কংকন সরকারের কবিতা

0
177

কবি কংকন সরকার

পিতার নাম শংকর সরকার
মাতা রেভা রাণী।
তিনি সুনামগঞ্জ জেলা মধ্যনগর উপজেলা ২নং দক্ষিণ বংশীকুন্ডা ইউনিয়নের হাতপাঠন গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন।
তিনি প্রাথমিক শেষ করেন,
নয়াবন্দ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে।
ও উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে বংশীকুন্ডা মমিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে।
তিনি এস.এস.সি পাস করেন ২০১৩ সালে।
তিনি প্রথম লেখালেখি শুরু করেন ২০১০ সাল থেকে তবে তখন ততটা গুরুত্ব দেননি,
পরে প্রায় ২০১৫ সাল থেকে আবার লেখালেখি শুরু করেন।
এখন অব্ধি তিনি ২০০ এর উপরে কবিতা ও ছড়া লিখেছেন।
১৩ টি গান লিখেছেন।
ও ২ টি উপন্যাস লিখেছেন।
তার লেখাগুলার মধ্যে অন্যতম, হাওড় পারের ছেলে, বংশীকুন্ডা, সুনামগঞ্জের সুনাম, এতিম ছেলে, লজ্জাহীন জাতি, কালো ছেলে, প্রিয় বন্ধু, প্রিয় ভাই, উপহার,
কৃষকের ভয়,হাওড়ের ঢেউ ইত্যাদি ইত্যাদি।

তার লেখার উৎসাহ দাতা, সাহসদাতা ও শিক্ষা গুরু হলেন ইমরান তালুকদার ও নিখিল চক্রবর্তী।
এছাড়াও আছেন জীবন কৃষ্ণ সরকার,
ও তার বন্ধু মহল

নেশা: লেখালেখি ও বাঁশি বাজানো।

১। ফেরারি
কংকন সরকার
…………………..
ঘর ছাড়িব দেশ ছাড়িব
ছাড়িব আপন বাড়ি,
ছাইরা যাব পিতা মাতা
হইয়া আমি ফেরারি।

কেউ পাবেনা খোঁজে আমায়
কেউ দেখবেনা চোখে,
সত্যি চলে যাবো আমি
স্মৃতি কিছু রেখে।

কোথায় যাবো কেন যাবো
এমন কী তার কারণ,
কারণ ছাড়া হয়না কার্য
তবুও বলা বারণ।

কষ্ট হবে রেখে যেতে
আমার সোনার সংসার
তবুও যে যেতেই হচ্ছে
রাখিয়া সব আমার।

নিরুদ্দেশে ধরবো পারি
যাবো অচিন পুরে,
হয়তো যাবো একটু দূরে
নয়তো খানিক দূরে।

২। বুড়া
কংকন সরকার
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
বুড়ার কাঁদে পাউ তুলিয়া
নাঁচে রামার ছেলে,
বলতে গেলেই পাল্টা জবাব,
বিচার নাহি মেলে।

রামার কাছে দিলে বিচার
উল্টে রামা বলে,
বুড়া হইছ মুখটা এবার
বন্ধ রাখলে চলে।

তুমি কাকু কেমন লোক
আমার সবি জানা,
আমার ছেলেকে শাসন করতে,
করলাম তোমায় মানা।

বয়স্কদের কথার মাঝে
কথা বলে এসে,
বেশি কিছু বললে বুড়ার,
উপায় নাই শেষে।

বুড়ার জ্ঞান কাজে আসেনা
যুবকরা ভাল বুঝে,
বিচার বৈঠক কোন কাজেই,
বুড়াকে কেউনা খোঁজে।

বুড়া এখন গনার বাহির
শুধু চেয়ে দেখে,
নিজের ছেলেই তার কথা,
বামে পেলে রাখে।

৩। হারানোর কষ্ট
কংকন সরকার
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
যেইজন হারায় সেইজন বুঝে
হারানোর কী কষ্ট,
জ্বালিয়ে পুরিয়ে অঙ্গার করে,
জীবন করে নষ্ট।

বাম পাঁজরে থাকে যেইজন
সেই যদি যায় চলে,
কত স্মৃতি গুমরে মরে,
বুঝানো যায়না বলে।

কত স্মৃতি চোখের জলে
হয় বিসর্জন,
তারে ছাড়া অন্য কিছু,
নয়কো প্রয়োজন।

কত হাহাকার এই বুকে
কেউ বুঝেনা,
শূন্য বুকে কত কষ্ট,
কেউ খোঁজেনা।

শূন্য হৃদয় ডাকে তারে
আয় ফিরে আয়,
সত্যি প্রিয় তরে ছাড়া,
থাকা বড়ো দায়।

চাইনা কিছু তোরে ছারা
এই জীবনের তরে,
রাখব তোরে অনেক সুখে,
আয় তুই ফিরে।

৪। অন্ধ সমাজ
কংকন সরকার
,,, ,,,,,, ,,,,,,, ,,,,,,,,,
অন্ধ সমাজের তান্ডব দেখ,
মানব চক্ষু মেলিয়া।
সবাই আজ ব্যস্ত রে ভাই,
নিজের স্বার্থ লহিয়া।

পাড়ার লোক আর প্রতিবেশি,
সুখের সময় পাশাপাশি।
দুঃখের সময় দেখবে যে রং,
নিজের ঘরের দোয়ারে বসি।

এই সমাজ আজ স্বার্থের কাছে,
হয়ে গেছি বন্দী,
স্বার্থ ছাড়া সমাজ যে আজ,
করেনা কোন ফন্দি।

ভাল চললে বলবে লোকে,
করছে হয়ত ধান্দা।
মন্দ চললে বলবে হেসে,
শালা নাচুর বান্দা।

সৎ মানুষের নেই যে কদর,
সত্যের নেই যে দাম।
অসৎ লোক আজ কোটিপতি,
সমাজে তারি নাম।

তাইতো পাপী কংকন বলে,
আর দেরি নাই,
এই সমাজের হবে পতন,
কিতাবে আছে তাই।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে