কোহিনুর বেগম।।Khohinur Begume

0
168

জলসবুজের শিক্ষার শিক্ষার আলোকিত বাতিঘর ন্যাশনাল সনদপত্র প্রাপ্ত স্কাউট সদস্য….
#কোহিনুর_বেগম

অণীশ তালুকদার বাপ্পু

সমাজে কিছু মানুষ জন্ম গ্রহণ করেন,যাঁরা নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেন পরের তরে। অন্যকে আলোকিত করার মধ্যে খুঁজে নেন নিজের আলো। সমাজ-সংসার আর মানুষের আলোচনা-সমালোচনাকে পদদলিত করে কর্ম করে যান নিজের গতিতে।

পেছনে তাকানোর সময় থাকেনা তাঁদের। কথা নয় বরং কাজের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত করেন সত্য-সুন্দরের সৃজনশীলতা ব্যক্তি জীবনে সবচেয়ে ভরসার মানুষ স্বামীকে অকালে হারিয়ে কঠিন জীবন সংগ্রামে বিজয়ী এক নারী কোহিনুর বেগম। জীবনে দুঃখ-কষ্ট আসলেও থেমে যাননি তিনি।

উল্লেখ্য যে,সারেগামা সংগঠনের আয়োজনে অচিরেই অনুষ্ঠিত সারেগামা আলোকিত শিক্ষাগুরু সম্মাননা ২০১৯ #অালোকিত_বাতিঘর” এর জন্য কোহিনুর বেগমকে নির্বাচিত হয়েছেন।

অদম্য সাহস ও মনোবল নিয়ে পরাজিত করেছেন জীবনের কঠিন সময়কে। পিতা হারা সন্তানদের গড়ে তুলেছেন মানুষের মতো মানুষ করে। ওরা আজ আলোকিত। সংসার জীবনের যুদ্ধে নেমেও নিজের পেশাগত জীবনে কর্মদক্ষতার পরিচয় দিয়ে আপোষহীনভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন অবসরের পূর্ব পর্যন্ত। তেমনি একজন প্রচারবিমুখ মানুষকে নিয়েই আজকের আয়োজন।

#ব্যক্তিগত_জীবন :

কোহিনুর বেগম (অবসরপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক)
পিতার নাম: মরহুম আবুল হোসেন
মাতার নাম: মিসেস রাশিদা খানম
স্থান: সুনামগঞ্জ
তারিখ : ১২/১১/১৯৬০
গ্রামের বাড়ী : ধারারগাঁও
স্বামী: মরহুম আব্দুল মালেক
প্রয়াত হয়েছেন : ( ১৯৮৮) ১৩ মার্চ ১৯৮৮ ইংরেজি।
ছেলে-মেয়ে: ২ মেয়ে। খুশনুর জান্নাত কান্তা ( যুক্তরাজ্য প্রবাসী) বিবাহিত।
তাসনিম জান্নাত প্রিয়াংকা ইডেন থেকে হোম ইকোনমিক্স মাস্টার্স। বর্তমানে ডাচ বাংলা শান্তিনগর ব্রাঞ্চ ঢাকায় চাকুরীরত। বিবাহিত।

উনার পারিবারিক জীবনে ৩ ভাই ৪ বোনের মধ্যে কোহিনুর বেগম সবার বড়।

#শিক্ষাজীবন:

পিটিআই থেকে শুরু, সংগ্রামের সময় গ্রামের বাড়ী থেকে ৫ম শ্রেণি পাস করেন।
এসএসসি: ১৯৭৮ সতীশ চন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ।
পিটিআই: সিইনএড : ১৯৮১-৮২
এইচ এস সি: ১৯৮৩ ও বিএ: ১৯৯৫
সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ
এম এ : ইসলামি স্টাডিজ ২০০৫

#পেশাগত_কর্মমাধ্যম:

১৯৮৩ সালের ডিসেম্বরে সুনামগঞ্জ জেলার ঞ্জামালগঞ্জ উপজেলার লক্ষীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শুরু হয় কোহিনুর বেগমের প্রথম শিক্ষকতা জীবন। পরবর্তীতে জামালগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,রঙ্গারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খাইমতর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,ষোলঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,হাছন নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এবং বৃন্দাবন নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দক্ষতা ও সততার সাথে শিক্ষকতা করেন। অবসর গ্রহণ করেন খাইমতর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে।

শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি (২০০৫- ২০০৯) সাল পর্যন্ত শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন এবং প্রশিক্ষক হিসেবেও কাজ করেছেন।

একান্ত অালাপচারিতায় তিনি বলেন,শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতায় উন্মোক্ত করে দিতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে যে পাঠবইগুলো প্রকাশিত হয় এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা হয় সেগুলো খুবই মানসম্মত। এছাড়াও বলেন, শিক্ষকদের ব্যক্তি চরিত্র সংশোধন করতে হবে।

#কবি_লেখক_কোহিনুর_বেগম:

পেশাগত জীবনে কোহিনুর বেগম একজন দক্ষ ও কতর্ব্যনিষ্ঠ শিক্ষক হলেও সৃজনশীল কাজেও তিনি নিজেকে জড়িত রেখেছেন। এক সময়ে সংবাদপত্রসহ বিভিন্ন প্রকাশনায় প্রচুর লেখালেখি করেছেন। লিখেছেন কবিতা। সংকলন এ বের হয়েছে। বর্তমানে লেখালেখি থেকে সাময়িক বিরতি নিলেও আবার কলম চলবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। আমরা ও রইলাম সেই দিনের অপেক্ষায়। লেখকের কলম বন্ধ হয়ে যাওয়া মানে সমাজের চোখ অন্ধকারে ঢেকে যাওয়া। কলম শুধু নিজের আত্মতৃপ্তির জন্যই নয় বরং সমাজকে আলোকিত করতে কলম চালিয়ে যাওয়া প্রত্যেক লেখকের নৈতিক দায়িত্ব। সৃষ্টিকর্তার কাছে এই আলোকিত মানুষের দীর্ঘায়ু ও সুখময় জীবন প্রার্থনা করি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে