মৌলভীবাজার জেলা।।District of Moulovibazar

0
283

মৌলভীবাজার জেলা (সিলেটী: ꠝꠃꠟꠜꠤꠛꠣꠎꠣꠞ) বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। বিশেষ বিবেচনায় মৌলভীবাজার বাংলাদেশের একটি “এ” শ্রেণীভুক্ত জেলা।মৌলভীবাজার পৌরসভাকে বাংলাদেশের অন্যতম সুন্দর পৌরসভা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। প্রশাসনের উদ্যোগে এই পৌরসভার ব্যাপক কর্মকাণ্ড চলছে। বর্তমান পৌরসভাকে আরো আধুনিক ও মানসম্পন্ন নাগরিক সুবিধা দিতে কর্তৃপক্ষ ব্যাপক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।

ভৌগলিক সীমানা
উত্তরে সিলেট জেলার বালাগঞ্জ উপজেলা, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা, গোলাপগঞ্জ উপজেলা ও বিয়ানীবাজার উপজেলা; দক্ষিণে ত্রিপুরা রাজ্য (ভারত); পূর্বে কাছাড় (ভারত)এবং পশ্চিমে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলা ও বাহুবল উপজেলা। জেলার প্রধান নদ-নদী ৬ (ছয়)টি- মনু, বরাক, ধলাই, সোনাই, জুড়ী ও কুশিয়ারা।

প্রশাসনিক এলাকা
মৌলভীবাজার জেলা ৭টি উপজেলা, ৭টি থানা, ৫টি পৌরসভা, ৬৭টি ইউনিয়ন, ৮৯৯টি মৌজা, ২০১৫টি গ্রাম ও ৪টি সংসদীয় আসন নিয়ে গঠিত।

ইতিহাস
শাহ মোস্তফা-এর বংশধর মৌলভী সৈয়দ কুদরতউল্লাহ অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি মনু নদীর উত্তর তীরে কয়েকটি দোকানঘর স্থাপন করে ভোজ্যসামগ্রী ক্রয় বিক্রয়ের সুযোগ সৃষ্টি করেন। মৌলভী সৈয়দ কুদরতউল্লাহ প্রতিষ্ঠিত এ বাজারে নৌ ও স্থলপথে প্রতিদিন লোকসমাগম বৃদ্ধি পেতে থাকে। ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগমের মাধ্যমে মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে মৌলভীবাজারের খ্যাতি।

কীর্তিমান ব্যক্তিত্ব : হয়রত শাহ মোস্তফা (র:), মৌলভী সৈয়দ কুদরতউল্লাহ, মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী হামিদুর রহমান,কবি মুজাফফর খান, সৈয়দ মুজতবা আলী, প্রাক্তন প্রাদেশিক ও জাতীয় পরিষদ সদস্য, খ্যাতিমান রাজনীতিবিদ ও দানশীল ব্যক্তিত্ব মো. কেরামত আলী,পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সর্বকনিষ্ঠ সদস্যমোহাম্মদ মুহিবুর রহমান, জাতীয় পরিষদ সিলেটের প্রথম মহিলা সদস্য বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী, সাবেক স্পীকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী, অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, গবেষক ড. রঙ্গলাল সেন প্রমুখ।

মুক্তিযুদ্ধ : মুক্তিযুদ্ধে মৌলভীবাজার ছিল ৪ নং সেক্টরের অধীন। সেক্টর কমান্ডার ছিলেন সি.আর.দত্ত। রাজনগর পাঁচগাঁও এর গণহত্যা, বড়লেখা ও কুলাউড়ার বধ্যভূমিতে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ আজও মানুষকে কাঁদায়। ৮ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার শত্রুমুক্ত হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে