অবিলম্বে জাফলং এ চাঁদাবাজি চিরতরের জন্য বন্ধ করা হোক

0
112

অবিলম্বে জাফলং এ চাঁদাবাজি চিরতরের জন্য বন্ধ করা হোক

পরিচ্ছন্নতার জন্য ১০ টাকা ব্যাপার না বলে যেসব মাথামোটা বুদ্ধিজীবীগণ সাফাই গাচ্ছেন তারা কি জানেন পরিচ্ছন্নতার জন্য কয়টাকা লাগে আর দৈনিক কতটাকা চাঁদা উত্তোলন হচ্ছে।লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা তুলে সিকি পরিমান অর্থ কয়জন লাঠিয়ালকে দিলে বাকি টাকার হদিস কোথায় একটু বলবেন কি?

পরিছন্নতার জন্য দোকানগুলো থেকে চাঁদা নিতে পারে,জনগনকে কেন হেনস্থা করবে।এটা একটা সূক্ষ পরিকল্পনার চাঁদাবাজি।তাছাড়া পুরো পরিবার ১০ টাকা হলে মানা যেতো, প্রতিজনে দশ টাকা হলে সস্পূর্ণ ফ্যামেলিতে অনেকেরই ৭০/১০০ টাকা চলে যায়।তাহলে এ নিয়ে তর্ক হবে না তো কি হবে? আমি হলেও সেখানে তর্ক করতাম।গতকাল ঠিক এই ঘটনাটিই ঘটেছে।শুধুমাত্র পরিচ্ছন্নতার জন্য চাঁদা তুলা হলে এপা কেন ব্রহ্মার আঁক হবে যে কেউ চাইলে ১০ টাকা কম দিতে পারবেনা? ১০ টাকা কম দিতে চাইলে লাঠিপেঠা করবে? যে জাফলং ১০/১৫ জন নিয়ে ঘুরেছি ১ টাকা লাগেনি,সেখানে ১০০/১৫০ টাকা কি খুশিতে গলগল হয়ে দিতে চাইবো?
যারা মনে করতেছেন উপজেলা প্রশাসন চাইলে পর্যটন উন্নয়ন খাতে ১০ টাকা চাঁদা তুলতে পারে তহারা এনবি নিউজের নিচের প্রতিবেদনটি একটু পড়ে আসতে পারেন-

“প্রতিবেদন,এনবি নিউজঃ Jiban Krishna Sarker

জাফলং পর্যটকদের কাছ থেকে ফি নেয়ার বিষয়ে পর্যটন খাতের পরামর্শক হাসান মোরশেদের প্রশ্ন, ‘তারা কোন আইনের ভিত্তিতে এভাবে টাকা সংগ্রহ করছেন? জেলা বা উপজেলা প্রশাসন চাইলেই কি যেকোনো জায়গা থেকে মানুষজনের কাছ থেকে টাকা আদায় করতে পারে?

‘আমি বাংলাদেশের একজন নাগরিক। আমার ইচ্ছে হলো বাংলাদেশের কোনো একটি খোলা জায়গায় গিয়ে দাঁড়াব। এ জন্য কি প্রশাসন আমার কাছে টাকা দাবি করতে পারে?’
মোরশেদ বলেন, ‘পর্যটন খাতের উন্নয়ন ও বিকাশের জন্য সরকারের আলাদা মন্ত্রণালয় আছে। পর্যটকদের সেবা দেয়ার জন্য সরকারের আলাদা বরাদ্দ আছে। এই টাকা দিয়ে পর্যটন খাতের উন্নয়ন করা হবে। পর্যটকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে নয়।

তাছাড়া কোনো পর্যটনকেন্দ্র থেকে ফি নিতে হলে সরকার এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। প্রজাতন্ত্রের কোনো কর্মচারী এভাবে টাকা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।’

সূত্র: এনবি নিউজ”

তাই এসব অবৈধ চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে এখনই।কক্সবাজার চাঁদা না লাগলে জাফলং এ লাগবে কেন? একটা পিকনিক স্পট পরিস্কার রাখার ক্ষমতা কি সরকারের নেই,তাহলে জনগণের এত এত ট্যাক্স কোথায় যায়?দেশ তো উন্নয়নের মহাসড়কে আছে।তাহলে এই মহাসড়কে চলতে জনগণকে এইভাবে পথে পথে চাঁদা দিকে হবে কেন? সাধারণ জনগণকে এটুকু সেবা কি সরকার ফ্রি দিতে পারেনা? আর যদি না- ই পারে,তাহলে ওখানকার ব্যাবসায়ীদের থেকে তো চাঁদা নেয়া যায় কারণ তারা জনগনের থেকে ১ টাকার মাল ৫ টাকায় বিক্রি করে লাভ করে।মাঝখানে জনগণের থেকে চাঁদাবাজির বুদ্ধিটা কে প্রসব করলো? স্বেচ্ছাসেবক নামে লাঠিয়াল কমান্ডোদের মাইরের স্টাইল দেখে বুঝতে বাকি নেই এরা কি পরিমান টাকা লুটে খাচ্ছে চাঁদাবাজি করে।কারণ কয়টাকা কম দেবার কথা বলাতে এরা যেভাবে এ্যাটাকে আসছে এথেকে একটা জিনিস স্পষ্ট চাঁদাগুলো এরা সরকারের কোষাগারে পুরোপুরি দেয়না,নিজেরাও নেয়,নাহলে সরকারের জন্য নিজেরা এভাবে জীবন বাজি রেখে এ্যাটাকে আসবে এমন মানুষ দেশে একটাও মিলবার কথা নয়।আর এই চাঁদাবাজির বুদ্ধিটা একটা বৃহৎ চক্র আইমিন উপর মহলেরো কেউ কেউ জড়িত থাকতে পারে বলে মনে করি।চাঁদার ভাগবাটোয়ারার জন্য দায়িত্বশীল পদমর্যাদার কেউ কথা বলছেনা, বলবে বলেও মনে হচ্ছেনা।তাই সিলেটের দায়িত্বশীল মানুষ এই চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তুলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার কান পর্যন্ত পৌছাতে হবে।তবেই আশা করি ফল মিলবে।নতুবা চাঁদাবাজির ভোগান্তি সিলেটবাসীর পিছু ছাড়বে মনে হচ্ছেনা। আমি এই ব্যাপারে দলমত নির্বিশেষে সিলেটের সর্বস্থরের রাজনীতিবিদদের সোচ্চার হবার আহ্বান জানাই।প্রিয় সিলেটের মানুষজন,সময় থাকতে জেগে উঠোন,এসব চাঁদাবাজ লাঠিয়ালদের এখনই রুখতে হবে নতুবা সিলেটের ইতিহাস ঐতিহ্যের উপর বার বার আঘাত আসতে বাধ্য।সারাদেশে ওলি আউলিয়া,সুফি,সাধকের দেশ সিলেটের বদনাম ছড়িয়ে পড়ুক এটা আমরা সিলেটবাসী কোনভাবেই মানতে পারিনা।জেগে ওঠো সিলেট।হঠাও সকল প্রকার চাঁদাবাজি,হঠাও সকল প্রকার অশুভ শক্তি।

জীবন কৃষ্ণ সরকার
কবি ও প্রাবন্ধিক

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে