ফাহমিদা ইয়াসমিন।Fahmida Yeasmin

0
301

বহুমাত্রিক লেখক ফাহমিদা ইয়াসমিন
এনাম রাজু

বহুমাত্রিক লেখক ফাহমিদা ইয়াসমিন। তিনি সাহিত্যের সকল শাখায় খুব দক্ষ হাতে স্পর্শ রেখে চলেছেন দিনের পর দিন। অষ্টম শ্রেণীতে পড়াকালীন সময়ে লেখালেখির হাতেখড়ি। সেই থেকে অবিরাম লিখে চলছেন কবিতা, গল্প, প্রবন্ধসহ সাহিত্যের সব শাখায়। সাহিত্যের সকল বিষয়ে বিচরণ থাকলেও তিনি নিজেকে কবি হিসেবে পরিচয় দিতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। দীর্ঘ পচিশ বছরের সাহিত্যে সাধনা তাকে দাঁড় করিয়েছে অন্য এক উচ্চতায়। শব্দের খেলা রপ্ত করা সহজ নয়। সেই খেলায় মেতে উঠে অনেকেই আবার অধিকাংশ মানুষই চায় শব্দের বুননের শ্রষ্টা পরিচিতি। তাই হয়তো জীবনানন্দ দাশ বলেছেন- “সকলে কবি নয়, কেউ কেউ কবি। ” এই সকলের কপাট ভেঙে কেউ কেউ শব্দের সংক্ষিপ্ত তালিকায় প্রবেশ করে। সেই সংক্ষিপ্ত তালিকায় বহুমাত্রিক লেখক ফাহমিদা ইয়াসমিনের আবির্ভাব। কবিতায় যে শব্দের খেলা, প্রকৃতির রহস্য উন্মোচন, প্রেমের মানবিক চিত্ত, দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা সবই কবিতায় তুলে এনেছেন সুনিপুণ কারুকাজে। তার কলমের তুলি কথা বলেছে, মানুষ ও মানবতার। তাই হয়তো সিলেট অঞ্চলে কবিতা প্রেমিরা ফাহমিদা ইয়াসমিনকে “প্রেম ও প্রকৃতির” কবি হিসেবে উপাধি দিয়েছে। কবি ফাহমিদা ইয়াসমিন ব্যক্তি হিসেবে কেমন সে হিসেব কষার সময় আমার হাতে অবশিষ্ট নেই। তিনি যে লেখক হিসেবে আমাকে মুগ্ধ পাঠক বানিয়ে তার লেখা পড়তে বাধ্য করেছে এইটুকু আবিষ্কার করার যথেষ্ট সময় আমার আছে। তার এক এক করে নয়টি কবিতার বই প্রকাশ হয়েছে। আমার শ্রদ্ধাভাজন কবি ফখরুল হাসান যখন কবি ফাহমিদা ইয়াসমিনের কয়েকটি বই হাতে দিয়ে পড়তে বলেছিলেন তখন বুঝতে পারিনি তার কারণ। কিন্তু তার কবিতা পাঠ করতে গিয়ে তাকে আবিষ্কার করি নতুন করে। এরপর তার শিশুতোষ গল্পের বই পড়ে মুগ্ধ হই। কবিতার চেয়ে তিনি যে গল্প খুব পরিচ্ছন্নভাবে লিখতে পারেন তা গল্পের প্লট নির্মাণ, বাক্য গঠন, শব্দের সঠিক প্রয়োগ, ছোট ছোট বাক্য, উপমার সঠিক ব্যবহার পাঠককে মুগ্ধ করবে। সাম্প্রতিক সময়ে ফাহমিদা ইয়াসমিনের লেখা নিবন্ধ পড়ে পাঠক সমাজে একটা আলোচনার স্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। একজন কবি যে একজন দক্ষ প্রাবন্ধিক হয় তা আগে শুনেছি। কিন্তু তার নিবন্ধ পড়ে তা বুঝেছিও। কবি ফাহমিদা ইয়াসমিন নারীদের নিয়ে অনেক প্রবন্ধ ও নিবন্ধ লিখছেন বিভিন্ন দেশের দৈনিক পত্রিকায়। সে সব প্রবন্ধ নারীদের উৎসাহ, উদ্দীপনা ও সচেতনতার যাবতীয় বিষয় তুলে আনেন। যা পড়ে পিছিয়ে পড়া নারীরা যেমন উপকৃত হচ্ছে তেমনি নারীদের মধ্যে যে কুসংস্কার ও ভ্রান্ত ধারণা বরফের মতো জমে আছে তা বিগলিত হয়ে সমাজে তাদের অবস্থান তৈরিতে মূখ্য ভূমিকা রাখছে। ফাহমিদা ইয়াসমিন শুধু লেখনি দিয়েই মানুষের মধ্যে একটা অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে ঠিকই তারপরে সমাজের উন্নয়নমূলক নানান কর্মযজ্ঞে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। বহুমাত্রিক এই লেখিকা যৌবনের শুরুতেই বিয়ের পিঁড়িতে বসে লণ্ডনে পাড়ি জমায়। সেই সুদূরে বসবাস করেও দেশের প্রতি ভালোবাসা কবিকে লিখতে উৎসাহ দিয়েছে। সেই উৎসাহ ও ভালোবাসা থেকেই নিজের কাজের ফাঁকেই লেখাপড়ার প্রতি একনিষ্ঠ মনোযোগ রেখে চলেছেন প্রায় অর্ধজীবন ধরে। প্রেম ও প্রকৃতির কবি ফাহমিদা ইয়াসমিন মৌলভীবাজার জেলার বড়কাপন গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে ৩১ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা আলহাজ্ব মোঃ-ইলাছ মিয়া মাতা– ফজিলাতুন্নেছা চৌধুরী। লন্ডন প্রবাসি কবি ফাহমিদা ইযাসমিন এঁর স্বামী প্রকৌশলী মো. ফয়জুল ইসলাম ও আদরের দুই সন্তান ফারহাত ,ফারহান। কবি ফাহমিদা ইয়াসমিন মৌলবীবাজার মহিলা কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। শত ব্যস্ততার মাঝে থেকেও সাহিত্যের সকল শাখায় গভীর মনোনিবেশ করে যাচ্ছেন সতত। দেশ বিদেশের দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক পত্রিকা, অনলাইন মিডিয়া ও বিভিন্ন সংকলনে অনবরত লিখে যাচ্ছেন কবিতা,গল্প, ছড়া। কবি ফাহমিদা ইয়াসমিন এর প্রকাশিত বইগুলো- ‘স্বপ্নচারী মন’;( কাব্যগ্রন্থ) ‘নীলিমার প্রেম'( কাব্যগ্রন্থ) ‘শংকা সময়ের নিষিদ্ধ ধ্বনি’ ( কাব্যগ্রন্থ) ডায়েরির শেষ পাতা’ (উপন্যাস); ‘ফুল ফুটে পাখি উড়ে’ ( শিশুতোষ ছড়ার বই) ‘বিদ্রোহী বিক্ষোভ’ ( কাব্যগ্রন্থ)। কথার সুতোয় সেলাই করি আগামীর স্বপ্ন(কাব্যগ্রন্থ) ফারহানের মুক্তিযুদ্ধ (শিশুতোষ) অস্তিত্বের বিষন্ন দেয়াল (কাব্যগ্রন্থ)। কবি ফাহমিদা ইয়াসমিন পারিবারিকভাবেই লেখালেখির সাথে জড়িয়ে।চৌধুরী_গোলাম_আকবর_সাহিত্যভূষণ এর ভাগ্নী শ্রদ্ধেয় কবি_ফাহমিদা_ইয়াসমি। তবে তার মামার পরিচয় ছাপিয়ে নিজেই সাহিত্যাসনে নিজের অবস্থান তৈরি করতে সিদ্ধহস্ত কবি ফাহমিদা ইয়াসমিন।
কবি ফাহমিদা ইয়াসমিনের সম্পাদনায় সাহিত্যের ছোট কাগজ ‘ধরলা’ এই কাগজের মাধ্যমে নতুন লেখকদের উৎসাহ দেওয়াই তার লক্ষ্য। তার অপ্রকাশিত কয়েকটি বই প্রকাশকের টেবিলে। গল্পগ্রন্থ-নীলিমার প্রেমে মগ্ন জোছনা, এবং শেষ অশ্রুকণা খুব দ্রুত পাঠকের হাতে আসবে। কবির দীর্ঘায়ু কামনা করি।

কবি পরিচিকতি

ফাহমিদা ইয়াসমিন

প্রেম ও প্রকৃতির কবি ফাহমিদা ইয়াসমিন মৌলভীবাজার জেলার বড়কাপন গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে ৩১ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন।

তাঁর পিতা আলহাজ্ব মোঃ-ইলাছ মিয়া
মাতা– মরহুমা ফজিলাতুন্নেছা চৌধুরী। লন্ডন প্রবাসি কবি ফাহমিদা ইযাসমিন এঁর স্বামী প্রকৌশলী মো. ফয়জুল ইসলাম ও আদরের দুই সন্তান ফারহাত ,ফারহান। কবি ফাহমিদা ইয়াসমিন মৌলবীবাজার মহিলা কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। শত ব্যস্ততার মাঝে থেকেও সাহিত্যের সকল শাখায় গভীর মনোনিবেশ করে যাচ্ছেন সতত। দেশ বিদেশের দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক পত্রিকা, অনলাইন মিডিয়া ও বিভিন্ন সংকলনে অনবরত লিখে যাচ্ছেন কবিতা,গল্প, ছড়া।

কবি ফাহমিদা ইয়াসমিন এর প্রকাশিত বইগুলো-
‘স্বপ্নচারী মন’;( কাব্যগ্রন্থ)(২০১৬)(মৃত্তিকা প্রকাশক ) ‘নীলিমার প্রেম'( কাব্যগ্রন্থ)(২০১৮)(প্রাকৃত প্রকাশক) (সিলেট) ‘শংকা সময়ের নিষিদ্ধ ধ্বনি’ ( কাব্যগ্রন্থ) ২০১৮) ডায়েরির শেষ পাতা’ (উপন্যাস); (২০১৯)’ফুল ফুটে পাখি উড়ে’ ( শিশুতোষ ছড়ার বই)(২০১৯) ‘বিদ্রোহী বিক্ষোভ’ ( কাব্যগ্রন্থ)।২০১৮) অস্তিত্বের বিষণ্ণ(২০২০) দেয়াল(কাব্যগ্রন্থ)(লিখন প্রকাশক ঢাকা)

কথার সুতোয় সেলাই করি আগামীর স্বপ্ন (২০২০)(কাব্যগ্রন্থ)(প্রাকৃত প্রকাশক সিলেট)
ফারহানের মুক্তিযুদ্ধ (শিশুতোষ গল্পগ্রন্থ)(ইরাবতী প্রকাশক২০২০ ঢাকা)
ফরহাতের বিজয়(২০২১ইরাবতী প্রকাশক ঢাকা)
এবং শেষ অশ্রুকণা (গল্পগ্রন্থ) (২০২১ চমন প্রকাশন ঢাকা)
নীলিমার প্রেমে মগ্ন জোছনা (২০২১ চমন প্রকাশক ঢাকা)

সম্পাদকীয় বই সাহিত্য ছোটকাগজ ধরলা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে