কেমুসাস পদক-২০২২ ইং।।হাসুস বাংলাদেশ’র শুভকামনা।

0
224

কেমুসাস তরুণ সাহিত্য পুরস্কার -২০২২ ইং
গল্পে – Midhad Ahmed
প্রবন্ধে – Abdul Kadir Jibon
ছড়ায় – Muaj Bin Anam
কবিতায় – Salik Ameen

সবাইকে হাওরপিডিয়ার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন‌।
চারজনই প্রতিভাবান। তাদের হাতে লিখিত হোক আগামী দিনের বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ সাহিত্যকর্ম।

গল্পে পদকপ্রাপ্ত মিদহাদের অনুভূতি নিচে তুলে ধরা হলো—

এই প্রাপ্তি আমার জন্য বিশাল। কেমুসাস তরুণ সাহিত্য পুরস্কার ২০২২’-এ আমাকে তরুণ সাহিত্য পুরস্কারের জন্য (গল্প ক্যাটাগরিতে) মনোনীত করা হয়েছে এবং পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। আমি ভীষণভাবে আনন্দিত এবং সম্মানিত বোধ করছি এই পুরস্কারটা পেয়ে।

‘কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ’ বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন সাহিত্য সংগঠন এবং ‘কেমুসাস তরুণ সাহিত্য পুরস্কার’ ইতোমধ্যে পুরো বাংলাদেশ প্রসিদ্ধ। সিলেটের প্রায় সব সাহিত্যিক যারা পুরো বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ তাঁরা সবাই এই পুরস্কার গ্রহণ করে সম্মানিত হয়েছেন এবং পুরস্কারকেও সম্মানিত করেছেন৷ পল্লীকবি জসীম উদ্দীন কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ সম্পর্কে বলেছেন, ‘এই সংসদের ভেতর দিয়া নবীন শ্রীহট্ট জাগিয়া উঠিবে’। বাংলার দুই কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় এই সাহিত্য সংসদ দেখে বিমোহিত হয়েছিলেন এবং এর সংগ্রহশালার বিস্তর প্রশংসা করেছিলেন৷ একই সাথে এই কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদে স্মৃতিধন্য, পরিদর্শন ও বিস্তর প্রশংসা করে গিয়েছেন অধ্যাপক বহুভাষাবিদ ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ্। আধুনিক বাংলাদেশের নারী প্রগতি আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব, আমার প্রিয়জন সুফিয়া কামাল নিজেকে কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের ‘দীন সেবিকা’ বলে দাবি করেছেন। শ্রদ্ধেয় মোতাহার হোসেন চৌধুরী, গোবিন্দ চন্দ্র দেব, সৈয়দ আলী আহসান, জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, জনপ্রিয় লেখক ইমদাদুল হক মিলন, দেওয়ান আজরফ, আল মাহমুদ এবং সর্বশেষ বাংলা সাহিত্যের নন্দিত কথাশিল্পী হুমায়ূন আহমেদের স্মৃতিধন্য এই কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির অন্যতম প্রধান তীর্থক্ষেত্র। সায়েন্স ফিকশন লেখক ডক্টর মুহম্মদ জাফর ইকবাল ওনার প্রারম্ভ জীবনে প্রতি সপ্তাহে দুই/তিনবার পায়ে হেঁটে মিরাবাজার থেকে কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদে যেতেন এবং সেখানকার পাঠাগারে অধ্যয়ন করতেন৷ ওনার সাহিত্য জীবনে প্রবেশের আগে, বিশাল একটা জ্ঞানবাহনের মশাল এই কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ।

ইতোমধ্যে এই পুরস্কারটা যারা পেয়েছেন তাঁদের মধ্যে আছেন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কথাশিল্পী সেলিম আউয়াল, বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি জফির সেতু যাকে অনুপ্রেরণার উৎস মনে করেন; সেই কবি ও প্রাবন্ধিক শ্রদ্ধেয়জন আবিদ ফয়সল, বাংলা শিশুসাহিত্যের প্রাজ্ঞজন জসীম আল ফাহিম, বাংলা শিশুসাহিত্য ও ছড়াসাহিত্যের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব শিশুসাহিত্যিক মিনহাজ ফয়সল, গল্পকার জীম হামযাহ প্রমুখ। আমি তাদের উত্তরসূরী হয়ে এই পুরস্কারটা গ্রহণ করছি এবং সর্বোপরি চেষ্টা করবো এই পুরস্কারের সম্মান বহাল তবিয়তে রাখার।

এবারের পুরস্কারটা আমার জন্য আরও বিশেষ কিছু কারণে আহ্লাদী। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্ত্রীসভার প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী, আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বের সময়ে আমি কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের তরুণ সাহিত্য পুরস্কার সম্মানের জন্য মনোনীত হয়েছি। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি প্রাজ্ঞজন; কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাহিত্য ও গবেষণা সম্পাদক শ্রদ্ধেয় মাহবুব ফেরদৌসকে। একইসাথে যারা আমাকে এই পুরস্কারের জন্য যোগ্য মনে করেছেন, তাঁদের সবাইকে আমার কৃতজ্ঞতা।

বাংলাদেশের প্রখ্যাত নাট্যকার, ভ্রমণ লেখক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত শাকুর মজিদ আঙ্কেলের হাত থেকে ‘কেমুসাস তরুণ সাহিত্য পুরস্কার ২০২২’ গ্রহণ করা আমার এই কুড়ি বছরের জীবনে অন্যতম সুন্দরময় স্মৃতি। প্রায় শতবর্ষী প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের এখন পর্যন্ত বয়সের বিচারে আমিই সর্ব কনিষ্ঠ যে কিনা কেমুসাস তরুণ সাহিত্য পুরস্কার এত অল্প বয়সেই অর্জন করেছি৷ এইটা কেমুসাস এবং আমি, আমাদের দুজোনের জন্য বিশেষ। আমার চেয়ে কম বয়সী কেউ, এর আগে এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হোন নি।

আমার জন্য সব সময় আপনারা দোয়া রাখবেন৷ আপনাদের ভালোবাসাই পারে আমাকে আমার লক্ষ্য পর্যন্ত ঠিকঠাক নিয়ে দাঁড় করাতে।

আমি আমার এই পুরস্কারটা উৎসর্গ করছি আমার আম্মু-আব্বু ও আমার ঠাম্মা লোকগানের সম্রাজ্ঞী; একুশে পদক প্রাপ্ত সুষমা দাশকে। তাঁদের চরণে আমার শতকোটি সালাম।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে