শ্রমিকের জয়োগান
গাহি তাঁদেরি জয়োগান-
যাদের অক্লান্ত শ্রমে, ঘামে তৈরি হয় সোনার ফসল,তৈরি হয় বাবু সাবদের মুখে অন্ন।যাদের নিরন্ন শ্রমে তৈরি হয় গম্বুজ,অট্টালিকা,টাওয়ার, তাঁদের আমরা কতটুকুই বা মূল্যায়ন করতে পারি?যাদের রাত বিরাত খাঁটুনির ফলে তৈরি হয় আমাদের পরিধানের বস্ত্র, যা ব্যবহারে আমরা হই অভিজাত,করি বংশের গৌরব,বাড়ে স্ট্যাটাস, তাঁদেরকে এই নিষ্ঠুর সমাজ কতটুকুই বা মূল্যায়ন করতে পারে?
গাহি তাঁহাদের জয়োগান-
যাদের অপরিমেয় চেষ্টার দরুন আমাদের সন্তান,সন্ততিগণ হয়ে উঠে পূর্ণ জ্ঞানের অধিকারী, হয়ে ওঠে সমাজ নির্ধারণকারী, চালিয়ে যায় গবেষণা,আবিষ্কার করে নতুন নতুন উদ্ভাবন।যাদের বিনিদ্র চেষ্টায় তৈরি হয় দূরারোগ্য ব্যধির ভেক্সিন,জীবন ঝুঁকি নিয়ে মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে করে যায় সংগ্রাম,বাঁচিয়ে রাখে একটি মানব প্রজন্ম তথা মানব স্বত্বাকে,এই সংগ্রামে কেউ কেউ চলে যায় ওপারে,উৎর্গ করে জীবন মানবের তরে এই সমাজ কি তাঁদের ন্যায্য পারিশ্রমিক কিংবা পরিশ্রমের সম্মানটুকু দেয়?সময় এসেছে জাগবার,জাগাবার,তাইতো বলতে ইচ্ছে হয়-
“ শ্রমিক তুমি হয়োনাকো হতাশ হও আগুয়ান
তোমার শ্রমেই পাবে সম্মান হবেনাকো ম্লান,
সেদিনটি আর নয়কো দূরে গাইবে সবাই বিশ্বজুড়ে
শ্রমিকের জয়োগান।”
০১/০৫/১৭
লক্ষীপুর,বিশ্বম্ভরপুর।