ষা করে। অধর্মের ধারক দুর্যোধনাদি ভাইদের সাথে সন্ধিচুক্তি সহ সাম-দানের সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যাওয়ার পরেই কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধটি অনাকাঙ্ক্ষিত হলেও, এর থেকে পরিত্রাণের উপায় ছিল না। তাই মহারথী অর্জুনকে উত্থিত হয়ে ধর্মযুদ্ধে নির্ভীকচিত্তের অবতীর্ণ হতে বলেছেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ।

হতো বা প্রাপ্স্যসি স্বর্গং জিত্বা বা ভোক্ষ্যসে মহীম্৷
তস্মাদুত্তিষ্ঠ কৌন্তেয় যুদ্ধায় কৃতনিশ্চয়ঃ৷৷
(শ্রীমদ্ভগবদগীতা:২.৩৭)

“‘হে কুন্তীপুত্র, এই যুদ্ধক্ষেত্রে নিহত হলে তুমি স্বর্গলাভ করবে এবং জয়লাভ করলে পৃথিবী ভোগ করবে ; অতএব যুদ্ধের জন্য দৃঢ় সংকল্প হয়ে উত্থিত হও।”

শাস্ত্রে বলা আছে, যদি ধর্ম এবং স্বদেশের জন্য যুদ্ধ করতে গিয়ে কেউ মৃত্যুবরণ করে, তবে যোগিগণ ধ্যানের দ্বারা যে পদ লাভ করেন, তিনিও সেই পদ লাভ করে থাকেন। তাই কখনো যদি ধর্মযুদ্ধ সামনে চলে আসে, তবে কোনভাবেই সেই যুদ্ধ থেকে পিছিয়ে যাওয়া যাবে না। ভয় না পেয়ে নির্ভীক চিত্তে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। পথে যদি মৃত্যুও আসে, ভয়ের কিছু নেই।আত্মা অবিনাশী, দেহকে ক্ষত-বিক্ষত করে ফেলা হলেও, অবিনশ্বর আত্মাকে কেউ স্পর্শ করতে পারে না। দেহের মৃত্যু হলেও আত্মার মৃত্যু নেই। বিষয়টি মহানির্বানতন্ত্রে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে। ধর্মযুদ্ধে নির্ভীকচিত্তে যিনি মৃত্যুবরণ করেন; সেই ব্যক্তি অনন্ত পুণ্য লাভ করেন। সেই অনন্ত পুণ্যবলে তিনি চাইলে ত্রিভুবনও জয় করতে পারেন।

ন বিভেতি রণাদ্ যো বৈ সংগ্রামেঽপ্যপরাঙ্মুখঃ।
ধর্মযুদ্ধে মৃতো বাপি তেন লোকত্রয়ং জিতম্।। (মহানির্বানতন্ত্র: ৮.৬৭)

“যিনি ধর্ম যুদ্ধে ভয় পান না, যিনি সংগ্রামে অপরাঙ্মুখ, যিনি ধর্মযুদ্ধে নির্ভীকচিত্তে মৃত্যুবরণ করেন; সেই ব্যক্তি পুণ্যফলে ত্রিভুবন জয় করতে পারেন।”

ভারতবর্ষের ধর্মযুদ্ধ তত্ত্বের মধ্যে কোন জাতিবাচক বা কোন বিশেষ জাতির প্রতি বৈরিতা নেই।পরাধীন ভারতবর্ষে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সময়েও এমনি ধর্মযুদ্ধের সূচনা হয়েছিল। সেসময়ে এদেশীয় বিপ্লবী স্বদেশীরা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শ্রীমদ্ভগবদগীতায় বর্ণিত আত্মতত্ত্ব এবং ক্লীবত্ব পরিত্যাগ করে ধর্মযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তারা বিদেশি সাম্রাজ্যবাদীদের বিরুদ্ধে নির্ভীকচিত্তে সাধ্যমত লড়াই করেছেন। অনেকেই হাসতে হাসতে ফাঁসির মঞ্চে প্রাণ আত্মাহুতি দিয়েছেন। সে সময়ে স্বদেশীদের উৎসাহিত করতে অসংখ্য ব্যক্তি বিপ্লবী গণসংগীত লিখেছেন। তাই ধর্ম বা ধর্মযুদ্ধের শঙ্খরবের আহ্বানে নির্ভীক চিত্তে দীপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে যেতে হবে। বিষয়টি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংগীতেও স্পষ্টভাবে পাওয়া যায়:

“মুক্ত করো ভয়, নিজের’পরে করিতে ভর না রেখো সংশয়।
ধর্ম যবে শঙ্খরবে করিবে আহ্বান
নীরব হয়ে নম্র হয়ে পণ করিয়ো প্রাণ।
মুক্ত করো ভয়, দুরূহ কাজে নিজেরি দিয়ো কঠিন পরিচয়॥”

জগতে প্রত্যেকের জীবনেই ধর্মযুদ্ধ রয়েছে। সে ধর্মযুদ্ধ লড়তে হবে নিষ্কাম মানসিকতার সাথে। এটাই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শিক্ষা। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ যদি ইচ্ছা করতেন, তবে কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ মূহুর্তেই শেষ করে দিতে পারতেন।
তবুও ধর্মযুদ্ধের আগমন ঘটলো। সে ধর্মযুদ্ধের পূর্বে অর্জুনকে তিনি অষ্টাদশ অধ্যায়ের শ্রীমদ্ভগবদগীতার জ্ঞান প্রদান করলেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ প্রকারান্তরে বুঝিয়ে দিলেন, যে ব্যক্তি নিষ্কামভাবে নিজের কাজ করে যায়, ভগবানও তাকে প্রেরণা প্রদান করে পরিশেষে সফলতা প্রদান করে। যিনি ধর্মের ক্ষেত্রে দুই পা এগিয়ে যায়, ভগবান তাকে দুইয়ের অধিক পদক্ষেপ অগ্রসর করে দেন।

ইউরোপীয়দের ‘ক্রুসেড’, আরবীয়দের ‘জেহাদ’ ভারতবর্ষীয় আধুনিক পারিভাষিক শব্দে ‘ধর্মযুদ্ধ’ বলে অবিহিত করা হলেও; বিষয়গুলো এক নয়, সম্পূর্ণ ভিন্ন। এদেশীয় ধর্মযুদ্ধ কোন জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নয়। যে পাপি, দুরাচারী, দুষ্কৃতকারী ; শুধু তাদেরই বিরুদ্ধে। এ পাপিষ্ঠরা যদি নিজ রক্তের ভাই হয়; তবে তাকেও দণ্ড প্রয়োগে বিনাশ করতে হবে। অন্য ধর্মাবলম্বী যাকে হালের পরিভাষায় বিধর্মী বলা হয়; সেই বিধর্মী মানুষেরা শুধু ধর্মীয় বিশ্বাসের ভিন্নতার কারণে হত্যার যোগ্য – শ্রীমদ্ভগবদগীতার ধর্মযুদ্ধের সংজ্ঞায় এমন অমানবিক কোন বিষয়ে প্রোৎসাহিত করা হয়নি। এখানে ধর্ম-অধর্ম বলতে মনুষ্যের সাত্ত্বিক এবং তামসিক ভাবকেই নিদিষ্ট করা হয়েছে। স্মর্তব্য যে, শ্রীমদ্ভগবদগীতায় বর্ণিত ধর্ম-অধর্মের মধ্যে ধর্মযুদ্ধ এবং বর্তমান কালের বিশ্বাসী-অবিশ্বাসীর মধ্যে ধর্মযুদ্ধের মধ্যে ধর্মযুদ্ধ শব্দটির আপাত সাদৃশ্য থাকলেও; বিষয় দুটি এক নয়। দুটি বিষয়ের মধ্যে রাতদিন পার্থক্য। ধর্ম-অধর্মের মধ্যে ধর্মযুদ্ধে স্রষ্টা নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে জীবের শুভ-অশুভ কর্মের কর্মফল প্রদান করেন। বিপরীতে অন্যটিতে স্রষ্টা একপাক্ষিক ভূমিকায়, শুধুই তথাকথিত বিশ্বাসীদের পাশে বলে প্রচার করা হয়। বিষয়টি স্রষ্টার সর্বজনীনতা এবং সমদর্শীতাকে ক্ষুন্ন করে, স্রষ্টাকে সংকীর্ণ করে দেয়।

কুশল বরণ চক্রবর্ত্তী
সহকারী অধ্যাপক,
সংস্কৃত বিভাগ,
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে