সুনামগঞ্জের দ্বিতীয় বৃহত্তম হাওর শনির হাওর। সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণে এ হাওরের অবস্থান। বিশ্বম্ভরপুর ,তাহিরপুর ও জামালগঞ্জ উপজেলা নিয়ে শনির হাওর অবস্থিত। আয়তন ৬৬৩৮ হেক্টর। হাওরের চারদিকে প্রায় ৬০টি গ্রাম আছে। হাওরটির পুর্বে রক্তিনদী ও উত্তর-পশ্চিমদিকে বৌলাই নদী।
হাওরের প্রায় ৪০ভাগ উচু জমি সেচের অভাবে অনাবাদী পড়ে থাকে। এই হাওরে ১১টি বিল আছে। বিলগুলো হল সোনাতলাবিল, বড়বিল, সেফটিবিল, রামচন্নাবিল, ফেলবাঙ্গাবিল, কালির ঘেউবিল, দিঘাফছমাবিল, দাওয়াবিল, টুলিবাড়িবিল, তিনবিল ও আরাবাদিবিল। এসব বিলে প্রচুর পরিমান দেশীয় প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। শনির হাওরে বর্তমানে শুধু বোরোধান চাষ হয়। তবে এক সময় এ হাওরে গোল আলু, মিস্টি আলু, সরিষা, গম ও পাঠ চাষ হত।
শীত মৌসুমে পানি শুকিয়ে কমে গেলে এখানকার প্রায় ২৪টি বিলের পাড় (স্থানীয় ভাষায় কান্দা) জেগে উঠলে শুধু কান্দা’র ভিতরের অংশেই আদি বিল থাকে, আর শুকিয়ে যাওয়া অংশে স্থানীয় কৃষকেরা রবিশস্য ও বোরো ধানের আবাদ করেন। এসময় এলাকাটি গোচারণভূমি হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। বর্ষায় থৈ থৈ পানিতে নিমগ্ন হাওরের জেগে থাকা উঁচু কান্দাগুলোতে আশ্রয় নেয় পরিযায়ী পাখিরা —রোদ পোহায়, জিরিয়ে নেয়। কান্দাগুলো এখন (২০১২) আর দেখা যায় না বলে স্থানীয় এনজিও ও সরকারি ব্যবস্থাপনায় সেখানে পুঁতে দেয়া হয়েছে বাঁশ বা কাঠের ছোট ছোট বিশ্রাম-দণ্ড।প্রায় ২০০ প্রজাতির মাছ রয়েছে। এ হাওরের বিখ্যাত মাছের মধ্যে প্রথমেই উল্লেখ করা যায় মহাশোলের কথা।
তথ্য সূত্রঃ উইকিপিডিয়া।