কালী কে?।।কালী দেবীর জন্ম পরিচয়।।

0
57

যখন স্বর্গে অসুরেরা তান্ডব চালাচ্ছে দেবতাদের স্বর্গ রাজ্য দখলের উদ্দেশে। ঠিক তখনই দেবতারা মিলে সৃষ্টি করেন দেবী দুর্গার। আর সেই অসুরদের প্রধান ছিল রক্তবীজ। সে ছিল ব্রহ্মার বর প্রাপ্ত। ব্রহ্মার বর অনুসারে তাঁর এক ফোঁটা রক্ত ভূতলে পতিত হলেই তা থেকে জন্ম নিচ্ছিল একাধিক অসুর। সেই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতেই মা দুর্গা ভ্রু যুগলের মাঝ খান থেকে জন্ম দেন কালীর। সেই কালীর ভয়াবহ রুদ্রমূর্তী আর তাঁর হাতেই একের পর এক অসুর বধ হতে থাকে। অসুরের শরীর থেকে এক ফোঁটা রক্ত ক্ষরণ হলেও তা জিভ বের গ্রাস করতে থাকেন কালী। এই ভাবেই একের পর এক অসুরকে প্রথমে বধ করেন কালী। তার পরে রক্তবীজকে মেরে তাঁর শরীরের সমস্ত রক্ত পান করে নেন কালী। তিনি এমনটা করে ছিলেন যাতে এক ফোঁটা রক্তও নীচে পড়তে না পারে। অসুরের সব রক্ত শুষে নিয়ে তার রক্ত শূন্য দেহ ছুঁড়ে ফেলে দেন তিনি। আর এই ভাবেই তিনি ধ্বংস করেন অসুরদের।কালীর একটি নয় দুটি রূপ আছে। কোথাও কালীর ডান পা আবার কোথাও কালীর বাঁ পা এগিয়ে থাকতে দেখা যায়। বিগ্রহে কালীর ডান পা এগিয়ে থাকলে তিনি তখন দক্ষিণা কালী। আর যখন তাঁর বাঁ পা এগিয়ে থাকে তখন তিনি বামা কালী। আর এই দুই রূপেই পুজিত হন মা কালী।

সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা যে রূপে কালীকে পুজো করে সেখানে কালীর পায়ের নীচে শায়িত থাকেন শিব। আসলে অসুরদের হারিয়ে প্রবল বিজয় নৃত্য শুরু করেছিলেন কালী। অসুরদের ধরহীন মুন্ড দিয়ে তিনি বানিয়ে ছিলেন কোমড়বন্ধ ও গলার মালা। কালীর সেই নৃত্য স্বর্গে ত্রাহি-ত্রাহি রব ছাড়ে। কালীর নাচে তখন সব কিছু প্রায় ধ্বংস হতে শুরু হয়েছে। এমন অবস্থায় কালীর সেই নৃত্য মহাদেব বন্ধ করতে কালীর সামনে গিয়ে শুয়ে পরেন। তার পরে নিজের পায়ের নীচে স্বামীকে শুয়ে থাকতে দেখে জিভ কাটেন তিনি। পৌরাণিক কাহিনি অবলম্বনে সেই সময় কালীর সেই রূপ পূজিত হয়ে আসছে আজও।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে