মহানবীর কিছু অমর বাণী।।হৃদয় ছোঁয়েছে যে বাণীগুলো
জীবন চলার পথে মহামনিষীদের বাণী ব্যাপক প্রভাব ফেলে।তো চলুন বন্ধুরা আজ আমাদের মহানবী হযরত মুহম্মদ(সঃ) এর কিছু হৃদয় ছোঁয়া বাণী পড়ে নিই।আশা করি জীবন চলার পথে অনেকেরই কাজে লাগতে পারে।
১। যে জ্ঞানের সন্ধানে বের হয় সে ‘আল্লাহর’ পথে বের হয়।
২। ধৈর্য জান্নাতের ভান্ডারসমূহের একটি ভান্ডার। [বায়হাকি]
৩। তোমরা হিংসা-বিদ্বেষ থেকে নিবৃত্ত থাকবে। কেননা, হিংসা মানুষের নেক আমল বা পুণ্যগুলো এমনভাবে খেয়ে ফেলে, যেভাবে আগুন লাকড়িকে জ্বালিয়ে নিঃশেষ করে দেয়।”
—–আবু দাউদ
৪। একটি যুগ আসবে যখন মানুষ উপার্জন করতে একথা চিন্তা করবে না যে,আমি হালাল পন্থায় উপার্জন করছি,নাকি হারাম পন্থায়! [সহীহ বুখারী,হাদিস নং ১৯৪১]
৫। যে অংগীকার রক্ষা করেনা, তার ধর্ম নেই। (মিশকাত)
৬। জ্ঞানীরা নবীদের উত্তরাধিকারী( তিরমিযী)
৭। যুলম করা থেকে বিরত থাকো । কেননা , কিয়ামতের দিন যুলম অন্ধকারের রূপ নেবে। [ সহীহ মুসলিম ]
৮। কাজ নির্ভর করে নিয়্যতের উপর।[ সহীহ বুখারী ]
৯। কোনো নিন্দুক জান্নাতে প্রবেশ করবেনা। (বুখারী)
১০। যে মানুষের প্রতি দয়া করেনা, আল্লাহ তার প্রতি দয়া করেননা। (সহীহ বুখারী)
১১। যার কর্ম তাকে ডুবায়, তার বংশ তাকে উঠাতে পারেনা। (সহীহ মুসলিম)
১২। নেতা হবে মানুষের সেবক। (দায়লমী)
১৩। সুধারণা করা একটি ইবাদত। (আহমদ)
১৪। দান সম্পদ কমায়না। (তিবরানী)
১৫। সত্য দেয় মনের শান্তি আর মিথ্যা দেয় সংশয়। (তিরমিযী)
১৬। যে কাউকেও প্রতারণা করলো সে আমার লোক নয়। (সহীহ মুসলিম)
১৭। মনের প্রাচুর্যই আসল প্রাচুর্য। (সহীহ বুখারী)
১৮। তোমাদের মাঝে উত্তম লোক সে, যে তার পরিবার পরিজনের কাছে উত্তম। (ইবনে মাজাহ)
১৯। অধীনস্থদের সাথে নিকৃষ্ট আচরণকরী জান্নাতে প্রবেশ করবেনা। (আহমদ]
২০। প্রতিটি ভালো কাজ একটি দান। (সহীহ বুখারী)
২১। প্রতিটি শোনা কথা বলে বেড়ানোটাই মিথ্যাবাদী হবার জন্যে যথেষ্ট। (সহীহ মুসলিম)
২২। সত্য কথা বলো, যদিও তা তিক্ত। (ইবনে হিব্বান)
২৩। যে ব্যক্তি লোক দেখানোর জন্যে সালাত পড়লো, সে শিরক করলো। (আহমদ)
২৪। যে পরিশুদ্ধ হয়না, তার সালাত হয়না। (মিশকাত)
২৫। যার মধ্যে আমানত নেই তার ঈমান নেই। (মিশকাত)
২৬। অনাড়ম্বর জীবন যাপন ঈমানের অংশ। (আবু দাউদ)
২৭। সাবধান! তোমরা হিংসা করা থেকে আত্মরক্ষা করো। (আবু দাউদ)
২৮। তোমরা একে অপরের প্রতি হিংসা করোনা, ঘৃণা বিদ্বেষ কারো না এবং পরস্পর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়োনা। (সহীহ মুসলিম) শিশু
২৯। তোমাদের মাঝে উত্তম লোক সে, যে তার পরিবার পরিজনের কাছে উত্তম। (ইবনে মাজাহ)
৩০। রোগীর সেবা করো এবং ক্ষুধার্তকে খেতে দাও। (সহীহ বুখারী)
৩১। আল্লাহ সকল কিছুর প্রতি দয়া ও সহানুভূতি দেখাবার নির্দেশ দিয়েছেন। (সহীহ মুসলিম)
৩২। তুমি মুমিন হবে তখন, যখন তোমার ভালো কাজ তোমাকে আনন্দ দেবে, আর মন্দ কাজ দেবে মনোকষ্ট। (আহমদ)
৩৩। “হৃদয়রে প্রাচুর্যই প্রকৃত প্রাচুর্য।” (বোাখারী)
৩৪। “তোমাদের মধ্যে আমার নিকট সেই ব্যক্তি বেশী প্রিয় যে বেশী চরিত্রবান।” ( বোখারী)
৩৫। “কোন মানুষের মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এটাই যথেষ্ট যে, সে যাই শোনে তাই যাচাই না করেই অন্যের কাছে বর্ণনা করে দেয়।” (মুসলিম)
৩৬। ক্ষুধার্তকে খাদ্য দাও, রোগীকে দেখতে যাও এবং ক্রীতদাসকে মুক্ত কর। (বোখারী)
৩৭। “যার অনিষ্ট হতে তার প্রতিবেশীগণ নিরাপদ নয়, সে বেহেশতে প্রবেশ করতে পারবে না।” (বোখারী)
৩৮। “যে ব্যক্তি নম্র আচরণ হতে বনঞ্চিত সে সকল প্রকার কল্যাণ হতে বঞ্চিত।” (মুসলিম)
৩৯।প্রকৃত বীর নয় যে কাউকে কুস্তিতে হারিয়ে দেয়; বরং সে-ই প্রকৃত বীর যে ক্রোধের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়। ‘ (বুখারি: ৫৬৮৪)
সংগ্রহেঃ
জীবন কৃষ্ণ সরকার
কবি ও প্রাবন্ধিক
বিংদ্রঃ লেখাগুলোতে কোন ত্রুটি থাকলে আমাকে ইনবক্স করতে পারেন।।তথ্যসূত্রো সঠিক ভাবেই দেয়া হয়েছে তবুও অনিচ্ছাকৃত কোন ভুল হলে কেউ নোটিফিশন দিলে অবশ্য অবশ্যই সংশোধন করে নেয়া হবে। আর ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেননা আশা করি।শুভকামনা সবার জন্য।