আব্দুল জব্বার আনছারী

0
174

বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বার আনছারী সাহেবের- ৪৩ তম শাহাদাত বার্ষিকী। দুনিয়ায় কিছু মানুষের জন্ম হয় সৃষ্টি করার জন্য- আর কিছু মানুষের জন্ম হয় ধ্বংস করার জন্য। তেমনি, নেত্রকোনা জেলার, আটপাড়া উপজেলার, বিষ্ণুপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তার জন্ম হয়েছিল ১৯৩৮ সালে। তিনি, সুনামগন্জ জেলার ধরমপাশা উপজেলার মধ্যনগর বিপি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেট্রিক পাশ করে, নেত্রকোনা কলেজে ইন্টার মিডিয়েটে ভর্তি হন। ইন্টারমিডিয়েটে পড়ার সময়েই কলেজের ছাত্র রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন এবং কলেজ ছাত্র-সংসদের প্রতিষ্ঠাতা ভিপি নির্বাচিত হন। পুর্ব পাকিস্থানে তখন বঙ্গবন্ধু-র ডাকে ঐতিহাসিক ছয়দফা এবং ছাত্রদের বিভিন্ন দাবীসহ মোট এগার দফা কর্মসুচি চলমান। তিনিও নেত্রকোনা জেলায় এসব কর্মসুচির অগ্রভাবে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু-র ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানের ভাষন শুনে, মুক্তিযুদ্ধের জন্য, নিজের এলাকার জনগনকে সংগঠিত করে, ভারতের মেঘালয়ের মহাদেও নামক স্থানে ইয়ুথ ক্যাম্প স্থাপন করেন এবং এই ক্যাম্পের অফিসিয়াল ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি, পাক বাহিনীর সাথে সরাসরি যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন ( চান্দুয়াইল, কলমাকান্দা)। তিনি মুক্তিযুদ্ধের একজন অন্যতম সংগঠক এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি, স্বাধীনতার পরে,কলমাকান্দা উপজেলার বরদল গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস করার জন্য, বসতি স্থাপন করেন। বরদল এলাকাকে আলোকিত করার জন্য, তিনি বরদল গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, বাজার, মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে তিনি কলেজও স্থাপন করেছিলেন। তিনি, কলমাকান্দা উপজেলা আওয়ামীলীগ-এর সভাপতি ছিলেন। (সভাপতি আব্দুল জব্বার আনছারী এবং সাধারন সম্পাদক শামছুল হুদা তালুকদার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কলমাকান্দা সদর ইউনিয়ন)। আমি মনে করি, তিনিই নেতা, যিনি পথ দেখান, পথ তৈরী করেন এবং এই পথে চলতে উদ্বুদ্ধ করেন। কীর্তিমানের মৃত্যু নাই। মহান এই ব্যক্তিটির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা……………।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে