হাওরে বজ্রপাতঃ প্রকৃতির খেয়ালই যেখানে বাঁচা মরার মাপকাটি

0
300

হাওরে বজ্রপাতঃ প্রকৃতির খেয়ালই যেখানে বাঁচা মরার মাপকাটি

না আজ আমি কোন প্রবন্ধ লিখতে বসিনি,কোন গল্প ভেবেও ভুল করবেন না।আজ লিখছি আমার জন্মভূমি হাওরের মৃত্যুর ফিরিস্তিনামা।কি-ভাবে বছরের পর বছর আমার হাওরের কৃষক জেলে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষজনেরা দেশের মানুষের রিযিক তৈরি করতে গিয়ে হাওরে প্রাণ হারায় তা বর্ণনা করতে গিয়ে চোখের জলকে না বলা সম্ভব হচ্ছেনা।শহিদ যদি কাউকে বলতে হয় এই হাওরের বজ্রপাতে নিহতদেরই বলতে ইচ্ছে হচ্ছে আমার।কারণ এরা স্বেচ্ছায় দেশমাতৃকার মানুষের রিযিকের জন্য জীবন দেয়।তো প্রিয় পাঠক চলুন আজকে হাওরের দানব খ্যাত বজ্রপাত(হাওরাঞ্চলে ঠাডা হিসেবে পরিচিত) এবং এর প্রভাব সস্পর্কে ক্ষিয়দংশ জেনে আসি।

এক. বজ্রপাত কি?

পদার্থ বিজ্ঞানের ভাষায় “ঝড়ো বাতাসের প্রভাবে দ্রুত গতির কালো মেঘের মধ্যে ঘর্ষণ
ও সংঘর্ষে সৃষ্টি হওয়া ইলেকট্রনকে বলে বজ্রপাত যা জলীয় বাষ্পের মাধ্যমে নেমে আসে ভূমিতে। ” এই হচ্ছে বজ্রপাত সৃষ্টির রহস্য।আপনারা যারা পদার্থ বিজ্ঞান চর্চা করেছেন, হয়তো শুনেছেন জলীয় বাষ্প বা পানি একটি পোলার যৌগ।এর ধনাত্মক(Posetive) ও ঋণাত্মক(Negetive) মেরু(Pole) থাকে যার দরুন পানি বা বাষ্প মাধ্যমে বিদ্যুৎ পরিবহন সম্ভব।কারণ বিদ্যুতের ও ধনাত্মক,ঋণাত্মক প্রান্ত বা মেরু রয়েছে।আর এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই ইলেকট্রন তথা বিদ্যুৎ ভূমি বরাবর চলে আসে।আর যখন তা কোন প্রাণীর গায়ে উপবিষ্ট বা পতিত হয়, সাথে সাথে সে বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যায় যেটা আমরা খবরের কাগজে নিয়ত প্রত্যক্ষ করি বিভিন্ন বাসা বাড়িতে বিদ্যুতের মাধ্যমে বিভিন্ন মানুষ বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যাওয়ার খবরে।

দুই. বজ্রপাতের মৃত্যুর ফিরিস্তিনামা

প্রিয় পাঠক আপনারা জানেন বাংলাদেশে যতটুকু বজ্রপাত হয় তার প্রায় ৯০/৯৫ ভাগই হয় হাওরের সাত জেলায়।হাওরবেষ্টিত জেলাগুলো হলোসুনামগঞ্জ,সিলেট,হবিগঞ্জ,
মৌলভীবাজার, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোণা,ব্রাহ্মণ বাড়িয়া।পরিসংখ্যান মতে সুনামগঞ্জ এবং কিশোরগঞ্জ এই দুইজেলায় পৃথক করে প্রায় ‘শ’ খানেক করে হাওর রয়েছে।আর এই কারণেই এই দুই জেলায়ই বজ্রপাতে ক্ষতির পরিমাণ বেশি।সম্প্রতি ২৩ এপ্রিল ২০২২ শুক্রবার সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার পাগনার হাওরে ধানকাটতে যেয়ে ফেঁনারবাক ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামের ভানু মিয়া ও তার ছেলে সুমন মিয়া নিহত হন।এছাড়াও ২৮ এপ্রিল বুধবার একইভাবে ধান কাটতে যেয়ে দিরাই উপজেলার মাধবপুর গ্রামের আপন দুই ভাইয়ের মৃত্যুতে আবারো আলোচনায় সেই বজ্রসন্ত্রাস।এই ভাবে একের পর এক বজ্রদানবের আক্রমনে দিশে হারা হাওরবাসী।তাই এবার চলুন দেখে আসি বিগত একদশকে এই বজ্রদানবের আক্রমনে কতো নিরীহ প্রাণের সলিল সমাধি হয়েছে।

দেশের শীর্ষ স্থানীয় জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো’র ১৬ ই মে ২০২০ এর রিপোর্টে প্রকাশিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের তথ্য মতে ২০১০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত শুধু এই একদশকেই বজ্রপাতে মোট মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৮১ জনের যার ৯৫ ভাগই হাওরাঞ্চলের।প্রাপ্ত তথ্য মতে সবচেয়ে বেশি বজ্রপাত হয় ২০১৮ সালে।সে বছর বজ্রপাতে মারা যায় সর্বোচ্চ ৩৫৯ জন।এইভাবে ২০১৭ সালে ৩০১ জন,২০১৬ সালে ২০৫ জন,২০১৫ সালে ১৬০জন, ২০১৪ সালে ১৭০ জন,২০১৩ সালে ১৮৫ জন,২০১২ সালে ২০১ জন,২০১১ সালে ১৭৯ জন,২০১০ সালে ১২৩ জন।

পৃথিবীর ইতিহাস ঘাটলে জানা যায় বজ্রপাত সেই আদিকাল থেকেই আঘাত হেনেছে।কিন্তু প্রিয় পাঠক উপরের পরিসংখ্যানটুকু খেয়াল করলে দেখবেন বজ্রপাতে নিহতের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।এতদ সত্বেও স্বাধীন দেশের কর্তাব্যক্তিদের কুম্ভকর্ণের ঘুম আজো ভাঙেনি ভাঙবে কিনা সন্দেহ।তাই আজ মুখে মুখে একই আওয়াজ – হাওরের বজ্রপাত,প্রকৃতির খেয়ালই যেনো বাঁচা মরার মাপকাটি।বজ্রপাত হলেই মরণ,না হলে বাঁচন।এমতাবস্থা চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে এই দানবকে আটকানো সরকারের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে নিঃসন্দেহে।।তাই এর লাগাম এখনই টেনে ধরতে হবে।বিষয়টি কিছুটা অনুধাবন করে সরকার ২০১৬ সালে বজ্রপাতকে “দুর্যোগ” হিসেবে ঘোষণা করে।কিন্তু দুঃখের বিষয়, সেই ঘোষণা কোন এক কাগজের কোণায়ই ছাপা হয়ে আছে বাস্তবে লেন্স লাগিয়ে খোঁজে পাওয়ারও উপায় নাই।তাই কাগুজে ঘোষণা নয় বাস্তব পদক্ষেপ ব্যাতীত এই দানবকে থামানো যাবেনা বলে মনে করছেন হাওর বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা।

তিন. কি কারণে বজ্রপাত বাড়ছে

সহজ কথায় জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই বজ্রপাত বাড়ছে।যুক্তরাষ্ট্রের কেন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটির সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গেছে, হিমালয়ের পাদদেশ থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত জলবায়ু পরিবর্তনের কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত বলেই বাংলাদেশকে বজ্রপাতপ্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এই শতাব্দীর শেষে পৃথিবীর তাপমাত্রা চার ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তখন বজ্রপাতের হার সাড়ে ১২ শতাংশ বাড়বে। আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে, বাংলাদেশে প্রতি বছরের মার্চ থেকে মে পর্যন্ত প্রতি বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ৪০ বার বজ্রপাত হয়। শুধু এপ্রিল মাসের হিসাবে দেখা যায়, দেশের ৩৫টি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে যেখানে ২০১০ সালে ৬৫৮টি বজ্রপাত রেকর্ড করা হয়েছে সেখানে ২০১৫ সালে ১২৯৫টি বজ্রপাত সংঘটিত হয়েছে।অপরদিকে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার সহকারী অধ্যাপক ও লরেন্স বার্কলে জাতীয় গবেষণাগারের ফ্যাকাল্টি বিজ্ঞানী ডেভিড রম্প বজ্রপাত নিয়ে গবেষণা করছেন। বিজ্ঞান বিষয়ক সাময়িকী ‘সায়েন্স’ এ প্রকাশিত এক গবেষণা পত্রে তিনি বলেছেন, পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বজ্রপাতের পরিমাণ বৃদ্ধি সম্পর্কযুক্ত(তথ্যসূত্রঃবাংলাদেশ প্রতিদিন)।কিন্তু তাপমাত্রা বাড়লে কেবল হাওরে বজ্রপাত বাড়বে কেন?এই বিষয়ে বিজ্ঞানীদের এখনো গবেষণাপত্র বের না হলেও আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে বজ্রপাত ঠিক বেশি পরিমাণ হাওরে হয় এমন নয়, মূলত পরিবেশগত কারণেই হাওরে ঝড়,বৃষ্টির পরিমান বেশি হয়।যার ফলে মেঘের সংঘর্ষও বেশি হয় ফলে হাওরে বজ্রপাত বেশি হয়।আর অধিক ঝড় বৃষ্টির ফলে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমান বেশি থাকায় সহজে বজ্রপাত ভূমিতে পতিত হয়।পেশাগত কারণেই হাওরের মানুষ বাহিরে বের হয় এবং ক্ষতির পরিমান বেশি হয়,যেকারণে হাওরে বজ্রপাতবেশি হয় এবং ক্ষতির পরিমান ও বেশি হয় বলে ধারণা করা হয়। তাহলে দেখা যাচ্ছে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথেই বজ্রপাতের ব্যাপক সম্পর্ক।অর্থাৎ পদার্থ বিজ্ঞানের থিউরী অনুযায়ী তাপ বাড়লেই বায়ুতে চাপ বাড়ে আর চাপ বাড়লেই বায়ুর গতিবেগ বাড়ে এবং বায়ুকণার মাঝে সংঘর্ষ হয়।যা বুঝা গেলো এই সংঘর্ষ থেকেই ইলেকট্রনের উৎপত্তি এবং বজ্রপাতের সৃষ্টি ফলশ্রুতিতে হাওরের মানব ধ্বংশের আয়োজন।বিজ্ঞানীদের এই থিউরী যদি সত্য হয়ে থাকে,(অবশ্য সত্য) তাহলে অদূর ভবিষ্যতে হাওরিয়ানদের কপালে আরো কি আছে একমাত্র স্রষ্টাই জানেন।কারণ বিজ্ঞানীদের গবেষণা এবং বাস্তবে কার্বন ডাই অক্সাইড বৃদ্ধি ও ওজোন স্থর নষ্টের ফলে পৃথিবী দিন দিন রেকর্ড হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।যার ফলে বজ্রপাতও বাড়ে যা একটু আগে পরিসংখ্যানটিতে দেখলেন।এতে বিজ্ঞানীদের গবেষণা অক্ষরে অক্ষরে মিলে যাচ্ছে।তাই আর দেরি নয় এখনই উপযুক্ত সময় সঠিক পদক্ষেপের মাধ্যমে এই মানব ধ্বংসকারি দানব বজ্রপাতকে রুখে দেবার নতুবা অসময়ে পস্থাতে হবে সবাইকে।

চার. বজ্রপাত থেকে উত্তরণের উপায়

এই বজ্রদানব থেকে বাঁচতে হলে, হাওরের কৃষকদের বাঁচাতে হলে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ গুরুত্বের সহিত বিবেচনা করতে হবে।নিচে তার কিছু Hypothesis তুলে ধরা হলো-

১।দুর্যোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী সচেতনতামূলক পোষ্টার লিফলেট হাওরের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিতরণ করতে হবে।

২। ঐসব লিফলেটগুলো সরকারি সংস্থা বা সরকার নির্ধারিত ব্যক্তির মাধ্যমে বিতরণ করা যেতে পারে অথবা হাওরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গুলো বিশেষ করে পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থা,হাওর সাহিত্য উন্নয়ন সংস্থা(হাসুস) বাংলাদেশ এর মতো একটিভ এবং উদার নৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে কাজে লাগানো যেতে পারে।সরকার ডাকলে হাওরের উন্নয়ের কাজে তারা অবশ্যই ঝাঁপিয়ে পরবে।

৩।হাওরের প্রতিটি বিদ্যালয়ের শিক্ষককে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জোরালো নির্দেশনা ক্রমে স্কুলে স্কুলে ছেলেমেয়েদের বজ্রপাত বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।

৪। কখন বজ্রপাত বেশি হওয়ার সম্ভাবনা তা একটি বিশেষ গবেষণা বা দেশীয় বিজ্ঞানীদের কাজে লাগিয়ে কোন ডিভাইস আবিষ্কার করা যায় কিনা ভেবে দেখতে হবে।

৫।বজ্র নিরোধক দন্ড স্থাপন করতে হবে সেটা যত ব্যায়বহুলই হোক।আর বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমে ঐসব দন্ডগুলোকে অনাকাঙ্খিতভাবে ধ্বংস,চুরি,ক্ষতির হাত থেকে রক্ষার উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে হবে।

৬। মুঠোফোনের টাওয়ার গুলোতে লাইটনিং এরেস্টার( Lightning Arrester-
“লাইটনিং অ্যারেস্টার বা চার্জ ডাইভার্টার হল এক ধরনের প্রটেকটিভ ডিভাইস, যা পাওয়ার সিস্টেমে হাই ভোল্টেজ চার্জকে সারাসরি মাটিতে প্রেরণ করে”) লাগিয়ে বজ্রপাত কমানো যেতে পারে।

৭।তাল গাছ বা বড় উঁচু কাঠামোর গাছ লাগানো যেতেপারে।বিদ্যুৎ আগে উঁচু জায়গায় হিট করে তাই বিদ্যুৎ প্রথম যে জায়গায় কানেকশন পাবে সেখানে বজ্রপাত ঘটবে এবং এইভাবে মানুষের উপর বজ্রপাত হৃাস পাবে।

৮।বজ্রপাত মৌসুমে সরকারিভাবে ইলকট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়ায় বজ্রপাত বিষয়ক সচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন দৈনিক নির্দিষ্ট সময়ে প্রচার করতে হবে।

৯।পাঠ্যপুস্তকে বজ্রপাত সচেতনতা বিষয়ক অধ্যায় সংযোজন করতে হবে।যাতে করে ছেলেমেয়েরা সহজে ছোটবেলা থেকেই বজ্রপাত বিষয়ে ধারণা লাভ করতে পারে।

১০। হাওরেরে বিভিন্ন স্থানে অনেকটা যাত্রীছাউনীর মতো করে দুর্যোগকালীন অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র বানানো যেতে পারে।যাতে করে কৃষকরা অবস্থা বুঝে সহজে ঐসব ছাউনিতে আশ্রয় নিতে পারে।

এছাড়াও কিছু সচেতনতামূলক ব্যবস্থা যা হাওরের সাধারন মানুষের মেনে চলা জরুরী-

১।উত্তর পশ্চিমে গুড় গুড় শব্দ (আঞ্চলিক ভাষায় দিনের ডাক) শুনলেই শীগ্র বাসায় ফিরতে হবে।

২।হাওরে অবস্থানকালীন সময়ে যথা সম্ভব পায়ে প্লাস্টিকের স্যান্ডেল ব্যবহার করতে হবে।

৩।বৃষ্টি ভেজা অবস্থায় হাওরে অবস্থান করা যাবেনা কারণ বৃষ্টির পানিতে বিদ্যুত প্রবাহিত হয় সহজে।

৪।বৃষ্টি চলাকালীন, আকাশে বিদ্যুৎ চমকানো অবস্থায় কোনক্রমেই মোবাইল ফোন,এন্ড্রয়েড ফোন বন্ধ রাখতে হবে।

৫।গাছ গাছালি নেই,ঝড়,বৃষ্টি চলমান থাকা অবস্থায় এমন স্থানে কৃষক,জেলে, যেকেউ অবস্থান করা, অথবা কোন গৃহপালিত প্রাণী রাখা যাবেনা।কারণ গাছপালাবিহীন শূন্য স্থানে বজ্রপাত প্রাণীর শরীরে আঘাত হানার সম্ভাবনা বেশি।

৬। কোনক্রমেই আকাশে ঝলকানো অবস্থায় কোন গাছ বা উচুঁ পিলারের নিচে আশ্রয় নেয়া যাবেনা প্রয়োজনে তৎক্ষণাৎ ভূমিতে বসে পড়া ভালো কারণ বজ্রপাত উঁচু বস্তুতে আগে আঘাত হানে।

উপরি উক্ত উদ্যোগগুলো বাস্তবায়ন করতে পারলে অবশ্যই হাওরে বজ্রসন্ত্রাস তথা বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।তাই আসুন, আমি আপনি সচেতন হই বজ্রপাত হতে আমি বাঁচি আপনিও বাঁচুন।আর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে কড়জোরে অনুরোধ বজ্রপাতকে রুখে দিতে উপরের পদক্ষেপগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করে দ্রুত হাওরে সুবাতাস বয়ে আনুন।ভুলে যাবেননা এই হাওর ও হাওরের মানুষগুলোই সারা দেশের প্রাণ।আমি আপনি শহরে বসে তিন বেলা পেট ফোড়ে খেয়ে টিভির রিমোট চেপে আনন্দে সময় কাটাই কেবল ওদের জন্যই।কাজেই ওদের জন্য নয় বরং আপনার জন্যই হাওর ও হাওরের মানুষজনদের জন্য কাজ করুন।বজ্রপাত(ঠাডা)রোধে ব্যবস্থা নিন,সুন্দর দেশ বিনির্মাণে অংশ নিন।শুভকামনা সকলের জন্য।

জীবন কৃষ্ণ সরকার
কবি, প্রাবন্ধিক ও হাওর উন্নয়ন গবেষক
সম্পাদক,হাওরপিডিয়া

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে