গল্পকার জেনারুল ইসলাম।।Jenarul Islam।।জেনারুল ইসলাম।।

0
295

তরুণ গল্পকার জেনারুল ইসলাম সিলেটের তরুণ পাঠকদের কাছে এক জনপ্রিয় নাম।ইতোমধ্যে তার একটি কবিতা ও একটি গল্পগ্রন্থ সহ দুটো বই প্রকাশিত হয়েছে।
নিচে তার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরা হলো-

জেনারুল ইসলাম
লেখালেখির বিষয়ঃ কবিতা,গল্প,গ্রন্থসমালোচনা।
প্রকাশিত গ্রন্থ ও নামঃ
১.একমুঠো রোদ্দুর ( কাব্যগ্রন্থ)
২. মন গহীনের গল্প (গল্পগ্রন্থ)

জন্ম সনঃ ১২ আগষ্ট,১৯৯৭
পিতার নামঃ আবুল কাশেম
মাতার নামঃ রেহেনা খাতুন

স্থায়ী ঠিকানাঃ রৌহা,বংশীকুণ্ডা,মধ্যনগর,সুনামগঞ্জ।
বর্তমান ঠিকানাঃ পূর্ব দরগা গেইট,আম্বরখানা,সিলেট।
মোবাইল নাম্বারঃ ০১৭৮২০০৫৬৬৫
মেইল নাম্বারঃ jenarulislam97@gmail.com
সংগঠন সংশ্লিষ্টতাঃ সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক, হাসুস বাংলাদেশ।

লেখক পরিচিতিঃ

জেনারুল ইসলাম
Jenarul Islam

অবক্ষয় ও অবরুদ্ধের এই সময়ে,বাংলা সাহিত্যের শুণ্য দশকে আলোচিত এক উদীয়মান তরুণ জেনারুল ইসলাম। যার কবিতা গল্পে স্থান পায় মানুষ,জীবন,দেশ সমাজ ও প্রকৃতির বন্দনা। ছড়ার মাধ্যমে সাহিত্যচর্চা শুরু হলেও বর্তমানে তিনি বিচরণ করছেন সাহিত্যের সবকটি সমৃদ্ধ শাখায়। লিখছেন গল্প,কবিতা,প্রবন্ধ ও ফিচার।

১২ই আগষ্ট, ১৯৯৭ খ্রীষ্টাব্দে জল-জোছনার শহর, কবিতার শহর, গানের শহর, হাওরকন্যা সুনামগঞ্জের হাওর অধ্যুষিত মধ্যনগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বংশীকুন্ডা ইউনিয়নের রৌহা উত্তরপাড়ায় জন্মগ্রহন করেন। পিতা মোঃ আবুল কাশেম ও মাতা রেহেনা খাতুন। দুরন্ত শৈশব,কৈশোর কেটেছে হাওরের কাঁদা-মাটি- জলে।

নিজ গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করে নেত্রকোণা জেলাধীন বিশরপাশা হরিশ্চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, গোবিন্দগঞ্জ আব্দুল হক স্মৃতি কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাশ করেন। বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিবিএ (হিসাববিজ্ঞান) অনার্সের শিক্ষার্থী।

লেখালেখির পাশাপাশি তিনি যুক্ত রয়েছেন বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে। দেশ,সমাজ ও রাষ্ট্র নিয়ে ভাবনার প্রতিফলন করেন সামাজিক কর্মকাণ্ডে। বর্তমানে তাঁর সংগঠন সংশ্লিষ্টতা হলো –

সদস্য- মধ্যনগর প্রেসক্লাব
নির্বাহী সম্পাদক- আলোকিত বংশীকুন্ডা
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক- হাওরপিডিয়া
সাধারণ সম্পাদক- বংশীকুন্ডা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ
সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক- হাওরসাহিত্য উন্নয়ন সংস্থা-হাসুস বাংলাদেশ। আজীবন সদস্য- কেন্দ্রীয় হাওরসাহিত্য গণপাঠাগার। এছাড়াও চন্দ্রডিঙ্গা সাহিত্য পরিষদসহ বেশ কয়েকটি সাহিত্য সংগঠনের সাথে যুক্ত রয়েছেন।

লেখালেখির প্রকাশের মাধ্যমটা শুরুতে ফেইসবুক ভিত্তিক হলেও বর্তমানে তা দেশের জাতীয় দৈনিক পর্যন্ত ছড়িয়েছে। কলেজ ম্যাগাজিনে প্রথম গল্প প্রকাশের মধ্য দিয়ে তাঁর লেখা প্রকাশের পথ প্রসারিত হয়। ২০১৯ সালের বইমেলায় তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ “একমুঠো রোদ্দুর” প্রকাশের পর ব্যাপক সাড়া ফেলে যা তাঁকে সাহিত্যজগতে বিচরণ করার ব্যাপক অনুপ্রেরণা দেয়। তার ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালের বইমেলায় প্রকাশ করেন “মন গহীনের গল্প” ( গল্পগ্রন্থ)।
এছাড়া বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা,লিটলম্যাগে, সাহিত্য সাময়িকীতে নিয়মিতই লিখছেন।

সাহিত্যচর্চা বা লেখালেখির স্বীকৃতিস্বরুপ মানুষের অনেক ভালোবাসা পেয়ে আসছেন সাহিত্য জীবনের শুরু থেকেই।
পেয়েছেন অনেক পুরষ্কার ও সম্মানা।
তারমধ্যে অন্যতম-সম্মাননা স্মারক, কপোতাক্ষ সাহিত্য সম্মেলন, জাতীয় বইমেলা-২০১৯ ।
প্রিয়জন কবি সম্মাননা-২০২০ ।

এছাড়াও কালের খেয়ায় গাঙচিল পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ লেখক সম্মাননা এবং মৌলভীবাজারে বিশিষ্ট ২৩ জন গুণীজন সংবর্ধনায় গল্প শাখায় সম্মাননা – ২০২০ অর্জন করেন তিনি।

মানুষ সুখ,দুঃখ-দুর্দশা,আবেগ-অনুভূতি, রাষ্ট্র ও দেশভাবনার কথা তাঁর কলমে ফুটিয়ে তুলেবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা। গহীনের চিত্র আঁকবেন মানবিক ক্যানভাসে এটাই কামনা। তরুণ লেখক জেনারুল ইসলামের উত্তোরোত্তর সফলতা ও মঙ্গল কামনা করি।

তথ্যসূত্রঃ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে ধর্মপাশা অনলাইন গ্রুপ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে