এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য নির্দেশিকা।। এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য নির্দেশনা।।Instructions for SSC Examinee

0
713

এসএসসি/এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা নির্বিঘ্নে দেবার জন্য বা পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য কিছু নির্দেশনা

পরীক্ষার পূর্ব প্রস্তুতি

১। পরীক্ষার্থীদের প্রাথমিক কাজ হবে পরীক্ষার দু- তিনদিন পূর্বেই মা- বাবা,শিক্ষক,গুরুজনদের থেকে সালাম,আদাব,প্রণামের মাধ্যমে,ছোটদের থেকে আদর মমতা দিয়ে আশীর্বাদ প্রার্থনার মধ্যে নিজেকে পরীক্ষার জন্য নিয়ত ঠিক করে নেয়া।

২। পরীক্ষার জন্য পোশাক পরিচ্চদ,ঘড়ি,শিক্ষা উপকরণ দু-তিনদিন আগেই প্রস্তুত করে নেয়া, আর এগুলো প্রস্তুত করতে যেয়ে পছন্দ- অপছন্দ দ্বন্ধ পরিহার করা।

৩। গ্রামে-গঞ্জে যাদের পরীক্ষার কেন্দ্র বাড়ি থেকে অনেক দূরে তারা আগের দিন লজিং বা জায়গীর বাসা ঠিক করে ঐখানে চলে যেতে হবে।সেই সাথে পরীক্ষার আগের দিন কেন্দ্রের অবস্থান,রাস্তা,যানবাহন ইত্যাদি সম্পর্কে সম্যক ধারণা নিতে হবে।

৪।পরীক্ষার আগের দিন পড়ার টেবিলের সামনে পরীক্ষায় কি কি নিতে হবে যেমন – ক্যালকুলেটর,জ্যামিতি বক্স,এডমিট কার্ড,কলম,স্কেল ইত্যাদি প্রয়োজনীয় জিনিসের একটি চেকলিস্ট সাঁটিয়ে দিতে হবে।সেই সাথে পরীক্ষার রুটিনটি অবশ্য অবশ্যই চোখের সামনে কোথাও টানিয়ে দিতে হবে।

৫। পরীক্ষা দিচ্ছি,কি যে হয়,কি যে হয় এমন সব অলক্ষুণে ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।মনে রাখতে নিজেকে স্থির ধরে রাখলে অনেক দূরহ কাজ ও সহজ হয়ে যায়।কখনো মনোবল হারানো যাবেনা।ধরে নিতে হবে পরীক্ষায় ভালো ফলাফলই হবে।

পরীক্ষার দিন সকালে করণীয়

৬। পড়া ঘুচিয়ে যথা সময়ে গোসল/স্নান সেরে নিতে হবে।খাবারের ক্ষেত্রে হালকা খাবার খেলে একটু সুবিধা হতে পারে।যথা সম্ভব উত্তেজক খাবারগুলো পরিহার করতে পারলে আরো ভালো হয়।

৭।খাবার- দাবারের পর কক্ষ ত্যাগের আগে অবশ্যই উপরে ৪ নং নির্দেশনা মতে যা যা দরকার সব কিছু সাথে নিয়ে যেতে হবে।

৮। রাস্তায় কারো সাথে,গাড়ি বা নৌকা চালকের সাথে কিংবা কোন পথচারীর সাথে ন্যায়- অন্যায় যাই হোক কোন প্রকার দ্বন্ধে লিপ্ত হওয়া যাবেনা।কারণ এতে এর প্রভাব পরীক্ষায় পড়তে পারে।তাছাড়া টেনশনে অনেক প্রশ্নের উত্তর ভুলে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে।

পরীক্ষাকালীন সময়

৯। যে শিক্ষক হল পরিদর্শক (হলের কর্তব্যরত শিক্ষক) হয়ে হলে আসবেন অবশ্যই তাকে দাঁড়িয়ে সম্মান জানাতে হবে।মনে রাখতে হবে পরীক্ষাকালীন সময়ে হলের যেকোন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তিনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।অতএব উনার সাথে ভুলেও কোন অসদাচরণ করা যাবেনা।

১০। পেপার হাতে পাবার পর আগে নিজের নাম রোল,রেজিস্ট্রেশন নম্বর, প্রশ্ন পত্র কোড সুন্দর ভাবে ফিলাপ করতে হবে এবং এর বিপরীতে ও এম আর (OMR) শীটে বৃত্তগুলো ও যথাযথভাবে কালো বলপয়েন্ট কলম দ্বারা পূর্ণ করতে হবে।এক্ষেত্রে কোনভাবেই উড পেন্সিল বা জেল পেন দ্বারা বৃত্ত ভরাট করা যাবেনা।

১১। কোন কারণে কোন বৃত্ত ভরাট করতে ভুল হলে সাথে সাথে হল পরিদর্শক স্যারকে জানাতে হবে।হল পরিদর্শক বিষয়টি লিখে নিয়েছেন কিনা খেয়াল রাখতে হবে।হল পরিদর্শক স্যার ভুলটি তিনার নোটে লিখে না নিলে পেপারটি বাতিল হবার সম্ভাবনা থেকে যাবে।

১২। এমসিকিউ পরীক্ষার ক্ষেত্রে প্রশ্ন হাতে পাওয়ার পর সবার আগে সেট কোড বৃত্তটি ফিলাপ করতে হবে।নতুবা যতই সঠিক দাগাও,রেজাল্ট বাতিল হয়ে যাবে।

১৩। হলে হাজিরা খাতা অনেক সময় হল পরিদর্শক স্যাররা তোমাদেরকে স্বাক্ষর করার দায়িত্ব দিতে পারে,বলতে পারেন তুমি স্বাক্ষর করো,তার পর তোমার পাশের বন্ধুকে দিয়ে দাও।সেক্ষত্রে তুমি পরীক্ষার তারিখ এবং বিষয় দেখে, তোমার নাম,পিতা/মাতার নাম দেখে শিউর হয়ে সাবজেক্টিভ,অবজেক্টিভ(এমসিকিউ) দুই জায়গায় স্বাক্ষর করবে।মনে রাখতে হবে এক্ষেত্রে কোনক্রমেই অন্যের নামের ঘরে তুমি স্বাক্ষর করতে পরবেনা।এমনটি করলে সাথে সাথে সাথে হল পরিদর্শক স্যারকে বলে সংশোধন করতে হবে।অন্যতায় পরীক্ষায় অনুপস্থিতি দেখিয়ে রেজাল্ট ফেল চলে আসতে পারে।

১৪। হাজিরা খাতায় মূল উত্তর পত্রের কাভার পৃষ্ঠার নাম্বার তুলতে হয়।এক্ষেত্রে মূল উত্তর পত্রে একবারে উপরে ডান কোনের লম্বা নাম্বারটা ধীরে ধীরে সুন্দর ও সঠিক ভাবে হাজিরা খাতায় তুলে দেবে।এ ক্ষেত্রে অনেকে ভুলে নিজের রেজিস্ট্রেশন নাম্বার তুলে ফেলে,এ ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।এমনটি কেউ করলে রেজাল্টে বিপত্তি হতে পারে।

১৫। একদিকে হাজিরা খাতায় তোমার তোলা হয়েছে কিনা অপরদিকে হল পরিদর্শক স্যার তোমার খাতায় স্বাক্ষর করেছেন কিনা এই দুটি বিষয় খুবই সতর্কভাবে খেয়াল রাখতে হবে।নতুবা যেকোন দিন ভুল হলে বিরাট বড় ক্ষতির মুখোমুখি হওয়া লাগতে পারে।

১৬। প্রায় দিন এমসিকিউ পরীক্ষা থাকবেনা।যেমন ইংরেজি পরীক্ষা। সেদিন হাজিরা শীটে শুধুমাত্র বিষয় ভিত্তিকের কোটায় স্বাক্ষর করলেই হবে,এমসিকিউ এর ঘরে স্বাক্ষর দেয়া যাবেনা।

১৭। পরীক্ষার হলে কথা না বলা একবারে উত্তম।তার পরো কিছু কথা যদি হয় ও হলে অপরিচিত মানুষ দেখলে একবারে সাইলেন্ট হয়ে যেতে হবে কারণ অপরিচিতদের মাঝে ম্যাজিস্ট্রেট ও হতে পারে।তখন কথা বললে বহিস্কার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

১৮। আগেও বলা হয়েছে হল পরিদর্শককে সব সময় সম্মানের সহিত ভাবতে হবে।অতিরিক্ত শব্দ করে কথা বললে অনেক সময় হলিপরিদর্শক স্যার বিরক্ত হয়ে পেপার টেবিলে নিয়ে নেন।এই ক্ষমতা তো স্যারের আছেনই,অধিকন্তু স্যার চাইলে ম্যাজিস্ট্রেট ডেকে এনে এক্সপেল্ট পর্যন্ত করাতে পারেন।তাই কোনক্রমেই হল পরিদর্শক স্যারের বিরাগভাজন হওয়া যাবেনা, বিষয়টি সর্বক্ষণ মাথায় রাখতে হবে।

১৯। হলে কোন ক্রমেই নকল জাতীয় কোন কিছু যেমন,বই,বইয়ের পাতা,লেখা পাতা,স্মার্টফোন, স্মার্টরক্যালকুলেটর আনা যাবেনা।তবে সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর সাথে রাখা যাবে। সাধারনত Casio fx100 MS Clculator হলে আর কোন অভিযোগ থাকেনা।তাই এমন ক্যালকুলেটর রাখাই বাঞ্চনীয়।

২০। পরীক্ষার হলে সাইট টকিং করে হলের পরিবেশ নষ্ট করা যাবেনা।এতে শিক্ষকরা বিরক্ত হতে পারে।কেন্দ্র পরিদর্শক (ম্যাজিস্ট্রেট) হলে আসলে আরো বেশি সতর্ক থাকতে হবে নতুবা কোন অসদাচরণ বা অসদোপায়ের জন্য যে কেউ বহিস্কার( Expelt) হতে পারে।

২১। প্রশ্ন পত্র পাওয়ার পর তাড়াহুড়া না করে প্রশ্নটি আগে ভালো করে পড়তে হবে,বুঝতে হবে এবং একটি সুন্দর পরিকল্পনা করতে হবে।কথায় আছে Planing is the half complete of battle, সর্বাগ্রে ভালো পরিকল্পনাকে গুরুত্ব দিতে হবে।

২২। যে প্রশ্নগুলো সহজ মনে হবে,অর্থাৎ ভালো জানা মনে হবে আগে সেগুলোর উত্তর দিতে হবে।না হলে কোন প্রশ্ন প্ল্যান ছাড়া শুরু করলে লেখার মাঝে হঠাৎ অনেক জিনিস আনমনা হয়ে যেতে পারে।আর একবার লেখা থেমে গেলে পুরো পরীক্ষাটি ডিস-ফেভারে চলে যেতে পারে।

২৩। পরীক্ষায় ভালো নাম্বার পেতে হলে প্রশ্ন বাঁচাই করতে হবে।যেসব প্রশ্নে গাণিতিক হিসেব জড়িত থাকবে সেগুলো উত্তর দিলে ভালো নাম্বার পাবার সম্ভাবনা রয়েছে।

২৪। ভুলে অনেক ছাত্র দুই পৃষ্ঠা না লিখে অন্য পাতায় চলে গেলে হতাশ না হয়ে যখন নজরে আসবে তখন বামদিকের উপর কোণ থেকে ডানদিকের নিচ কোণে একটি লম্বা টান দিয়ে কেটে দিলেই সমাধান হয়ে যাবে।

২৫। লেখার মাঝে কোন লাইনে কোন শব্দ বাদ পড়লে বা কোন কিছু কাটা হলে কাটা শব্দটির উপরে অথবা ফাঁকা জায়গাটিতে টুপি চিহ্ন দিয়ে এর ঠিক উপরে সঠিক শব্দটি লিখে দিতে হবে।মনে রাখতে হবে সঠিক শব্দটি কোনক্রমেই নিচে লেখা যাবেনা।

২৬। প্রতিটি প্রশ্নের যথাযথ উত্তর অর্থাৎ না বেশি লম্বা,না একবারে খাটো এবং সঠিক তথ্যবহুল লেখা লিখতে হবে।তবে হাতের লেখা অবশ্য অবশ্য সুন্দর করে লিখতে হবে।এতে অনায়াসে ভালো নাম্বার ক্যারি করা যাবে।

২৭। পরীক্ষার হলে অনেকেই পরীক্ষার খাতাকে আকর্ষণীয় করার জন্য বিভিন্ন কালার পেন ব্যবহার করে থাকেন যা মোটেও বাঞ্চনীয় নয়।তার পরো কেউ যদি একান্তই কালার পেন ব্যবহার করতে চান তাহলে নীল বা পেস্ট কালার কলম ব্যবহার করতে পারেন তবে তা জেল জাতীয় বা লিকুইড জাতীয় যেনো না হয়।আর তাও কেবল টপিক আন্ডার লাইনের ক্ষেত্রে মূল পয়েন্ট লিখার জন্য কালার পেন দরকার নেই।এতে পরীক্ষক বিরক্ত হতে পারে বা এক পৃষ্ঠার লিখা অন্য পৃষ্ঠায় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।খাতা মার্জিন করতে কখনই কালার পেন ব্যবহার করবেননা।অনেকেই খাতা মার্জিনে কালার পেন ব্যাহার করে যা ঠিক নয় মার্জিন কালো বল পয়েন্ট কলমই যথেষ্ট।মনে রাখবেন পরীক্ষক ভালো নাম্বার দেন আপনার কালার লিখা দেখে নয় বরং বস্তুনিষ্ঠ লিখা দেখলেই পরীক্ষকরা খুশি হন এবং ভালো মার্কিং করে থাকেন।

২৮। অনেকেই এমসিকিউ এর বৃত্ত ভরাট করেন জেল পেন দিয়ে যা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় এতে বৃত্তগুলো অন্য পেপারের ঘর্ষণে নিশ্চিত নষ্ট হয়ে যাবে।শুধু এমসিকিউ ই নয় বরং পরীক্ষার খাতায় কোন অংশেই জেল পেন ব্যবহার করবেননা এতে এক পৃষ্ঠার লিখা অন্য পৃষ্ঠায় প্রভাব ফেলতে পারে।উত্তর পত্র বা এমসিকিউতে সব সময় বল পয়েন্ট কলম ব্যবহার করতে হবে।

২৯। অনেকে পরীক্ষার হলে অ্যাপলিকেশন বা দরখাস্ত,জ্যামিতি কত পৃষ্ঠা ব্যবহার করবেন তা জিজ্ঞেস করে হলে ডিউটিরত শিক্ষকদের বিরক্ত করেন।তাদের জন্য নির্দেশনা হলো অ্যাপলিকেশন বা দরখাস্ত এক পৃষ্ঠায় লিখাই বাঞ্চনীয় তবে কেউ উত্তর পত্রের বাম পৃষ্ঠা থেকে লিখা শুরু করলে দুই পৃষ্ঠা লিখলেও সমস্যা হবেনা।আর জ্যামিতি অর্থাৎ সম্পাদ্য বা উপপাদ্য এক পৃষ্ঠায় লিখার কোন নির্দেশনাই নেই তবুও পরীক্ষককে খুশি করতে বাম পৃষ্ঠা থেকে লিখা শুরু করলে ভালো,এতে পরীক্ষক চিত্রের সাথে আপনার লিখা সহজে মিলিয়ে দেখতে পারেন।

৩০। অনেক শিক্ষার্থী লিখায় বেশি মনোযোগের কারণে খাতায় স্বাক্ষর হয়েছে কিনা,রেজিস্ট্রশন নাম্বার হলসুপার লিখে নিয়েছেন কিনা কিংবা নিজে স্বাক্ষর খাতায় শিক্ষার্থী নিজে স্বাক্ষর করেছে কিনা এসব বিষয়ে খেয়াল রাখেনা।এগুলো ঠিক নয়।এ ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।

৩১। পরীক্ষা শেষে খাতার উপরের পৃষ্ঠা হল পরিদর্শক স্যার ছিড়ে না নেয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।স্যার ছিড়তে দেড়ি হলেও কোনক্রমেই নিজে ছিড়া যাবেনা।কারণ অসতর্ক টানের কারণে যদি কাভার পৃষ্টার উপরিভাগ ছিড়ে যায় তাহলে স্টুডেন্টের রেজাল্টে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

৩২। পারলে উত্তরপত্রটি রিভিশিন দিতে হবে,অনাকাঙ্খিত ভুল হলে ঠিক করতে হবে।অনেকে উত্তর লিখে ফেলেন অথচ প্রশ্নের নাম্বার লিখেননা বা অনেকে অনেকে শব্দ মনে মনে উচ্চারণ করে ফেলেন কিন্তু খাতায় লিখেনা, রিভিশনের সময় এসব বিষয়ে সহজে ধরা পরে তাই রিভিশনটে দু এক মিনিটকে কখনই সময় অপচয় ধরবেননা বরং রিভিশন একটি অত্যাবশ্যকীয় বিষয় মনে করে তা সম্পন্ন করবেন।

৩৩। পরীক্ষায় এক্সট্রা পেপার নিয়ে থাকলে সেগুলোতে ক্রমিক নং বসাতে হবে যাতে সেলাইয়ের বেলায় সিরিয়াল করতে ভুল না হয়।সেই সাথে কাভার পৃষ্ঠার নাম্বারটা মূল উত্তরপত্রের প্রথমে নির্দিষ্ট স্থানে তুলতে হবে এবং সাথের বৃত্তটি পূরণ করতে হবে।তাছাড়া কাভার পৃষ্টার নাম্বারটি মূল উত্তর পত্রের পেছনে আবার তুলতে হবে,সেই সাথে হল পরিদর্শক স্যারের স্বাক্ষর নিতে হবে।অন্যতায় নতুন উত্তর পত্রটি বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাবে।

৩৪। অনেকে গ্রাফ পেপার স্টেপলার করার সময় দুই পাতা একত্রে স্টেপলার করে ফেলে অথবা লেখা ঢেকে স্টেপলার করে ফেলে এতে এক্সামিনার খুবই বিরক্ত হোন,এতে অনেক শিক্ষক বিরক্ত হয়ে কম নাম্বার দেন তাই এসব বিষয়ে কড়া সতর্ক থাকতে হবেই।

৩৫। সব শেষে পেপারটি স্টেপলার বা সেলাই করতে হবে এবং পুনরায় সেলাইটা খেয়াল করতে হবে, কোন পাতা যেনো কোনভাবে ছুটে না যেতে পারে সে দিকটা গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে।তারপর পেপারটি হলসুপারের কাছে জমা দিয়ে হল ত্যাগ করতে হবে।

পরীক্ষা শেষে যা করণীয়

৩৬। অনেকেই পরীক্ষা শেষে উদাসী- বাউল হয়ে যায়।বেশ কামাই করে ফেলেছে এমন একটা ভাব নেয় বা নেবার চেষ্টা করে।এমনটি করা যাবেনা।কারণ এতে অনেক সময় নিজের প্রয়োজনীয় জিনিস যেমন – ফাইল,এডমিট,কলম,ক্যালকুলেটর,জ্যামিতি বক্স বা ছাতা পরীক্ষা কেন্দ্রে রেখে যাবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।এতে করে অনেকের ভীষণ ক্ষতি হতে পারে। তাই এই ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

৩৭। কেন্দ্র ত্যাগ করে বাসায়/বাড়িতে পৌছার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।কোনক্রেমেই কারো সাথে অযথা কুতর্কে লিপ্ত হওয়া যাবেনা।

৩৮। নিজের প্রতিটি জিনিস (পরীক্ষার জন্য দরকারি) খুব খেয়াল করে সাথে নিয়ে বাসায় নির্বিঘ্নে ফিরতে হবে।আর এর জন্য একটি চেকলিস্ট অথাৎ যা যা পরীক্ষার দরকার তা চোখের সামনে লিখে রাখতে হবে।বাসা থেকে বের হওয়ার সময় তা চেক করে বের হলে ভালো হবে।

৩৯। কোন কারণে একটি পরীক্ষা খারাপ হলে এই চিন্তায় সামনের অন্য পরীক্ষা করা যাবেনা।মনে রাখতে হবে Past is Past, তাই পেছনের পরীক্ষার কোন টেনশনই মাথায় আনা যাবেনা।এসব মাথা থেকে একেবারেই ঝেড়ে ফেলতে হবে।

লেখক

জীবন কৃষ্ণ সরকার
কবি ও প্রাবন্ধিক

বিঃ দ্রঃ লেখাটি কপি না করে শেয়ার করার অনুরোধ রাখছি।তবে বিশেষ ক্ষেত্রে লেখকের নাম সহ কপি করে পোষ্ট করা যাবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে