শনি দেব কে?।।শনিদেবের জন্মপরিচয়।।শনি কে?

0
567

শনি দেবতা কে ছিলেন?
শনি (সংস্কৃত: शनि, কন্নড়: ಶನಿ , তামিল: சனி, Caṉi, তেলুগু: శని) নবগ্রহের একটি অন্যতম গ্রহ, শনি গ্রহকে গ্রহরাজ-ও বলা হয়ে থাকে। শনি হিন্দুধর্ম মতে একজন দেবতা। শনি উগ্র দেবতা হিসেবে পরিচিত । জ্যোতিষীদের মতে শনির বক্রদৃষ্টির ফলে যে ভালো কাজ করে তার ভালো হয় আর সে মন্দ কাজ করে তাদের সেরূপ শাস্তি হয়। শনি গ্রহ ও সপ্তাহের শনিবার দিনটি শনিদেবের নামে নামকরণ করা হয়। শনিদেব কে শনিশ্চর বা শনৈশ্চর(যিনি আস্তে চলেন) নামেও ডাকা হয়।

পরিচিতি

শনি সনাতন হিন্দু ধর্মের একজন দেবতা যিনি সূর্যদেব ও তার পত্নী ছায়াদেবীর (সূর্যদেবের স্ত্রী ও দেব বিশ্বকর্মার কন্যা দেবী সংজ্ঞার ছায়া থেকে সৃষ্ট দেবী ছায়া) পুত্র, এজন্য তাকে ছায়াপুত্র-ও বলা হয়।শনিদেব, মৃত্যু ও ন্যায় বিচারের দেবতা যমদেব বা ধর্মরাজ ও পবিত্র শ্রী যমুনা দেবীর অনুজ ভ্রাতা।

ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ মতে একদিন শনির ধ্যানের সময়, তার স্ত্রী দেবী ধামিনী সুন্দর বেশভূষা নিয়ে তার সামনে এলে ধ্যানমগ্ন শনিদেব সেদিকে খেয়াল না করাতে পত্নী ধামিনী বা মন্দা শনিদেবকে অভিশাপ দিলেন, আমার দিকে তুমি ফিরেও চাইলে না! এরপর থেকে যার দিকে চাইবে, সে-ই ভস্ম হয়ে যাবে! কোনো কোনো মতে মনে করা হয় যে এটি মঙ্গলদোষের প্রভাবে হয়েছে। মধ্যযুগীয় গ্রন্থ মতে শনি হলেন একজন দেবতা, যিনি দুর্ভাগ্যের অশুভ বাহক হিসেবে বিবেচিত হন। কিন্তু তা প্রকৃতপক্ষে সত্য নয়। শনি ভালোর জন্য ভালো আর খারাপের জন্য খারাপ। তিনি খুব ধৈর্যশীল। উল্লেখ্য,কর্মফল দিতে গিয়ে তিনি অনেকের রোষানলে পড়লেও কখনোই সত্যের পথ থেকে তিনি বিচ্যুত হননি।

মন্দির এবং তীর্থস্থান সমূহ

ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে এবং বাংলাদেশের হিন্দু অধ্যুষিত অঞ্চলে শনিদেবের ছোটবড় মন্দির দেখা যায়, এবং সেখানে প্রতি সপ্তাহে শনিবার শনিদেবের সাপ্তাহিক পূজার্চনা হয়ে থাকে। এছাড়াও সারা ভারতে বেশকিছু বড় বড় শনি মন্দির ও তীর্থস্থান উল্লেখযোগ্য, যেমন তিরুনাল্লার শ্রী শনিশ্চর কোইল ,দেওনার-এর শনি দেবালয়ম, মহারাষ্ট্রের শনি-সিঙ্গাপুর মন্দির, তিতওয়ালার শনি মন্দির, মাদুরাই এর নিকটে কুচানুর-এর শনি মন্দির। এছাড়াও বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার পলাশপুরে শনিদেবের আখড়া,প্রত্নসম্পদ ও মন্দির আছে।

শনিদেবের ব্রত

শনিদেব সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা যতই ভয়ভীতিমিশ্রিত হোক না কেন, মৎস্য পুরাণ কিন্তু শনিদেবকে লোকহিতকর গ্রহের তালিকাতেই ফেলেছে। প্রতি শনিবার সন্ধ্যায় শনিদেবের পূজার্চনা করার বিধান আছে। সাধারণত শনিদেবের মন্দিরে অথবা গৃহের বাইরে খোলা জায়গায় শনিদেবের পূজা হয়। নীল বা কৃষ্ণ বর্ণের ঘট, পুষ্প, বস্ত্র, লৌহ, মাষ কলাই , কালো তিল, দুগ্ধ, গঙ্গাজল, সরষের তেল প্রভৃতি বস্তু শনিদেবের ব্রতের জন্য আবশ্যক। নির্জলা উপবাস বা একাহারে থেকে এই ব্রত পালন করতে হয়।
তথ্যসূত্রঃ Qoura.com

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে